এই হার্মাদ বাহিনী কাপুরুষ, সরকার কঠোর হোন by আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
গত সোমবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকাসহ দেশের একাধিক বড় শহরে যে হার্মাদি জঙ্গীপনা ঘটে গেল, তাতে জামায়াতী হার্মাদদের শক্তির বা তাদের পেছনে জনসমর্থনের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি; তবে আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্বলতা সম্ভবত প্রকাশ পেয়েছে।
আমি জানি না, এটা সরকারী প্রশাসনের দুর্বলতা, না সরকারের হার্ড লাইনে না যাওয়ার নীতিগত দুর্বলতা? যদি এটা সরকারের দ্বিতীয় পর্যায়ের দুর্বলতা হয়ে থাকে, অর্থাৎ এই হার্মাদদের দমনের জন্য সরকার এখনই হার্ড লাইনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে আমার বলার কিছু নেই। কারণ, দুর্জনকে প্রশ্রয়দানের নীতির পরিণাম সরকারকেই আখেরে ভুগতে হবে।যদি জামায়াতী হার্মাদদের এই তা-ব দমন করতে না পারা সরকারের প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে ঘটে থাকে, তাহলে বলব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর মন্ত্রিপরিষদের এখনই সতর্ক হওয়া উচিত। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ হওয়ায় জামায়াত এবং যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থক শক্তিশালী মহলগুলোর কাছে এই মেসেজ পৌঁছে গেছে যে, অন্য শীর্ষ অভিযুক্তদেরও তড়িৎ বিচার ও দণ্ডাদেশ ঘোষণা বন্ধ করা যাবে না। তারা এখন মরণ কামড় দিতে চাইবেই।
এ ব্যাপারে এই যুদ্ধাপরাধীদের সুহৃদ এবং কট্টর বাংলাদেশবিরোধী পত্রিকা লন্ডনের দি ইকোনমিস্ট তো অনবরত এই হার্মাদদের ইন্ধন যোগাতেই আছে। সম্প্রতি তারা এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যে, ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের সকলেরই বিচার আওয়ামী লীগ সরকার তাদের বর্তমান মেয়াদেই শেষ করবে এবং বিচারের রায়ে এদের সকলের প্রাণ দ-াদেশ হবে।
‘ইকোনমিস্টের’ এই প্রতিবেদন বাংলাদেশে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে; ফলে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য জামায়াত ও তার মিত্র দলগুলো আরও মরিয়া হয়ে উঠবে এ তো জানা কথা। ‘ইকোনমিস্টের’ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার আগে আবুল কালাম আজাদ ওরফে রাজাকার বাচ্চুর প্রাণদণ্ডাদেশ ঘোষিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতার শত্রুদের সমর্থকেরা এই বিচার ও দণ্ডাদেশ ভণ্ডুল করার জন্য মরণ কামড় দেবে এই আশঙ্কার কথা বহুদিন থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন মহলে আলোচিত হয়েছে এবং হচ্ছে।
তাছাড়া মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধের এই হোতাদের বিচার বানচাল করার জন্য সৌদি ও পাকিস্তানী মদদে জামায়াতীরা প্রচুর অর্থবৃষ্টি দ্বারা বিদেশে যেমন শক্তিশালী প্রোপাগাণ্ডা গড়ে তুলেছে, তেমনি দেশের ভেতরেও নাশকতামূলক কাজ চালানোর জন্য ট্রেনিংপ্রাপ্ত ঝটিকা বাহিনী storm troopess) তৈরি করেছে। কিছুকাল যাবতই এরা কখনও বিএনপির সহায়তায় এবং কখনও বিএনপির সহায়তা ছাড়াই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ভাংচুর, হত্যাকা-, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি দ্বারা অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে আসছে।
দেখা গেছে, সম্প্রতি কোন সময়েই এই হার্মাদি তৎপরতার কথা সরকারের গোয়েন্দা বিভাগগুলো আগে আঁচ করতে পেরে কোন প্রিয়েমটিভ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি অথবা পুলিশ বাহিনীও এদের প্রতিহত করতে রাস্তায় নেমে তেমন সাফল্য দেখায়নি। বরং নিজেরাই মার খেয়েছে। গত সোমবারও তাই ঘটেছে। এর কারণ কি? আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অধিকাংশই কি রাষ্ট্রবিরোধী ও নাশকতামূলক ষড়যন্ত্র আগেই ধরে ফেলার ব্যাপারে অক্ষম অথবা ব্যর্থ? আর আমাদের পুলিশ বাহিনীও কি হার্মাদদের তুলনায় সংখ্যাল্প অথবা পর্যাপ্ত অস্ত্রের অধিকারী নয়? নাকি ওপরতলার কারও নির্দেশে পলাশীর যুদ্ধের সময়ের মতো নবাবের সৈন্যবাহিনীর নিষ্ক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করছে?
নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের উচিত, এ সম্ভাবনার সকল দিক খতিয়ে দেখা এবং গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ বাহিনীকে আরও সক্ষম ও সক্রিয় করে তোলার ব্যবস্থা করা। জামায়াতের হার্মাদ বাহিনীর পেছনে যে জনসমর্থনের কানাকড়িও নেই, তা গত সোমবারের ঘটনাতেও প্রমাণিত হয়েছে। চোরাগোপ্তা হামলা, পাবলিক প্রপার্টি ধ্বংস করে আত্মগোপন করাই হচ্ছে তাদের বর্তমান নাশকতামূলক কাজের কৌশল। এই নাশকতামূলক কাজ দ্বারা তারা জনগণের মনে ভীতি সৃষ্টি করতে পারে, তাদের সমর্থন আদায় করতে পারে না এবং জামায়াত বহুকাল যাবত চেষ্টা করেও ’৭১- এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি প্রশ্নের দেশবাসীর মধ্যে সামান্য সমর্থনও গড়ে তুলতে পারেনি। সরকার যদি দুর্বলতা না দেখিয়ে কঠোরভাবে এদের দমন করে, তাহলেই বরং জনসাধারণের অকুণ্ঠ সমর্থন পাবে। যুদ্ধাপরাধী এবং মানবতার শত্রুদের বিচার ও দ-দানের ব্যাপারে বাংলাদেশের মানুষ যে ঐক্যবদ্ধ ও এককাট্টা, বহুবার তারা তার প্রমাণ দিয়েছে।
জনসমর্থন ও জনসহানুভূতির অভাবে যেমন জামায়াত বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে এত ধ্বংসাত্মক তৎপরতা চালিয়ে, এমনকি বিএনপির মদদ ও সমর্থন নিয়েও এগুতে পারছে না, তেমনি সরকারকেও যদি স্বাধীনতাবিরোধী এবং মানবতার শত্রুদের ধ্বংসাত্মক তৎপরতা সফলভাবে বন্ধ করতে হয়, তাহলে কেবল প্রশাসনিক তৎপরতা দ্বারা তা বন্ধ করা যাবে না, তার সঙ্গে জনক্রোধ ও জনসমর্থনকে যুক্ত এবং সক্রিয় করে তুলতে হবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও দ-দানের ব্যাপারে বর্তমান সরকারের তৎপরতার পেছনে ঐক্যবদ্ধ জনসমর্থন বর্তমান। কিন্তু এই বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়া এবং যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থক দল ও গ্রুপগুলোর বিশেষ করে তাদের হার্মাদ বাহিনীর আন্দোলনের নামে তঞ্চকতা ও দস্যুবৃত্তি দমনে আপাতদৃষ্টিতে সরকারের যে দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে, তাতে জনসাধারণও বিভ্রান্ত এবং হার্মাদ দমনে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে সক্রিয় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এগিয়ে আসতে দ্বিধাগ্রস্ত। হার্মাদদের বিরুদ্ধে সরকারকে সবলনীতি ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে গণশক্তির দ্বিধা ও আড়ষ্টতা কাটাতে সাহায্য যোগাতে হবে। সরকার সবল নীতি গ্রহণ করলে দেশের মানুষকে অবশ্যই তারা পাশে পাবেন।
দেশের মানুষের এই ভূমিকার পরিচয় অতীতে কি পাওয়া যায়নি? শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে “একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল আন্দোলন” যখন তুঙ্গে এবং গণআদালত গঠন করে যখন ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের মক্ ট্রায়াল চলছে; তখন পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে উত্তাল জনতা কি সেই বিচারে সমর্থন দেয়নি? ঢাকার রাজপথে নরপশু গোলাম আযমের ছবি মাটিতে ফেলে আবাল বৃদ্ধবনিতা ঘৃণার সঙ্গে পদদলিত করেনি? তখন কি এই হার্মাদ বাহিনী মাঠে নামার সাহস দেখিয়েছিল? তখন তো জামায়াতের দোসর বিএনপি সরকার ক্ষমতায় ছিল, তারা কি ক্ষমতার দ- হাতে এই গণতরঙ্গ মোকাবেলা করতে পেরেছিল?
আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বর্তমান সরকার যদি সকল দ্বিধা ও দুর্বলতা ত্যাগ করে হার্মাদ দমনে কঠোর হয়, তাহলে দেশের মানুষও এই হার্মাদ প্রতিরোধে তাদের মনোবল, সাহস ও ঐক্য ফিরে পাবে এবং সরকারের পেছনে দাঁড়াবে। বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশ থেকে জামায়াতী উৎপাত দমনে সাফল্যের পরিচয় দেখিয়েছেন। এখন এই ‘দুষ্ট মুষিকের উপদ্রব।’ স্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন্য তাকে আরও কুশলী ও সাহসী হতে হবে। তাকে তার পূর্বসূরি সাহারা খাতুনের মতো ‘কমনীয় মাতৃহৃদয়’ নিয়ে এগুলে চলবে না, ‘ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা’, সেখানে তাকে নিষ্ঠুর হতেই হবে।
ষাটের দশকের শেষ দিকে এবং সত্তরের দশকের সূচনায় পশ্চিমবঙ্গে নকশাল সন্ত্রাস দমনের জন্য যখন ইন্দিরা গান্ধী কঠোর দমন নীতি চালান, কলকাতার রাস্তায় পর্যন্ত যখন চলেছে, কাটা রাইফেলধারী নকশালীদের সঙ্গে ভারতের মেশিনগানধারী সিআরপির যুদ্ধ; তখন ইন্দিরা গান্ধী এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন; ‘আমি একটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের (ঢ়ড়ষরঃরপধষ ড়ঢ়ঢ়ড়হবহঃ) মোকাবেলা করছি না যে, আমাকে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পন্থায় এগুতে হবে। আমি এখন জনগণের ধনসম্পত্তি নষ্টকারী একটি সশস্ত্র ধ্বংসাত্মক চক্রের বিরুদ্ধে দেশের অখ-তা ও জনগণের নিরাপত্তা রক্ষার যুদ্ধে ব্যাপৃত। এখানে আমাকে যুদ্ধকালীন কঠোরতা দেখাতেই হবে।’
ইন্দিরা গান্ধীর এই কথাটি ২০১৩ সালের বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও বলার সময় এসেছে। তিনি নিশ্চয়ই উপলব্ধি করছেন, বাংলাদেশে জামায়াত ও তার উপসংগঠনগুলো কোন রাজনৈতিক সংগঠন নয়, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষও নয়। এই দল বিদেশী অর্থে পুষ্ট এবং সংগঠিত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী এবং জনগণের শত্রু। একাত্তর সালে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং এখনও সেই একই লক্ষ্য অর্জনের যুদ্ধে ব্যাপৃত। এরা আওয়ামী লীগের বা কোন রাজনৈতিক দলের প্রতিপক্ষ নয়; এরা গোটা বাংলাদেশের শত্রু। যুদ্ধের মাঠের নিয়মকানুনই এদের বেলায় প্রয়োগ করতে হবে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি যে গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক মোকাবেলার নীতি গ্রহণ করা হয়। জামায়াতীদের বেলায় তা গ্রহণ করা যুক্তিযুক্ত নয়। সর্বাত্মক পন্থায় সমূলে এদের উচ্ছেদ ঘটাতে হবে। নইলে বাংলাদেশের মাটি ও মানুষ এবং তার স্বাধীনতা নিরাপদ হবে না।
বর্তমান গণতান্ত্রিক বিশ্বের কোথাও রাষ্ট্রবিরোধী, গণবিরোধী এবং গণতন্ত্র বিরোধীদের জাতীয় রাজনীতিতে অবস্থান গ্রহণে সুযোগ দেয়া হয় না; বরং কঠোর হাতে দমন করা হয়। ব্রিটেনে ব্রিটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি), ন্যাশনাল ফ্রন্ট ইত্যাদি দল গণতন্ত্রবিরোধী, ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে চিহ্নিত এবং জাতীয় রাজনীতি থেকে বহিষ্কৃত। এই ফ্যাসিস্টদের রোখায় ব্যাপারে ব্রিটেনের লেবার, টোরি এবং লিবারেল কোন দলের মধ্যেই কোন দ্বিমত নেই। ফ্রান্সে এবং জার্মানিতেও নিউ নাৎসী দলগুলোকে দেশের রাজনীতি থেকে উৎখাতের ব্যাপারে ক্যাপিটালিস্ট, সোস্যালিস্ট ইত্যাদি দল একমত এবং ঐক্যবদ্ধ।
