দিনবদলের সংগ্রামে সাফল্যগাথা- নকশিকাঁথায় ভাগ্যবদল
আছিয়ার প্রত্যাশার প্রাপ্তিগুলো তাকে করে
তুলেছে আরও আশাবাদী। ছেলেমেয়েদের নিয়মিত স্কুলে যাতায়াত, থাকার একটু আশ্রয়,
টিউবওয়েল, পাকা পায়খানা, ঘরে রঙিন টেলিভিশন, ফ্রিজ সবই আজ ওদের কাছে
বাস্তবের সামগ্রী।
আছিয়ার মতো বীণা, রানী, মোখলেছাদের
দিনও পাল্টে গেছে। অভিশপ্ত জীবনের পথ মাড়িয়ে এরা পৌঁছে গেছে এক আলোকিত
ভুবনে। অথচ কয়েক বছর আগেও এরা ছিল রূপগঞ্জের পড়শী গ্রামের দরিদ্র বাসিন্দা।
কতগুলো ঈদের দিনে নতুন জামা পরেছে, হাতে গুনে বলতে পারে ৩৬ বছর বয়সী আছিয়া
বেগম। তবে দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হলেও সচ্ছল জীবনের স্বপ্ন দেখত সে।
আত্নপ্রত্যয়ী আছিয়া এবং তার মতো পড়শী গ্রামের ৩৬ জন নারীকে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখায় রূপগঞ্জ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সমিতি (রাসাস)। এটি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। পরিচালক জয়নাল আবেদীনের পরামর্শে ওরা এ সংস্থার দারিদ্র্য বিমোচন আত্নকর্মসংস্থান প্রকল্প থেকে হাতেকলমে নকশীকাঁথা সেলাই ও নার্সারির ওপর প্রশিণ নেয়। প্রশিণ থেকে ৩৬ জন নারীর ২০ জন একই সংস্থা থেকে মাত্র দুই হাজার টাকা করে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে শুরম্ন করে নকশীকাঁথা বাণিজ্যিকভাবে সেলাই করার কাজ। কাঁথা সেলাইয়ে ওরা খ্যাতি পেয়েছে। বিভিন্ন বিপণন প্রতিষ্ঠান লুফে নিচ্ছে ওদের পণ্য। বেড়েছে ওদের কর্মপরিধি। ২০ জন নারীর যৌথ উদ্যোগে বর্তমানে কাজ করছে ৫৬ জন দরিদ্র নারী। তারা একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে ওদের স্বপ্নের আলোকিত ভুবনের দিকে।
তারা স্বপ্ন দেখেনি আলিশান বাড়িতে বসবাস করার। ছোট্ট ঘরের চালায় টিন উঠুক, স্বামীরা দু'মুঠো ভাতের চিন্তায় প্রতিদিন খাবি খাওয়া থেকে রা পাক। এই সামান্য স্বপ্ন পূরণের পথও রম্নদ্ধ ছিল পথপ্রদর্শকের অভাবে। রাসাসের সহযোগিতায় যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে মাত্র কয়েক বছর আগের লালিত স্বপ্ন থেকে বাসত্মবের পথে আরও অনেকটা এগিয়ে রয়েছে ওরা। স্ব্বামীরা নিজেদের পেশার পাশাপাশি প্রকল্পের যাবতীয় কেনাকাটায় সাহায্য করছে। প্রকল্পে অন্য মহিলারা কাজ করায় বীণা-আছিয়াদের সামাজিক মর্যাদা বেড়েছে। এ প্রসঙ্গে আছিয়া বলেন, 'যেরা আগে দেহা অইলে কতা কইতো না, হেরাই অনে ডাহে_ আপা পান খাইয়া যান। সবই আলস্নাহর ইচ্ছা।' ওদের প্রকল্পে তিন মাসে এখন তৈরি হয় ৫০-৬০টি কাঁথা। একটি কাঁথা তৈরিতে লংকথ, সুই-সুতা মিলিয়ে খরচ হয় ৩শ' থেকে ৪শ' টাকা। বিক্রি করা যায় এক হাজার থেকে ২ হাজার টাকা পর্যনত্ম। গড়ে ৮শ' থেকে ১২শ' টাকা মুনাফা হয় কাঁথাপ্রতি। এভাবেই আয়ের হিসাব বোঝান মোখলেছা বেগম। প্রকল্পের দ্বিতীয় প্রধান তিনি। মোখলেছা জানান, তাঁর স্বামী আবুল কালাম ঢাকায় রিকশা চালাতেন। একটি দুর্ঘটনায় পায়ে মারাত্নক আঘাত পান। সংসার যখন বিষাক্ত, অভাব ছোবল মারার জন্য প্রস্তুত তখন এগিয়ে আসে রাসাস এবং আছিয়ারা। সব কিছু মিলিয়ে স্বামী-সংসার নিয়ে সুখেই আছেন মোখলেছা। এ ছাড়া তাঁরা সমিতি থেকে নার্সারির ওপর যে প্রশিণ পেয়েছেন তাও কাজে লাগিয়েছেন। কাঁথা সেলাইয়ের ফাঁকে ফাঁকে তাঁরা নিজেদের বাড়ির খালি জায়গায় যে যাঁর মতো গড়ে তুলেছেন নার্সারি। নার্সারিতে আলাদা লাভ হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে ভালভাবেই কাটছে তাঁদের দিনকাল।
