কোকিলের কুহু ডাকে মধুময় বসন্ত, ফুলের হাসি
কোকিলের কুহু কুহু ডাকের কণ্ঠ সুধায় মন
ভরে ওঠে বসন্তের এই সময়টায়। পাখিদের পাঠশালার সেই কোকিল গুরুকে কি সহজে
পাওয়া যায়! মিষ্টি মধুর এই ডাক শোনার জন্য এখনও কত যে আকুলি বিকুলি তা টের
পাওয়া যায় গ্রামের পথে পা বাড়ালে।
শহরের পার্কে বা খোলা
জায়গায় কোন গাছের মগডালে চুপটি মেরে বসে কোকিল ডাক দেয় কুহুকুহু...। এই
ডাকে তন্ময় হয়ে পড়ে প্রণয়পিয়াসীরা। পরিচয়ের পালা সেরে বসনত্ম বেলায় প্রণয়
থাকবে না তা কি হয়! কোকিলের ডাক এই প্রণয়কে কাছে টেনে আরও মধুময় করে তোলে।
বসনত্মে ফোটা শত ফুল তা দেখে ছড়ায় হাসির ঝিলিক। বসনত্মের দিন যেন দ্রম্নত
পেরিয়ে যাচ্ছে। এই তো ক'দিন আগেই ভোরের সি্গ্নতায় শুরু হলো। চোখের পলকেই
দিন যেন চলে যায। নস্টালজিয়ায় পেয়ে বসে ফেলে আসা দিনগুলো। প্রবীণ ও
মধ্যবয়সীদের কাছে নিকট অতীতের যৌবনের বসনত্ম বেলার দিন, তরম্নণ-তরম্নণীদের
কাছে নিত্য বছরের বসনত্ম যেন আবেগের ভাললাগার এক পালা। প্রবীণ ও
মধ্যবয়সীরা একানত্ম আপনে কোকিলের ডাক শুনলেই ফিরে যান যৌবনের সেই
দিনগুলোতে। হৃদয়ের এ্যালবামের পাতা মেলে ধরে মগ্ন হয়ে যান কিছুটা সময়।
জীবনে একেবারেই প্রণয় আসেনি এমন মানুষের সংখ্যা কি আছে! জীবনের কোন না কোন
সময় কাউকে না কাউকে ভাললাগা থেকে পরিচয় তারপর প্রণয়ের পালা আসে প্রকৃতির
নিয়মে। এই প্রণয় কখনও পরিণয় অবধি পেঁৗছে কখনও পেঁৗছায় না। না পেঁৗছালেও
ভাললাগাটা থেকেই যায় চিরনত্মন হয়ে। বসনত্ম বেলায় মনে করিয়ে দেয় সেই মিষ্টি
মধুর দিনগুলো। বসনত্ম কালই বুঝি আসে সেই মধুময়তা নিয়েই। ভাললাগার ভালবাসার
অনুভূতি নিয়ে। ষাটের দশকের 'দীপ জ্বেলে যাই' ছবির একটি দৃশ্যে মানসিক রোগ
বিশেষজ্ঞের ভূমিকায় অভিনেতা পাহাড়ী সান্যালের বর্ণনায় মানুষের মনে ভাললাগা ও
ভালবাসার একটা বিশেস্নষণ বুঝিয়ে দেন নার্সের ভূমিকায় অভিনেত্রী সুচিত্রা
সেনকে। যাঁরা এই ছবি দেখেছেন তাঁরা মানব মনে ভালবাসার বিশেস্নষণটি বুঝবেন।
কোন এক মনোবিজ্ঞানীর এই বিশেস্নষণের ধারায় অননত্মকাল ধরে প্রেম প্রণয় চলে
আসছে ভুবনে। এই ভুবনেই বসনত্ম বেলার ছবি অাঁকে মানুষ নিজের মতো করে।
বসনত্মের দিনে ফাগুনের মৃদুমন্দ হাওয়া শুরম্ন হয়ে তা চলে চৈত্রের শেষ পর্যনত্ম। কুয়াশার বাঁধ কেটে গিয়ে ওঠে উজ্জ্বল রোদ। দিনে দিনে মিষ্টি রোদের তেজ বেড়ে গিয়ে চড়ে ওঠে। ভর দুপুরে খাঁ খাঁ রৌদ্দুরে হঠাৎ বাতাসে ঝরে পড়ে গাছের পাতা। এই ঝরা পাতা কখনও ঝড়কেও ডেকে আনে। এমন বসনত্মে প্রণয়পিয়াসীর অনেকেই বসে থাকে না ঘরে। বের হয় ঘর থেকে। এর মধ্যেই আবার পঞ্জিকার হিসাবে হিন্দু সমপ্রদায়ের দোল পূর্ণিমার উৎসবও হয়ে গেল। দু'তিন দিনের এই উৎসবের বড় আনন্দ নানা রঙে একে অপরকে রাঙিয়ে দেয়া। বসনত্মের এই দোল পূর্ণিমাতেও প্রণয়ের মানুষকে রঙে রাঙিয়ে দেয়ার আনন্দ আলাদা। বিশ্বজুড়ে বসনত্ম আসে কত অনুষঙ্গ আর উপসর্গ নিয়ে তার শেষ নেই। যে ভাবেই আসুক বসনত্মের রং তারম্নণ্যের। বয়স যতই হোক বসনত্ম বেলায় তারম্নণ্যের উন্মাদনা আসবেই প্রকৃতি থেকে। কোকিলও মিষ্টি সুরে ধরবে তান।
বসনত্মের দিনে ফাগুনের মৃদুমন্দ হাওয়া শুরম্ন হয়ে তা চলে চৈত্রের শেষ পর্যনত্ম। কুয়াশার বাঁধ কেটে গিয়ে ওঠে উজ্জ্বল রোদ। দিনে দিনে মিষ্টি রোদের তেজ বেড়ে গিয়ে চড়ে ওঠে। ভর দুপুরে খাঁ খাঁ রৌদ্দুরে হঠাৎ বাতাসে ঝরে পড়ে গাছের পাতা। এই ঝরা পাতা কখনও ঝড়কেও ডেকে আনে। এমন বসনত্মে প্রণয়পিয়াসীর অনেকেই বসে থাকে না ঘরে। বের হয় ঘর থেকে। এর মধ্যেই আবার পঞ্জিকার হিসাবে হিন্দু সমপ্রদায়ের দোল পূর্ণিমার উৎসবও হয়ে গেল। দু'তিন দিনের এই উৎসবের বড় আনন্দ নানা রঙে একে অপরকে রাঙিয়ে দেয়া। বসনত্মের এই দোল পূর্ণিমাতেও প্রণয়ের মানুষকে রঙে রাঙিয়ে দেয়ার আনন্দ আলাদা। বিশ্বজুড়ে বসনত্ম আসে কত অনুষঙ্গ আর উপসর্গ নিয়ে তার শেষ নেই। যে ভাবেই আসুক বসনত্মের রং তারম্নণ্যের। বয়স যতই হোক বসনত্ম বেলায় তারম্নণ্যের উন্মাদনা আসবেই প্রকৃতি থেকে। কোকিলও মিষ্টি সুরে ধরবে তান।
No comments