জামায়াত নেতাদের মোবাইল নির্দেশেই ফারুককে হত্যা করা হয়
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতাদের
মোবাইল ফোনের সর্বৰণিক নির্দেশেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী
ফারম্নককে তিন ধাপে নির্মমভাবে খুন করে লাশ ম্যানহোলে ফেলা দেয়া হয়।
গ্রেফতারকৃত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আমীর আলী হলের সাবেক সভাপতি ছাত্র
শিবির ক্যাডার ইকরাম গ্রেফতারের পর এমনই বর্ণনা দিয়েছে র্যাবের কাছে।
রবিবার র্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভারের কালামপুর
এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইকরাম হোসেনকে গ্রেফতার করে। ইকরাম ছাত্রলীগ কর্মী
ফারম্নক হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ইকরামের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়,
গত ৮ ফেব্রম্নয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াত-শিবিরের নির্মম হামলার
আগে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে জামায়াত শিবিরের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয়
নেতারা উপস্থিত ছিল। পরে ৫টি গ্রম্নপে বিভক্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র
শিবিরের সভাপতি শামসুল আলম গোলাপের নেতৃত্বে শাহ মখদুম হলের ছাত্র শিবিরের
সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান এবং বর্তমান সভাপতি আহাদ আলী, আব্দুল লতিফ হলের
সভাপতি হাসমত আলী লিটন, আমীর আলী হলের সাবেক সভাপতি গ্রেফতারকৃত ইকরাম
বর্তমান সভাপতি আরিফসহ ছাত্র শিবিরের কর্মীরা একটি দল গঠন করে। সভাপতির
নেতৃত্বে ৩টি গ্রম্নপ একসঙ্গে এসএম, আব্দুল লতিফ ও আমির আলী হলে হামলা
চালায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেনের
নেতৃত্বে জোহা হল শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম,
সোহরাওয়াদর্ী হল শাখার সভাপতি মাসুম বিলস্নাহ, মাদার বখ্শ হলের সভাপতি,
জিয়া হলে সভাপতি মোসত্মাফিজুর রহমান ও হবিবর হলের সভাপতি রাইজুল ইসলাম
একত্রিত হয়। প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ রাইজুলকে র্যাব গ্রেফতার করে।
দল গঠনের পরেই তাদের আনুষ্ঠানিক হামলার কৌশল জানিয়ে ব্রিফ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিবিরের সভাপতি শামসুল আলম গোলাপ, এসএম হলের ছাত্র শিবিরের সভাপতি আহাদ আলী ও সাবেক সভাপতি আনিস ও শিহাবসহ ছাত্র শিবির ক্যাডাররা একযোগে ফারম্নকের ওপর হামলা চালায়। ইকরামের দাবি শিহাবের রডের আঘাতে ফারম্নকের মৃতু্য হয়েছে। পরে হামলাকারীরা সম্মিলিতভাবে ফারম্নককে পৈচাশিকভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। এ সময় মোবাইল ফোনে ওই সময়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের অবহিত করে। এরপর জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্দেশ মোতাবেক ফারম্নকের হাত-পায়ের রগ কাটা হয়। সর্বশেষ নির্দেশ মোতাবেক এসএম হলের ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি আনিস ও ফারম্নক, বর্তমান সভাপতি আহাদ, সেক্রেটারি বাপ্পী, শিহাব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিবিরের প্রশিৰণ সম্পাদক সুমন গাজী ও এসএম হলের ছাত্র শিবির ক্যাডার রাজু মিলে ফারম্নকের মৃতদেহ ম্যানহোলে ফেলে দেয়া হয়। এরপর জামায়াতের এক স্থানীয় নেতা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে কর্মরত জামায়াত নেতা কাঁটাখালীর হামীমের বাসায় জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে হামলাকারীরা গা-ঢাকা দেয়।
গত ৮ ফেব্রম্নয়ারি রাত ৩টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নারকীয় হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ফারম্নককে হত্যা করে। ফারম্নক হত্যা মামলায় ১৯ জন জামায়াত শিবির ক্যাডারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র্যাব।
দল গঠনের পরেই তাদের আনুষ্ঠানিক হামলার কৌশল জানিয়ে ব্রিফ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিবিরের সভাপতি শামসুল আলম গোলাপ, এসএম হলের ছাত্র শিবিরের সভাপতি আহাদ আলী ও সাবেক সভাপতি আনিস ও শিহাবসহ ছাত্র শিবির ক্যাডাররা একযোগে ফারম্নকের ওপর হামলা চালায়। ইকরামের দাবি শিহাবের রডের আঘাতে ফারম্নকের মৃতু্য হয়েছে। পরে হামলাকারীরা সম্মিলিতভাবে ফারম্নককে পৈচাশিকভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। এ সময় মোবাইল ফোনে ওই সময়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের অবহিত করে। এরপর জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্দেশ মোতাবেক ফারম্নকের হাত-পায়ের রগ কাটা হয়। সর্বশেষ নির্দেশ মোতাবেক এসএম হলের ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি আনিস ও ফারম্নক, বর্তমান সভাপতি আহাদ, সেক্রেটারি বাপ্পী, শিহাব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিবিরের প্রশিৰণ সম্পাদক সুমন গাজী ও এসএম হলের ছাত্র শিবির ক্যাডার রাজু মিলে ফারম্নকের মৃতদেহ ম্যানহোলে ফেলে দেয়া হয়। এরপর জামায়াতের এক স্থানীয় নেতা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে কর্মরত জামায়াত নেতা কাঁটাখালীর হামীমের বাসায় জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে হামলাকারীরা গা-ঢাকা দেয়।
গত ৮ ফেব্রম্নয়ারি রাত ৩টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নারকীয় হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ফারম্নককে হত্যা করে। ফারম্নক হত্যা মামলায় ১৯ জন জামায়াত শিবির ক্যাডারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র্যাব।
No comments