একমাত্র বাংলাদেশই এর ব্যতিক্রম, যে দেশে জামায়াতের মতো একটি বা একাধিক ধর্মব্যবসায়ী, রাষ্ট্র এবং গণতন্ত্রের শত্রু ফ্যাসিস্ট দল দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভ্রষ্ট অংশ, সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবী ও মিডিয়ার মধ্যে শক্তিশালী সমর্থক- কোটারি গঠনে সমর্থ হয়েছে। এমনকি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতেও সমর্থ হয়েছিল। দেশের সামরিক শাসকদের প্রশ্রয়েও পৃষ্ঠপোষকতায় আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাতেও এরা একটা শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলেছে। এদের পেছনে মধ্যপ্রাচ্যের সামন্তবাদী এবং ইউরোপ আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী মহলের জোরালো সমর্থন আছে। কিন্তু এদের যেটা নেই, সেটা হলো দেশের ভেতরে কোন জনসমর্থন। ফলে দুর্বৃত্তপনা, জঙ্গীপনা এবং গুন্ডামি এদের একমাত্র রাজনৈতিক পন্থা। একটু কঠোর হলেই দেশের গণতান্ত্রিক সরকার এদের দমন করতে অবশ্যই সক্ষম হবে। দেশী-বিদেশী মদদ এদের রক্ষা করতে পারবে না।
প্রোপাগাণ্ডা এই জামায়াতী হামার্দদের একটা বড় অস্ত্র। বাংলাদেশের মানুষ এবং তাদের গণতান্ত্রিক সরকারকে ভয় দেখানো ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং দ-দান থেকে নিবৃত্ত করার উদ্দেশ্যে এরা এখন প্রচার চালাচ্ছে, তাদের শিবিরে ট্রেনিং প্রাপ্ত এক শ’-দেড় শ’র মতো সুইসাইড স্কোয়াড প্রস্তুত আছে। তারা যে কোন মুহূর্তে বাংলাদেশের মাটিতে সক্রিয় হয়ে ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি করবে।
আমার মতে, এই প্রোপাগাণ্ডা সত্য হোক আর মিথ্যা হোক সরকারের আগে ভাগেই সতর্ক হওয়া উচিত এবং এই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার নিদ্র ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। তবে আমার মতো অনেকেরই ধারণা, একটা জামায়াতীদের ভয় দেখানো হুমকি। সরকার ও দেশের মানুষের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টির অপচেষ্টা। জামায়াতীরা সৌদি অর্থে পুষ্ট বিলাসী কাপুরুষ। মধ্যপ্রাচ্যের হামাস আল ফাতাহ বা অন্য সাম্রাজ্যবাদীবিরোধী যোদ্ধা গ্রুপগুলোর মতো সাহসী নয়, প্রকৃত যোদ্ধাও নয়। এরা বিশেষত জামায়াত সৌদি আরব, আমেরিকা প্রভৃতি দেশের অর্থ ও মদদপুষ্ট এবং তাদের পোষা জঙ্গী মৌলবাদী। এরা দাঁত দেখাতে পারে, কামড়াতে এখনও সক্ষম কিনা তা সন্দেহতীত নয়। এরা শক্তের ভক্ত, নরমের যম। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় ‘যখনি জাগিবে তুমি/তখনি সে পালাইবে ধেয়ে।’ হাসিনা সরকারের কাছে আমার অনুরোধ এই হার্মাদ দমনে কঠোর হোন।
লন্ডন, ২৯ জানুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০১৩।
No comments