গ্রামীণ ব্যাংক রক্ষায় কেরির হস্তক্ষেপ চাইলেন রুশ হল্ট by কাউসার মুমিন
বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত এবং শান্তিতে নোবেল
বিজয়ী বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক ও এর প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ
ইউনূসের উপর বর্তমান সরকারের আক্রোশ বন্ধে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে
হস্তক্ষেপ
করার আহবান জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান রুশ ডিউ হল্ট জুনিয়র। মার্কিন
কংগ্রেসে নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের ১২তম ডিস্ট্রিক্ট থেকে নির্বাচিত
কংগ্রেসম্যান রুশ হল্ট এ বিষয়ে গতকাল সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে
বলেন, আমাদের সময়ের সত্যিকারের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অপার বিস্ময়ে হচ্ছে
গ্রামীণ ব্যাংক। গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ
মানুষের দারিদ্র্যমুক্তি ঘটিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের উচিত অবিলম্বে গ্রামীণ
ব্যাংক ধ্বংসের সকল প্রচেষ্টা বন্ধ করা। বিবৃতিতে কংগ্রেসম্যান হল্ট আরও
বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গ্রামীণ ব্যাংক এবং বাংলাদেশসহ সারার্বিশ্বের দারিদ্র্য
মোকাবিলায় গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকা- অত্যন্ত জোরালোভাবে সমর্থন করে। এই
বিষয়টি ঢাকায় কর্মকর্তাদেরকে অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলে দেয়ার জন্য আমি
সেক্রেটারি অব স্টেট জন কেরিকে আহ্বান জানাই।
১৯৯৯ সাল থেকে মার্কিন কংগ্রেসে নির্বাচিত এ ডেমোক্রেটিক দলীয় কংগ্রেসম্যান বিবৃতিতে আরও বলেন, যদি বাংলাদেশ সরকার গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. ইউনূসের উপর আক্রোশ অব্যাহত রাখে, তাহলে আমাদের সরকার অবশ্যই বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে চলমান ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্কের যৌক্তিকতা পুনর্মূল্যায়ন করবে।
বিবৃতিতে হল্ট বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখায় ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস শান্তিতে নোবেল জয় করেন। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়ার আজীবন প্রতিশ্রুতি ও ক্ষুদ্র ঋণ চালু করার স্বীকৃতিস্বরূপ চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেলও পান ড. ইউনূস। চলতি সপ্তাহে ঢাকা ট্রিবিউনে প্রকাশিত ড. ইউনূসের নিবন্ধের বরাতে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ড. ইউনূস নিজের হাতে ৩০ বছর আগে যে গ্রামীণ ব্যাংক গড়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশের বর্তমান সরকার তা দখল করতে চায় অথবা একে ধ্বংস করার জন্য ভেঙে ফেলতে চায়, সরকারের এই প্রচেষ্টার নিন্দা জানিয়েছেন ড. ইউনূস সম্প্রতি তাঁর লেখায়। হল্ট বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের মতো আরও প্রতিষ্ঠান এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো আরও অগ্রদূত বাংলাদেশে প্রয়োজন আছে। বাংলাদেশে সরকারের উচিত অবিলম্বে এই সত্যের স্বীকৃতি দেয়া এবং ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে নয়, বরং ইউনূসকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করা।
মার্কিন কংগ্রেসে নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের ১২ তম ডিস্ট্রিক্ট থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান রুশ ডিউ হল্ট জুনিয়রের পিতা ছিলেন প্রাক্তন মার্কিন সিনেটর রুশ ডিউ হল্ট সিনিয়র। ড. ইউনূসকে কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল প্রদানের রেজ্যুলেশনটি মার্কিন কংগ্রেসে সর্বপ্রথম তিনিই তুলেছিলেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গ্রামীণ ব্যাংককে কমপক্ষে ১৯ ভাগে ভাগ করার সুপারিশ করেছে সরকার গঠিত গ্রামীণ ব্যাংক কমিশন। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আদলে গ্রামীণ ব্যাংককে ছোট ছোট স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা হবে। