জিয়াকে খুনী বলায় শেষ মুহূর্তে বিরোধী দলের ওয়াকআউট
জিয়াউর রহমানকে খুনী ও পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের চর বলায় মঙ্গলবার সংসদ মুলতবির আগ মুহূর্তে ওয়াকআউট করেছে বিরোধী দল।
অথচ
ওয়াকআউটের পূর্বে বিএনপির এক এমপি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে
ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য রাখলে বিরোধী দল তাতে টেবিল চাপড়ে সমর্থন দিয়েছে।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় আবারও দু'পৰের আক্রমণের শিকার হন জাতির জনক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
সরকারদলীয় হুইপ আসম ফিরোজ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিএনপির সংসদ সদস্য গোলাম মোসত্মফার দেয়া ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যে এক্সপাঞ্জের দাবি জানালে ডেপুটি স্পীকার কর্নেল (অব) শওকত আলী বলেন, "বিরোধী দল আমাকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়েই চলে গেলেন। বিএনপির গোলাম মোসত্মফা এবং আওয়ামী লীগের শফিকুল ইসলামের বক্তব্যে যদি কোন অসাংবিধানিক ভাষা থেকে থাকে তা পরীৰা-নিরীৰা করে এক্সপাঞ্জ করা হবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির গোলাম মোসত্মফা প্রথমে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য রেখে সংসদে উত্তাপ ছড়ায়। তিনি বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে শেখ মুজিব রহস্যজনকভাবে আত্মসমর্পণ করে পাকিসত্মানে আত্মগোপন করেছিলেন। সে সময় অসহায় জাতিকে মুক্তি দিতে জিয়াউর রহমানই ধূমকেতুর মতো এসে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। শেখ মুজিব নিহত হওয়ার পর কেউ তাঁর লাশের পাশে ছিলেন না, আওয়ামী লীগের সব নেতা মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দেয়ার প্রতিযোগিতায় ব্যসত্ম ছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য রাখার সময় সরকারী দলের সদস্যরা তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। অনেক সদস্যই দাঁড়িয়ে এসব বক্তব্য এক্সপাঞ্জের দাবি জানান।
জবাব দিতে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা নয়, পাকিসত্মানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের চর ও দালাল ছিলেন। '৭৫-এর হত্যাকা-ের সঙ্গে জিয়া জড়িত। এ ঘটনা ঘটিয়ে জেনারেল জিয়া বাঙালী জাতিকে বিশ্ববাসীর সামনে হেয়প্রতিপন্ন করেছেন। এ খুনী জিয়াউর রহমানই মার্শাল ল' দিয়ে ৰমতায় এসে সকল রাজাকার-আলবদর ও যুদ্ধাপরাধীকে পুনর্বাসিত করেছেন। জেনারেল জিয়ার কুপুত্র তারেক-কোকোর সীমাহীন দুনর্ীতির কথা দেশের মানুষ সবাই জানেন। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে গোলাম মোসত্মফার বক্তব্যের সময় বিরোধী দলের সদস্যরা টেবিল চাপড়ে সমর্থন জানালেও আওয়ামী লীগের শফিকুল ইসলামের তাঁর জবাব দিলে তীব্র হৈ-চৈ, প্রতিবাদ জানাতে থাকেন তাঁরা। নিজ আসন ছেড়ে সামনে দাঁড়িয়ে হৈ-চৈ, ফাইল দিয়ে টেবিল চাপড়ে প্রতিবাদ জানানোর এক পর্যায়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নেতৃত্বে রাত পৌনে ৮টার সময় সংসদ থেকে ওয়াকআউট করে বিরোধী দল আর ফিরে আসেনি।
বিরোধী দলের প্রতিবাদের মুখে শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, পাঁচ বছরে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশকে শেষ করে দিয়ে গেছে। তারেক-কোকোরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়ে বিদেশে গেছে। বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিই হচ্ছে ষড়যন্ত্র, দুনর্ীতি, হত্যার মাধ্যমে পেছন থেকে ৰমতা দখল করা। এজন্যই জনগণ নির্বাচনে তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
