মিসরে কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভ-রাষ্ট্রব্যবস্থা পতনের আশঙ্কা সেনাপ্রধানের-সোমবার পর্যন্ত দেশজুড়ে অন্তত ৬০ জন মারা গেছে
মিসরে জরুরি অবস্থা ও সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করেছে মানুষ। গত সোমবার টানা পঞ্চম দিনের মতো সুয়েজ খাল-সংলগ্ন তিন শহর- পোর্ট সাইদ, ইসমালিয়া ও সুয়েজে বিক্ষোভ হয়েছে। আলেকজান্দ্রিয়া ও রাজধানী কায়রোতেও রাস্তায় নেমেছে মানুষ।
এই দিনও কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ পরিস্থিতিতে গতকাল মঙ্গলবার সেনাপ্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবদেল ফাতাহ আল সিসি 'রাষ্ট্রব্যবস্থা পতনের' আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
আগামী শুক্রবার দেশজুড়ে গণবিক্ষোভের ডাক দিয়েছে প্রধান বিরোধী জোট- ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্ট (এনএসএফ)। জাতীয় সংলাপে বসার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির আহবান আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে তারা। এ অবস্থায় পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সোমবার পর্যন্ত দেশজুড়ে অন্তত ৬০ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে বহু মানুষ। চলমান বিক্ষোভের মূল ক্ষেত্র সুয়েজ খাল-সংলগ্ন শহরগুলো হওয়ায় আমদানি-রপ্তানিতেও ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, এসব শহরের বন্দরগুলো ব্যবহার করে জাহাজে পণ্য আনা-নেওয়া হয়। পোর্ট সাইদ ও সুয়েজে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
পোর্ট সাইদের একটি ফুটবল মাঠে দাঙ্গার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে গত শনিবার থেকে চলমান সহিংসতার শুরু। গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি কায়রোর আল-আহলি ও স্থানীয় আল-মাসরি ক্লাবের মধ্যে খেলা চলার সময় সহিংসতায় মারা যায় ৭৪ জন। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে শনিবার ২১ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এ রায়কে 'রাজনৈতিক' আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভে নামে মানুষ। এর আগে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় দেশজুড়ে মারা যায় ১১ জন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় রবিবার ৩০ দিনের জরুরি অবস্থা ও সান্ধ্য আইন জারির ঘোষণা দেন মুরসি। এর পর সোমবার মন্ত্রিসভা মুরসিকে সেনা মোতায়েনের ক্ষমতা দিয়ে একটি খসড়া আইনের অনুমোদন দেয়।
সেনাপ্রধান সিসি গতকাল একটি সামরিক একাডেমীতে দেওয়া ভাষণে বলেন, 'বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে সংঘাত চলতে থাকলে এবং তাদের মধ্যে মতভেদ দূর না হলে রাষ্ট্রব্যবস্থা পতনের দিকে এগিয়ে যাবে। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ঝুঁকির মুখে পড়বে।'
রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এমইএনএ জানিয়েছে, সোমবার পোর্ট সাইদে আগের দিন নিহত তিনজনের শেষকৃত্যের সময় সহিংসতায় ছয়জন মারা যায়। পরে রাতে দ্বিতীয় দফায় কারফিউ চলার সময়ও রাস্তায় নামে হাজারো মানুষ। এ সময় বেশ কয়েকটি থানায় হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের গুলিতে একজন মারা যায় তখন। পরে আহত তিনজনের মৃত্যু হয়। সূত্র : বিবিসি, এপি, জিনিউজ।
আগামী শুক্রবার দেশজুড়ে গণবিক্ষোভের ডাক দিয়েছে প্রধান বিরোধী জোট- ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্ট (এনএসএফ)। জাতীয় সংলাপে বসার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির আহবান আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে তারা। এ অবস্থায় পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সোমবার পর্যন্ত দেশজুড়ে অন্তত ৬০ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে বহু মানুষ। চলমান বিক্ষোভের মূল ক্ষেত্র সুয়েজ খাল-সংলগ্ন শহরগুলো হওয়ায় আমদানি-রপ্তানিতেও ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, এসব শহরের বন্দরগুলো ব্যবহার করে জাহাজে পণ্য আনা-নেওয়া হয়। পোর্ট সাইদ ও সুয়েজে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
পোর্ট সাইদের একটি ফুটবল মাঠে দাঙ্গার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে গত শনিবার থেকে চলমান সহিংসতার শুরু। গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি কায়রোর আল-আহলি ও স্থানীয় আল-মাসরি ক্লাবের মধ্যে খেলা চলার সময় সহিংসতায় মারা যায় ৭৪ জন। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে শনিবার ২১ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এ রায়কে 'রাজনৈতিক' আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভে নামে মানুষ। এর আগে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় দেশজুড়ে মারা যায় ১১ জন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় রবিবার ৩০ দিনের জরুরি অবস্থা ও সান্ধ্য আইন জারির ঘোষণা দেন মুরসি। এর পর সোমবার মন্ত্রিসভা মুরসিকে সেনা মোতায়েনের ক্ষমতা দিয়ে একটি খসড়া আইনের অনুমোদন দেয়।
সেনাপ্রধান সিসি গতকাল একটি সামরিক একাডেমীতে দেওয়া ভাষণে বলেন, 'বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে সংঘাত চলতে থাকলে এবং তাদের মধ্যে মতভেদ দূর না হলে রাষ্ট্রব্যবস্থা পতনের দিকে এগিয়ে যাবে। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ঝুঁকির মুখে পড়বে।'
রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এমইএনএ জানিয়েছে, সোমবার পোর্ট সাইদে আগের দিন নিহত তিনজনের শেষকৃত্যের সময় সহিংসতায় ছয়জন মারা যায়। পরে রাতে দ্বিতীয় দফায় কারফিউ চলার সময়ও রাস্তায় নামে হাজারো মানুষ। এ সময় বেশ কয়েকটি থানায় হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের গুলিতে একজন মারা যায় তখন। পরে আহত তিনজনের মৃত্যু হয়। সূত্র : বিবিসি, এপি, জিনিউজ।
No comments