রাজধানীতে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার, ছাত্রীসহ গ্রেফতার ৬- মহখালীর ‘ইয়াবা সম্রাজ্ঞী’ ম্যানিলা চৌধুরী একটি ডাকাতি মামলার অন্যতম হোতা শাকুর সহযোগী
ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত রাজধানীর তিতুমীর
সরকারী কলেজের ছাত্রীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
তাদের কাছ থেকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা বহুল আলোচিত রাজধানীর শুক্রাবাদের ব্র্যাক ব্যাংকে ডাকাতির অন্যতম হোতা শাকুর সহযোগী।
বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য (পশ্চিম) বিভাগের ডিসি শেখ নাজমুল আলমের তত্ত্বাবধানে এডিসি মশিউর রহমান, সিনিয়র এসি আবু তোরাব মোঃ শামছুর রহমান ও এসি একেএম মাহাবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একাধিক টিম ঢাকার চকবাজার, কমলাপুর ও বনশ্রী এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায়। অভিযানে ইয়াবা ব্যবসায়ী ম্যানিলা চৌধুরী (২২), তাহের (৪৮), কুলসুম (৩২), জানে আলম (৪৫), খালেদ (৩০) ও আসিফকে (২৪) গ্রেফতার হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অভিযানের সার্বিক নেতৃত্বদানকারীদের উপস্থিতিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া এ্যান্ড পাবলিক রিলেশন সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির মুখপাত্র ও ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, চকবাজার থানাধীন নাজিমুদ্দিন রোডের হোটেল নীরবের সামনে বিকেল সোয়া ৪টায় ইয়াবা ব্যবসায়ী জানে আলম ও আসিফকে গ্রেফতার করা হয়। জানে আলমের কাছ থেকে ৫ হাজার ও আসিফের কাছ থেকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়।
এদের তথ্যমতে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে কুলসুমকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করা হয়। কুলসুমের তথ্যমতে, কমলাপুর থেকে রাত ১১টায় ৯ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ম্যানিলা চৌধুরী, ৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আবু তাহের ও ৩ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ খালেদকে গ্রেফতার করা হয়।
ম্যানিলা চৌধুরী রাজধানীর মহাখালীর সরকারী তিতুমীর কলেজের ফিন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি ইতোপূর্বে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার দায়ে গ্রেফতার হয়ে ১০ মাস জেলে ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামসহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ইয়াবা সরবরাহ করে থাকেন। মহাখালী এলাকায় ইয়াবা সম্রাজ্ঞী নামে পরিচিত।
তাহের টেকনাফ ও মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে ইয়াবা এনে চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে থাকে। জানে আলম ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে থাকেন। আর হুন্ডির মাধ্যমে টাকা নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেয়।
কুলসুম গাজীপুর এলাকার বিভিন্ন লোকের কাছে ইয়াবা সরবরাহ করে। ম্যানিলা চৌধুরী, তাহের ও জানে আলম আব্দুস শুক্কুর ওরফে শাকুর মাহমুদ ওরফে শাকুর হয়ে কাজ করে। শাকু মিয়ানমার থেকে কক্সবাজার হয়ে চট্টগ্রামে ইয়াবা নিয়ে আসে। তারপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে। শাকু ২০০৭ সালে রাজধানীর শুক্রাবাদে ব্র্যাক ব্যাংকের ওপরে থাকা হোটেল ভাড়া নিয়ে ফ্লোর কেটে ব্র্যাক ব্যাংকে ডাকাতির অন্যতম হোতা। শাকু ছাড়াও বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। যারা বড়মাপের ইয়াবা ব্যবসায়ী। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ম্যানিলা চৌধুরী, তাহের ও খালেদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায়, কুলসুমের বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় এবং জানে আলম ও আসিফের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মশিউর রহমান জনকণ্ঠকে জানান, ম্যানিলা চৌধুরীর পিতা ব্র্যাক ব্যাংকের একজন অসাধু কর্মকর্তা। তার সঙ্গে ব্রাক ব্র্যাংক ডাকাতির অন্যতম হোতা শাকুর দীর্ঘ দিনের যোগাযোগ। শাকুর ইয়াবার ব্যবসার টাকার লেনদেন হতো ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানিলার পিতার মাধ্যমে। সেই সুবাদে শাকুর সঙ্গে ম্যানিলার পরিচয় হয়। ম্যানিলা নিজে মাদকাসক্ত নয়। কিন্তু বাড়তি টাকার লোভে এবং পিতার প্রশ্রয়ে ম্যানিলা শাকুর সঙ্গে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ম্যানিলা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। ম্যানিলা ৩ বছর ধরে কলেজে পড়ছে। আর তার আড়ালে মাদকের ব্যবসা করছে। ম্যানিলার পিতার বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত আছে।
বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য (পশ্চিম) বিভাগের ডিসি শেখ নাজমুল আলমের তত্ত্বাবধানে এডিসি মশিউর রহমান, সিনিয়র এসি আবু তোরাব মোঃ শামছুর রহমান ও এসি একেএম মাহাবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একাধিক টিম ঢাকার চকবাজার, কমলাপুর ও বনশ্রী এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায়। অভিযানে ইয়াবা ব্যবসায়ী ম্যানিলা চৌধুরী (২২), তাহের (৪৮), কুলসুম (৩২), জানে আলম (৪৫), খালেদ (৩০) ও আসিফকে (২৪) গ্রেফতার হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অভিযানের সার্বিক নেতৃত্বদানকারীদের উপস্থিতিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া এ্যান্ড পাবলিক রিলেশন সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির মুখপাত্র ও ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, চকবাজার থানাধীন নাজিমুদ্দিন রোডের হোটেল নীরবের সামনে বিকেল সোয়া ৪টায় ইয়াবা ব্যবসায়ী জানে আলম ও আসিফকে গ্রেফতার করা হয়। জানে আলমের কাছ থেকে ৫ হাজার ও আসিফের কাছ থেকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়।
এদের তথ্যমতে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে কুলসুমকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করা হয়। কুলসুমের তথ্যমতে, কমলাপুর থেকে রাত ১১টায় ৯ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ম্যানিলা চৌধুরী, ৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আবু তাহের ও ৩ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ খালেদকে গ্রেফতার করা হয়।
ম্যানিলা চৌধুরী রাজধানীর মহাখালীর সরকারী তিতুমীর কলেজের ফিন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি ইতোপূর্বে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার দায়ে গ্রেফতার হয়ে ১০ মাস জেলে ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামসহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ইয়াবা সরবরাহ করে থাকেন। মহাখালী এলাকায় ইয়াবা সম্রাজ্ঞী নামে পরিচিত।
তাহের টেকনাফ ও মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে ইয়াবা এনে চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে থাকে। জানে আলম ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে থাকেন। আর হুন্ডির মাধ্যমে টাকা নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেয়।
কুলসুম গাজীপুর এলাকার বিভিন্ন লোকের কাছে ইয়াবা সরবরাহ করে। ম্যানিলা চৌধুরী, তাহের ও জানে আলম আব্দুস শুক্কুর ওরফে শাকুর মাহমুদ ওরফে শাকুর হয়ে কাজ করে। শাকু মিয়ানমার থেকে কক্সবাজার হয়ে চট্টগ্রামে ইয়াবা নিয়ে আসে। তারপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে। শাকু ২০০৭ সালে রাজধানীর শুক্রাবাদে ব্র্যাক ব্যাংকের ওপরে থাকা হোটেল ভাড়া নিয়ে ফ্লোর কেটে ব্র্যাক ব্যাংকে ডাকাতির অন্যতম হোতা। শাকু ছাড়াও বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। যারা বড়মাপের ইয়াবা ব্যবসায়ী। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ম্যানিলা চৌধুরী, তাহের ও খালেদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায়, কুলসুমের বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় এবং জানে আলম ও আসিফের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মশিউর রহমান জনকণ্ঠকে জানান, ম্যানিলা চৌধুরীর পিতা ব্র্যাক ব্যাংকের একজন অসাধু কর্মকর্তা। তার সঙ্গে ব্রাক ব্র্যাংক ডাকাতির অন্যতম হোতা শাকুর দীর্ঘ দিনের যোগাযোগ। শাকুর ইয়াবার ব্যবসার টাকার লেনদেন হতো ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানিলার পিতার মাধ্যমে। সেই সুবাদে শাকুর সঙ্গে ম্যানিলার পরিচয় হয়। ম্যানিলা নিজে মাদকাসক্ত নয়। কিন্তু বাড়তি টাকার লোভে এবং পিতার প্রশ্রয়ে ম্যানিলা শাকুর সঙ্গে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ম্যানিলা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। ম্যানিলা ৩ বছর ধরে কলেজে পড়ছে। আর তার আড়ালে মাদকের ব্যবসা করছে। ম্যানিলার পিতার বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত আছে।
No comments