এ সময় সরকারদলীয় হুইপ আসম ফিরোজ ফোর নিয়ে বলেন, বিএনপির গোলাম মোসত্মফা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও নির্লজ্জ বক্তব্যে রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু কখনও আপোস করতে শেখেননি। বঙ্গবন্ধু কখনও আত্মসমর্পণ করতে জানতেন না। এসব বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করতে হবে। জবাবে ডেপুটি স্পীকার বলেন, বিএনপির গোলাম মোসত্মফা ও আওয়ামী লীগের শফিকুল ইসলামের বক্তব্যের কোনখানে অসংসদীয় শব্দ থাকলে তা পরীৰা করে এক্সপাঞ্জ করা হবে। এর পরে আলোচনায় আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান মোলস্না বলেন, বিরোধী দলের আচরণ স্পষ্ট, তারা সংসদকে অকার্যকর করতে চায়। স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে যেভাবে মিথ্যাচার করে, তা শুনে মনে হয় সারাবিশ্বের মানুষ হাসে। তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি জনগণ আগেও প্রত্যাখ্যান করেছে, আগামীতেও করবে। জাতীয় পার্টির হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, মহাজোট সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা। ১৪ মাস চলে গেছে। বাজেটের অনেক কিছুই এখনও বাসত্মবায়িত হয়নি। মন্ত্রীদের কার্যপরিধি বাড়াতে হবে। তিনি বিরোধী দলকে উদ্দেশে করে বলেন, ইতিহাস থেকে কেউ শিৰা নেয় না। শিৰা নিলে বিরোধী দলের আজ এমন অবস্থা হতো না। মহাজোটে থাকলেও জাতীয় পার্টির এমপিরা লাঞ্ছিত হচ্ছেন। ইতিহাস থেকে শিৰা নিয়ে সরকারের উচিত জাতীয় পার্টিকে মূল্যায়ন করা। জাতীয় পার্টিকে অবহেলা করলে বিগত দিনে যা হয়েছে, আগামীতেও তাই হবে।
সংসদে মির্জা আজমের জবাব রাষ্ট্রপতির ভাষণ শেষ হলে ব্যক্তিগত কৈফিয়তে দাঁড়িয়ে সরকারদলীয় হুইপ মির্জা আজম সোমবার তাঁর সম্পর্কে বিরোধীদলীয় চীফ হুইপের মিথ্যা ও অসত্য বক্তব্য এক্সপাঞ্জের দাবি জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ঘাড়ে দোষ চাপানো বিএনপির পুরনো অভ্যাস। বিরোধী দল আমার বক্তব্যের কোন জবাব না দিয়ে ধান ভাঙতে শীবের গীত গেয়েছে। বিরোধীদলীয় নেত্রীর কার্যালয়ের সামনে বোমা হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত দু'জনই বিএনপি।
সরকারদলীয় হুইপ আসম ফিরোজ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিএনপির সংসদ সদস্য গোলাম মোসত্মফার দেয়া ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যে এক্সপাঞ্জের দাবি জানালে ডেপুটি স্পীকার কর্নেল (অব) শওকত আলী বলেন, "বিরোধী দল আমাকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়েই চলে গেলেন। বিএনপির গোলাম মোসত্মফা এবং আওয়ামী লীগের শফিকুল ইসলামের বক্তব্যে যদি কোন অসাংবিধানিক ভাষা থেকে থাকে তা পরীৰা-নিরীৰা করে এক্সপাঞ্জ করা হবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির গোলাম মোসত্মফা প্রথমে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য রেখে সংসদে উত্তাপ ছড়ায়। তিনি বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে শেখ মুজিব রহস্যজনকভাবে আত্মসমর্পণ করে পাকিসত্মানে আত্মগোপন করেছিলেন। সে সময় অসহায় জাতিকে মুক্তি দিতে জিয়াউর রহমানই ধূমকেতুর মতো এসে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। শেখ মুজিব নিহত হওয়ার পর কেউ তাঁর লাশের পাশে ছিলেন না, আওয়ামী লীগের সব নেতা মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দেয়ার প্রতিযোগিতায় ব্যসত্ম ছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য রাখার সময় সরকারী দলের সদস্যরা তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। অনেক সদস্যই দাঁড়িয়ে এসব বক্তব্য এক্সপাঞ্জের দাবি জানান।
