আলমডাঙ্গা প্রাণী চিকিৎসা প্রশিক্ষণ শিক্ষায়তন- লোকবল-আবাসনসংকট কার্যক্রম ব্যাহত
লোকবল ও আবাসনসংকটে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা প্রাণী চিকিৎসা প্রশিক্ষণ শিক্ষায়তনের (ভিটিআই) কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণার্থীরা দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
ভিটিআইয়ের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৮ সালে আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী গ্রামে ১০ দশমিক ৪ একর জমিতে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বেসরকারি সংস্থা ডানিডা এটি চালু করার জন্য দুই কোটি ৬৮ লাখ টাকা দেয়। এখানে একটি মিলনায়তন, একটি একাডেমিক ভবন, একটি হাসপাতাল, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিনটি আবাসিক ভবন, গ্যারেজ, পাম্প হাউস, মসজিদ ও দুটি ছাত্রাবাস আছে। ১৯৮০-৮১ শিক্ষাবর্ষ থেকে এখানে প্রশিক্ষণ শুরু হয়।এখানে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৫ জেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাঠকর্মীদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কৃষক ও আনসার-ভিডিপি সদস্যদের পশু পালনের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আবদুল হান্নান নামে এক প্রশিক্ষণার্থী জানান, দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ছাত্রাবাসের ভবনগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিটি কক্ষের পলেস্তারা খসে পড়ে। এ ছাড়া বৃষ্টি হলেই ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে। এখানের শৌচাগারগুলোও ব্যবহারের অনুপযোগী।
ভিটিআই সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে গণপূর্ত বিভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবনগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তাই ওই সময় থেকে তাঁরা আলমডাঙ্গা শহরে ভাড়া বাসায় বাস করছেন। এখানে প্রভাষকের তিনটি ও প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা, প্রধান সহকারী, সহকারী গ্রন্থাগারিক, হাসপাতাল অ্যাটেনডেন্ট, অ্যানিম্যাল অ্যাটেনডেন্ট, পোল্ট্রি অ্যাটেনডেন্ট ও গার্ডের একটি করে পদ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া ভেটেরিনারি সার্জনের দুটি ও ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানের একটি পদ শূন্য থাকায় ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ব্যাহত হচ্ছে।
ভিটিআইয়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষকেরা জানান, এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস করে অনেক শিক্ষার্থী সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কৃষি, স্বাস্থ্য ও প্রকৌশল বিষয়ে ডিপ্লোমা করে। আলমডাঙ্গা ভিটিআইতে প্রাণীসম্পদ বিষয়ে এ ধরনের ডিপ্লোমা কোর্স চালুর মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা যেতে পারে। এতে একই সঙ্গে দেশের বেকারত্ব সমস্যার সমাধান এবং প্রাণীসম্পদের উন্নয়ন ও চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটবে।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ অরবিন্দ শেখর দে জানান, শূন্য পদগুলোতে লোকবল নিয়োগ এবং আবাসন সমস্যা দূর করার জন্য ব্যবস্থা নিতে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে।
No comments