_মীর আব্দুল আলীম, রূপগঞ্জ
আত্নপ্রত্যয়ী আছিয়া এবং তার মতো পড়শী গ্রামের ৩৬ জন নারীকে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখায় রূপগঞ্জ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সমিতি (রাসাস)। এটি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। পরিচালক জয়নাল আবেদীনের পরামর্শে ওরা এ সংস্থার দারিদ্র্য বিমোচন আত্নকর্মসংস্থান প্রকল্প থেকে হাতেকলমে নকশীকাঁথা সেলাই ও নার্সারির ওপর প্রশিণ নেয়। প্রশিণ থেকে ৩৬ জন নারীর ২০ জন একই সংস্থা থেকে মাত্র দুই হাজার টাকা করে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে শুরম্ন করে নকশীকাঁথা বাণিজ্যিকভাবে সেলাই করার কাজ। কাঁথা সেলাইয়ে ওরা খ্যাতি পেয়েছে। বিভিন্ন বিপণন প্রতিষ্ঠান লুফে নিচ্ছে ওদের পণ্য। বেড়েছে ওদের কর্মপরিধি। ২০ জন নারীর যৌথ উদ্যোগে বর্তমানে কাজ করছে ৫৬ জন দরিদ্র নারী। তারা একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে ওদের স্বপ্নের আলোকিত ভুবনের দিকে।
তারা স্বপ্ন দেখেনি আলিশান বাড়িতে বসবাস করার। ছোট্ট ঘরের চালায় টিন উঠুক, স্বামীরা দু'মুঠো ভাতের চিন্তায় প্রতিদিন খাবি খাওয়া থেকে রা পাক। এই সামান্য স্বপ্ন পূরণের পথও রম্নদ্ধ ছিল পথপ্রদর্শকের অভাবে। রাসাসের সহযোগিতায় যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে মাত্র কয়েক বছর আগের লালিত স্বপ্ন থেকে বাসত্মবের পথে আরও অনেকটা এগিয়ে রয়েছে ওরা। স্ব্বামীরা নিজেদের পেশার পাশাপাশি প্রকল্পের যাবতীয় কেনাকাটায় সাহায্য করছে। প্রকল্পে অন্য মহিলারা কাজ করায় বীণা-আছিয়াদের সামাজিক মর্যাদা বেড়েছে। এ প্রসঙ্গে আছিয়া বলেন, 'যেরা আগে দেহা অইলে কতা কইতো না, হেরাই অনে ডাহে_ আপা পান খাইয়া যান। সবই আলস্নাহর ইচ্ছা।' ওদের প্রকল্পে তিন মাসে এখন তৈরি হয় ৫০-৬০টি কাঁথা। একটি কাঁথা তৈরিতে লংকথ, সুই-সুতা মিলিয়ে খরচ হয় ৩শ' থেকে ৪শ' টাকা। বিক্রি করা যায় এক হাজার থেকে ২ হাজার টাকা পর্যনত্ম। গড়ে ৮শ' থেকে ১২শ' টাকা মুনাফা হয় কাঁথাপ্রতি। এভাবেই আয়ের হিসাব বোঝান মোখলেছা বেগম। প্রকল্পের দ্বিতীয় প্রধান তিনি। মোখলেছা জানান, তাঁর স্বামী আবুল কালাম ঢাকায় রিকশা চালাতেন। একটি দুর্ঘটনায় পায়ে মারাত্নক আঘাত পান। সংসার যখন বিষাক্ত, অভাব ছোবল মারার জন্য প্রস্তুত তখন এগিয়ে আসে রাসাস এবং আছিয়ারা। সব কিছু মিলিয়ে স্বামী-সংসার নিয়ে সুখেই আছেন মোখলেছা। এ ছাড়া তাঁরা সমিতি থেকে নার্সারির ওপর যে প্রশিণ পেয়েছেন তাও কাজে লাগিয়েছেন। কাঁথা সেলাইয়ের ফাঁকে ফাঁকে তাঁরা নিজেদের বাড়ির খালি জায়গায় যে যাঁর মতো গড়ে তুলেছেন নার্সারি। নার্সারিতে আলাদা লাভ হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে ভালভাবেই কাটছে তাঁদের দিনকাল।
_মীর আব্দুল আলীম, রূপগঞ্জ
No comments