জবাব দিতে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা নয়, পাকিসত্মানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের চর ও দালাল ছিলেন। '৭৫-এর হত্যাকা-ের সঙ্গে জিয়া জড়িত। এ ঘটনা ঘটিয়ে জেনারেল জিয়া বাঙালী জাতিকে বিশ্ববাসীর সামনে হেয়প্রতিপন্ন করেছেন। এ খুনী জিয়াউর রহমানই মার্শাল ল' দিয়ে ৰমতায় এসে সকল রাজাকার-আলবদর ও যুদ্ধাপরাধীকে পুনর্বাসিত করেছেন। জেনারেল জিয়ার কুপুত্র তারেক-কোকোর সীমাহীন দুনর্ীতির কথা দেশের মানুষ সবাই জানেন। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে গোলাম মোসত্মফার বক্তব্যের সময় বিরোধী দলের সদস্যরা টেবিল চাপড়ে সমর্থন জানালেও আওয়ামী লীগের শফিকুল ইসলামের তাঁর জবাব দিলে তীব্র হৈ-চৈ, প্রতিবাদ জানাতে থাকেন তাঁরা। নিজ আসন ছেড়ে সামনে দাঁড়িয়ে হৈ-চৈ, ফাইল দিয়ে টেবিল চাপড়ে প্রতিবাদ জানানোর এক পর্যায়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নেতৃত্বে রাত পৌনে ৮টার সময় সংসদ থেকে ওয়াকআউট করে বিরোধী দল আর ফিরে আসেনি।
বিরোধী দলের প্রতিবাদের মুখে শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, পাঁচ বছরে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশকে শেষ করে দিয়ে গেছে। তারেক-কোকোরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়ে বিদেশে গেছে। বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিই হচ্ছে ষড়যন্ত্র, দুনর্ীতি, হত্যার মাধ্যমে পেছন থেকে ৰমতা দখল করা। এজন্যই জনগণ নির্বাচনে তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
এ সময় সরকারদলীয় হুইপ আসম ফিরোজ ফোর নিয়ে বলেন, বিএনপির গোলাম মোসত্মফা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও নির্লজ্জ বক্তব্যে রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু কখনও আপোস করতে শেখেননি। বঙ্গবন্ধু কখনও আত্মসমর্পণ করতে জানতেন না। এসব বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করতে হবে। জবাবে ডেপুটি স্পীকার বলেন, বিএনপির গোলাম মোসত্মফা ও আওয়ামী লীগের শফিকুল ইসলামের বক্তব্যের কোনখানে অসংসদীয় শব্দ থাকলে তা পরীৰা করে এক্সপাঞ্জ করা হবে। এর পরে আলোচনায় আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান মোলস্না বলেন, বিরোধী দলের আচরণ স্পষ্ট, তারা সংসদকে অকার্যকর করতে চায়। স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে যেভাবে মিথ্যাচার করে, তা শুনে মনে হয় সারাবিশ্বের মানুষ হাসে। তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি জনগণ আগেও প্রত্যাখ্যান করেছে, আগামীতেও করবে। জাতীয় পার্টির হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, মহাজোট সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা। ১৪ মাস চলে গেছে। বাজেটের অনেক কিছুই এখনও বাসত্মবায়িত হয়নি। মন্ত্রীদের কার্যপরিধি বাড়াতে হবে। তিনি বিরোধী দলকে উদ্দেশে করে বলেন, ইতিহাস থেকে কেউ শিৰা নেয় না। শিৰা নিলে বিরোধী দলের আজ এমন অবস্থা হতো না। মহাজোটে থাকলেও জাতীয় পার্টির এমপিরা লাঞ্ছিত হচ্ছেন। ইতিহাস থেকে শিৰা নিয়ে সরকারের উচিত জাতীয় পার্টিকে মূল্যায়ন করা। জাতীয় পার্টিকে অবহেলা করলে বিগত দিনে যা হয়েছে, আগামীতেও তাই হবে।
সংসদে মির্জা আজমের জবাব রাষ্ট্রপতির ভাষণ শেষ হলে ব্যক্তিগত কৈফিয়তে দাঁড়িয়ে সরকারদলীয় হুইপ মির্জা আজম সোমবার তাঁর সম্পর্কে বিরোধীদলীয় চীফ হুইপের মিথ্যা ও অসত্য বক্তব্য এক্সপাঞ্জের দাবি জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ঘাড়ে দোষ চাপানো বিএনপির পুরনো অভ্যাস। বিরোধী দল আমার বক্তব্যের কোন জবাব না দিয়ে ধান ভাঙতে শীবের গীত গেয়েছে। বিরোধীদলীয় নেত্রীর কার্যালয়ের সামনে বোমা হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত দু'জনই বিএনপি।
No comments