সংসদীয় কমিটির উদ্বেগ-হুমকির মুখে পড়েন প্রধানমন্ত্রীও
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতার কারণেই যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় জামায়াত-শিবিরচক্রের পক্ষে সারা দেশে তাণ্ডব চালানো সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করে সংসদীয় কমিটি। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন কমিটি।
গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, সোমবার মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য প্রধানমন্ত্রী জামায়াত-শিবিরের হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, কমিটির সভাপতি ছায়েদুল হক নিজেই অনির্ধারিত এই আলোচনা তোলেন। তাঁর বক্তব্যকে কমিটির অন্য সদস্যরাও সমর্থন করেন। একাধিক সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোথাও অবস্থান করলে সেই এলাকা কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে থাকার কথা। কিন্তু গত সোমবার সচিবালয়ে তা ছিল না। এ কারণেই সচিবালয়ের আশপাশের এলাকায় জামায়াত-শিবির অনবরত ককটেল ফাটানোর সুযোগ পায়। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসেই ককটেলের শব্দ শুনতে পান।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ে যাওয়ার পরই জামায়াত-শিবির পরিকল্পিতভাবে এর আশপাশের এলাকায় চোরাগোপ্তা হামলা চালায়। প্রধানমন্ত্রী কোথাও উপস্থিত থাকলে সেই এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকার কথা। কিন্তু সোমবার তা দেখা যায়নি। এটি গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতা। সংসদীয় কমিটি মনে করে, জামায়াত-শিবিরের ওই ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তারা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে এই তাণ্ডব চালিয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের আরো সতর্ক হওয়ার দরকার ছিল।
হাবিবুর রহমানের এ বক্তব্যের সূত্র ধরে কমিটির আরেক সদস্য সানজিদা খানম বলেন, সচিবালয়ের মতো এলাকায় এ রকম ঘটনা ঘটে কিভাবে? অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে কয়েক শ জামায়াত-শিবিরকর্মী ইচ্ছা করলেই সচিবালয়ে ঢুকতে পারত। এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।
বৈঠকে থাকা ঢাকার পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ এ সময় বলেন, শিবিরকর্মীরা তাদের বেশভূষা পুরোটাই পরিবর্তন করেছে। তারা আগের মতো আর দাড়ি রাখে না। পাঞ্জাবি-টুপিও পরে না। এখন তারা আধুনিক পোশাক পরে। চুলের ছাঁটেও পরিবর্তন এনেছে। এ কারণে তারা সহজেই জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। তবে পুলিশ জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব তৎক্ষণিকভাবে প্রতিহত করেছে। পুলিশি তাড়া খাওয়ার সময় তারা তাণ্ডব চালায়।
পুলিশের এই বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় দাবি করে কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, শিবির পুলিশের গাড়ি পর্যন্ত পোড়াবে, আক্রমণ করবে। তাহলে জনগণের নিরাপত্তা দেবে কারা? কমিটির সদস্যরা ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান। বিশেষ করে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও কাদের মোল্লার রায় ঘোষণাকে সামনে রেখে নিরাপত্তা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তাঁরা।
বৈঠকের বিষয়ে কমিটির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। কমিটি এ ঘটনার জন্য গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতাকে দায়ী করে আরো সতর্ক হওয়ার সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা জোরদার করতে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী অনুপস্থিত : গতকালের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু দুজনই অনুপস্থিত ছিলেন। এমনকি স্বরাষ্ট্রসচিব কিউ কে মোশতাক আহমেদও বৈঠকে যাননি। ফলে কমিটির সদস্যদের অনেক প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কমিটির একাধিক সদস্য। ভবিষ্যতে সংসদীয় কমিটির বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা আন্তরিক হবেন বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, কমিটির সভাপতি ছায়েদুল হক নিজেই অনির্ধারিত এই আলোচনা তোলেন। তাঁর বক্তব্যকে কমিটির অন্য সদস্যরাও সমর্থন করেন। একাধিক সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোথাও অবস্থান করলে সেই এলাকা কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে থাকার কথা। কিন্তু গত সোমবার সচিবালয়ে তা ছিল না। এ কারণেই সচিবালয়ের আশপাশের এলাকায় জামায়াত-শিবির অনবরত ককটেল ফাটানোর সুযোগ পায়। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসেই ককটেলের শব্দ শুনতে পান।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ে যাওয়ার পরই জামায়াত-শিবির পরিকল্পিতভাবে এর আশপাশের এলাকায় চোরাগোপ্তা হামলা চালায়। প্রধানমন্ত্রী কোথাও উপস্থিত থাকলে সেই এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকার কথা। কিন্তু সোমবার তা দেখা যায়নি। এটি গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতা। সংসদীয় কমিটি মনে করে, জামায়াত-শিবিরের ওই ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তারা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে এই তাণ্ডব চালিয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের আরো সতর্ক হওয়ার দরকার ছিল।
হাবিবুর রহমানের এ বক্তব্যের সূত্র ধরে কমিটির আরেক সদস্য সানজিদা খানম বলেন, সচিবালয়ের মতো এলাকায় এ রকম ঘটনা ঘটে কিভাবে? অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে কয়েক শ জামায়াত-শিবিরকর্মী ইচ্ছা করলেই সচিবালয়ে ঢুকতে পারত। এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।
বৈঠকে থাকা ঢাকার পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ এ সময় বলেন, শিবিরকর্মীরা তাদের বেশভূষা পুরোটাই পরিবর্তন করেছে। তারা আগের মতো আর দাড়ি রাখে না। পাঞ্জাবি-টুপিও পরে না। এখন তারা আধুনিক পোশাক পরে। চুলের ছাঁটেও পরিবর্তন এনেছে। এ কারণে তারা সহজেই জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। তবে পুলিশ জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব তৎক্ষণিকভাবে প্রতিহত করেছে। পুলিশি তাড়া খাওয়ার সময় তারা তাণ্ডব চালায়।
পুলিশের এই বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় দাবি করে কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, শিবির পুলিশের গাড়ি পর্যন্ত পোড়াবে, আক্রমণ করবে। তাহলে জনগণের নিরাপত্তা দেবে কারা? কমিটির সদস্যরা ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান। বিশেষ করে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও কাদের মোল্লার রায় ঘোষণাকে সামনে রেখে নিরাপত্তা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তাঁরা।
বৈঠকের বিষয়ে কমিটির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। কমিটি এ ঘটনার জন্য গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতাকে দায়ী করে আরো সতর্ক হওয়ার সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা জোরদার করতে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী অনুপস্থিত : গতকালের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু দুজনই অনুপস্থিত ছিলেন। এমনকি স্বরাষ্ট্রসচিব কিউ কে মোশতাক আহমেদও বৈঠকে যাননি। ফলে কমিটির সদস্যদের অনেক প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কমিটির একাধিক সদস্য। ভবিষ্যতে সংসদীয় কমিটির বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা আন্তরিক হবেন বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন।
No comments