জোট আমলে ভুয়া বনায়ন দেখিয়ে সাকার জাতীয় পুরস্কার লাভ!- ১৩ বছর পর রাঙ্গুনিয়ায় জায়গাটি অবৈধ দখলমুক্ত করলেন মালিক by এম.এ কোরেশী
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সাকা
চৌধুরীর দখলকৃত ১৩ একর ৭০ শতক জায়গা দীর্ঘ ১৩ বছর পর উদ্ধার হলো।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার গোডাউন এলাকায় সাকা চৌধুরীর খামারবাড়ি সংলগ্ন এই বিশাল
জায়গা উদ্ধার করে সাইনবোর্ড
টাঙ্গিয়ে দেন উপজেলার কোদালা
ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম তালুকদার। গত বুধবার সকালে উক্ত
জায়গায় আবদুল কাইয়ুম তালুকদার গংরা সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে জায়গাটি দখল নমুনা
হিসেবে চিহ্নিত করে। জানা যায়, ১৯৮৮ সালে আবদুল কাইয়ুম তালুকদারের চাচা মৃত
আবদুস সালাম ও ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মান্নানের ২য় অংশ থেকে ২৬ একর জায়গা জাল
দলিলের মাধ্যমে সাকা চৌধুরীর সহধর্মিণী ফরহাত কাদের চৌধুরী তার ছোট ভাই
গিয়াস উদ্দিন কাদেরের স্ত্রী সেলিনা কাদের ও ছোট ভাই সাইফুদ্দীন কাদেরের
নামে ভুয়া নামজারির মাধ্যমে দখলে নেন। এরপর বাংলাদেশ টোব্যাকো থেকে দুই একর
জায়গা সাকা পরিবার নামজারি করে। আবদুল কাইয়ুমের পিতা মৃত আবদুল ওয়াহেদের
পৈত্রিক জায়গা ১৩ একর ৭০ শতক ও পার্শ্ববর্তী অন্যান্য জায়গাসহ মোট ৫২ একর
জায়গা ভুয়া দলিলের মাধ্যমে সাকা চৌধুরী খামারবাড়ি, পুকুর ও বন্যপ্রাণী
রক্ষার খাঁচা, দলীয় অফিস, বিশাল বাংলো ও নানা প্রজাতির বাগান গড়ে তোলেন।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর দখলে থাকা জায়গাটি গত বুধবার সাবেক ইউপি
চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম তালুকদার দখল করে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেন।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, জোট সরকারের আমলে চট্টগ্রাম বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ঐ জায়গাটিতে বনায়ন দেখিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার পাইয়ে দেন।
এ ব্যাপারে আবদুল কাইয়ুম তালুকদার জানান, আমাদের পৈতৃক মৌরশী সম্পত্তি সাকা চৌধুরীর পরিবার দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে দখল করে রেখেছে। এই জায়গার হাল সন রেকর্ড ও খাজনা আদায় করে আসছি। জায়গাটি উদ্ধারে আমরা সাকা পরিবারের সঙ্গে পরিমাপ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। জোট সরকারের আমলে আমার সম্পত্তি উদ্ধারে তার কাছে বহুবার ধর্না দিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে কিছু জায়গা উদ্ধার করলেও পরবর্তীতে তারা আবার দখলে নিয়ে নেয়।
রাঙ্গুনিয়ায় সাকা চৌধুরীর খামারবাড়ির দায়িত্বে থাকা নুরুল আবছার জানান, সকাল ১০টায় ১০-১৫ জনের একটি দল কাদের নগরের জায়গায় জনৈক আবদুল কাইয়ুম তালুকদার গং নামের একটি সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে চলে যায় । বিষয়টি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারকে জানানো হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এম.এম মুর্শেদ জানান, জায়গাটি আবদুল কাইয়ুম তালুকদারের বলে জেনেছি। জায়গাটিতে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মূল মালিকের জায়গায় সাইনবোর্ড দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আজম সিদ্দিকী জানান, দীর্ঘদিন ধরে উক্ত জায়গা অবৈধ দখলে ছিল। বৈধ দখলীয় জায়গায় সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দিয়ে দখল শনাক্ত করে আবদুল কাইয়ুম তালুকদার গংরা।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, জোট সরকারের আমলে চট্টগ্রাম বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ঐ জায়গাটিতে বনায়ন দেখিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার পাইয়ে দেন।
এ ব্যাপারে আবদুল কাইয়ুম তালুকদার জানান, আমাদের পৈতৃক মৌরশী সম্পত্তি সাকা চৌধুরীর পরিবার দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে দখল করে রেখেছে। এই জায়গার হাল সন রেকর্ড ও খাজনা আদায় করে আসছি। জায়গাটি উদ্ধারে আমরা সাকা পরিবারের সঙ্গে পরিমাপ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। জোট সরকারের আমলে আমার সম্পত্তি উদ্ধারে তার কাছে বহুবার ধর্না দিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে কিছু জায়গা উদ্ধার করলেও পরবর্তীতে তারা আবার দখলে নিয়ে নেয়।
রাঙ্গুনিয়ায় সাকা চৌধুরীর খামারবাড়ির দায়িত্বে থাকা নুরুল আবছার জানান, সকাল ১০টায় ১০-১৫ জনের একটি দল কাদের নগরের জায়গায় জনৈক আবদুল কাইয়ুম তালুকদার গং নামের একটি সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে চলে যায় । বিষয়টি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারকে জানানো হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এম.এম মুর্শেদ জানান, জায়গাটি আবদুল কাইয়ুম তালুকদারের বলে জেনেছি। জায়গাটিতে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মূল মালিকের জায়গায় সাইনবোর্ড দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আজম সিদ্দিকী জানান, দীর্ঘদিন ধরে উক্ত জায়গা অবৈধ দখলে ছিল। বৈধ দখলীয় জায়গায় সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দিয়ে দখল শনাক্ত করে আবদুল কাইয়ুম তালুকদার গংরা।
No comments