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় কেবল নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে মূলত গ্রামীণ ব্যাংকের কাঠামো ভেঙে ফেলারই সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশন বলছে, এই স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানগুলোর পরস্পরের মধ্যে কোন আইনগত, ব্যবস্থাপনাগত ও আর্থিক যোগাযোগ থাকবে না। এসব প্রতিষ্ঠান বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো স্থানীয় সম্পদ ও দায় ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। আর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মতো গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় শুধু নিয়ন্ত্রণকারীর ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর খবরদারি বজায় রাখতে সরকারি শেয়ারের অংশ ৫১ শতাংশে উন্নীত করার সুপারিশ করেছে কমিশন। এ জন্য গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ সংশোধন করার পক্ষে মত দেয়া হয়েছে।
১৯৯৯ সাল থেকে মার্কিন কংগ্রেসে নির্বাচিত এ ডেমোক্রেটিক দলীয় কংগ্রেসম্যান বিবৃতিতে আরও বলেন, যদি বাংলাদেশ সরকার গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. ইউনূসের উপর আক্রোশ অব্যাহত রাখে, তাহলে আমাদের সরকার অবশ্যই বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে চলমান ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্কের যৌক্তিকতা পুনর্মূল্যায়ন করবে।
বিবৃতিতে হল্ট বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখায় ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস শান্তিতে নোবেল জয় করেন। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়ার আজীবন প্রতিশ্রুতি ও ক্ষুদ্র ঋণ চালু করার স্বীকৃতিস্বরূপ চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেলও পান ড. ইউনূস। চলতি সপ্তাহে ঢাকা ট্রিবিউনে প্রকাশিত ড. ইউনূসের নিবন্ধের বরাতে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ড. ইউনূস নিজের হাতে ৩০ বছর আগে যে গ্রামীণ ব্যাংক গড়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশের বর্তমান সরকার তা দখল করতে চায় অথবা একে ধ্বংস করার জন্য ভেঙে ফেলতে চায়, সরকারের এই প্রচেষ্টার নিন্দা জানিয়েছেন ড. ইউনূস সম্প্রতি তাঁর লেখায়। হল্ট বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের মতো আরও প্রতিষ্ঠান এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো আরও অগ্রদূত বাংলাদেশে প্রয়োজন আছে। বাংলাদেশে সরকারের উচিত অবিলম্বে এই সত্যের স্বীকৃতি দেয়া এবং ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে নয়, বরং ইউনূসকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করা।
মার্কিন কংগ্রেসে নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের ১২ তম ডিস্ট্রিক্ট থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান রুশ ডিউ হল্ট জুনিয়রের পিতা ছিলেন প্রাক্তন মার্কিন সিনেটর রুশ ডিউ হল্ট সিনিয়র। ড. ইউনূসকে কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল প্রদানের রেজ্যুলেশনটি মার্কিন কংগ্রেসে সর্বপ্রথম তিনিই তুলেছিলেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গ্রামীণ ব্যাংককে কমপক্ষে ১৯ ভাগে ভাগ করার সুপারিশ করেছে সরকার গঠিত গ্রামীণ ব্যাংক কমিশন। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আদলে গ্রামীণ ব্যাংককে ছোট ছোট স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা হবে। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় কেবল নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে মূলত গ্রামীণ ব্যাংকের কাঠামো ভেঙে ফেলারই সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশন বলছে, এই স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানগুলোর পরস্পরের মধ্যে কোন আইনগত, ব্যবস্থাপনাগত ও আর্থিক যোগাযোগ থাকবে না। এসব প্রতিষ্ঠান বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো স্থানীয় সম্পদ ও দায় ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। আর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মতো গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় শুধু নিয়ন্ত্রণকারীর ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর খবরদারি বজায় রাখতে সরকারি শেয়ারের অংশ ৫১ শতাংশে উন্নীত করার সুপারিশ করেছে কমিশন। এ জন্য গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ সংশোধন করার পক্ষে মত দেয়া হয়েছে।
No comments