বিএনপির প্রতিক্রিয়া-জামায়াত-শিবিরের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্ক নেই
জামায়াত-শিবিরের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। কয়েক দিন ধরে জামায়াত ও শিবিরের নেতা-কর্মীরা একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর হামলা,
গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ যে সহিংসতা চালাচ্ছে তার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক না থাকার কথা জোর দিয়ে জানিয়েছেন শীর্ষ নেতারা। তাঁরা এগুলো জামায়াত-শিবিরের নিজস্ব কর্মসূচি বলে উল্লেখ করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের কাছে গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'জামায়াতে ইসলামী আমাদের জোটের শরিক দল। কিন্তু প্রত্যেক দলেরই নিজস্ব কিছু কর্মসূচি ও কর্মকাণ্ড থাকে। গত দুদিন ধরে জামায়াত-শিবির যা করছে তা সবই তাদের নিজস্ব ব্যাপার। এর সঙ্গে বিএনপির বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই।' তিনি আরো বলেন, 'আমরা যখন ১৮ দলীয় জোটের কর্মসূচি ঘোষণা করব তখন জামায়াত থাকবে। এর বাইরে জামায়াতের কর্মসূচির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই।'
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গ্রেপ্তার হওয়ার পর দলের সমন্বয়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত তরিকুল ইসলাম বলেন, 'বিএনপি গোপন কোনো কর্মসূচি কখনো দেয়নি, দেবেও না।'
শিবিরের সাম্প্রতিক তাণ্ডবের সঙ্গে বিএনপি সরাসরি জড়িত বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একজন মন্ত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করে এই বিএনপি নেতা বলেন, 'আওয়ামী লীগের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। এ জন্য তারা নিজেদের ছায়া দেখলেও ভয় পায়।' আরেক প্রশ্নের জবাবে তরিকুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মারধর করাটা যেমন ঠিক নয়, তেমনি পুলিশের উচ্চ পদে আসীন হয়ে বেআইনি নির্দেশ দেওয়াও ঠিক হয়নি।
বিএনপির আরো কয়েকজন নেতাও জামায়াত-শিবিরের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন না করা ও এর সঙ্গে দলের সম্পর্ক না থাকার কথা জানিয়েছেন।
বিএনপির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'জামায়াত-শিবিরের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে বলেই তারা এটা করছে। আগেই বলেছি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিএনপি চায়। কিন্তু বিচার হতে হবে আন্তর্জাতিকমানের, স্বচ্ছ ও রাজনৈতিক এজেন্ডার বাইরে।' তিনি আরো বলেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে শিবির যেসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, তা খুবই খারাপ নজির। এই সহিংসতা দমন করা উচিত। বিএনপির আরেক নেতা একইভাবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জামায়াত যেসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তাতে বিএনপি জড়িত না থাকলেও দেশের সাধারণ মানুষ মনে করছে বিএনপি এর পেছনে আছে। কিন্তু জামায়াতের নিজস্ব কর্মসূচির সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই এটা সত্য।
পুলিশের ওপর হামলা দুঃখজনক, পুলিশের আচরণও বেআইনি- ফারুক : সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বলেন, পুলিশের ওপর জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের কর্মীদের হামলা দুঃখজনক হলেও সরকারের দলীয়করণের কারণে পুলিশ যে বেআইনি আচরণ করছে এটাও দুঃখজনক। বিএনপি কখনো সহিংসতা ও গাড়ি ভাঙচুরের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।
তিনি আরো বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপকে পেটানোর জন্য মহানগর পুলিশের ডিসি হারুন অর রশীদকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীর পথ অনুসরণ করে এবার ঢাকার পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেছেন, শিবির দেখামাত্র গুলি করা হবে। এ থেকে বোঝা যায়, সরকারের দলীয়করণে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা পুলিশ ও র্যাব কিভাবে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। তারা আইনের নামে বেআইনি আচরণ করছে। তবে পুলিশের ওপর শিবিরের ঝটিকা আক্রমণে কিছু পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক। কিন্তু পুলিশের উচ্চ পদে আসীন হয়ে কমিশনার বেনজীর আহমেদ কাউকে গুলি করার নির্দেশ দিতে পারেন না। এটা বেআইনি।
মন্ত্রীর অভিযোগ : এদিকে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার শিবির যখন হামলা চালিয়েছে, সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এ ছাড়া শিবিরের হামলার পর ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম ওই দিন তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলেন। এতে প্রমাণিত হয় শিবিরের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপি সরাসরি যুক্ত।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের কাছে গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'জামায়াতে ইসলামী আমাদের জোটের শরিক দল। কিন্তু প্রত্যেক দলেরই নিজস্ব কিছু কর্মসূচি ও কর্মকাণ্ড থাকে। গত দুদিন ধরে জামায়াত-শিবির যা করছে তা সবই তাদের নিজস্ব ব্যাপার। এর সঙ্গে বিএনপির বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই।' তিনি আরো বলেন, 'আমরা যখন ১৮ দলীয় জোটের কর্মসূচি ঘোষণা করব তখন জামায়াত থাকবে। এর বাইরে জামায়াতের কর্মসূচির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই।'
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গ্রেপ্তার হওয়ার পর দলের সমন্বয়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত তরিকুল ইসলাম বলেন, 'বিএনপি গোপন কোনো কর্মসূচি কখনো দেয়নি, দেবেও না।'
শিবিরের সাম্প্রতিক তাণ্ডবের সঙ্গে বিএনপি সরাসরি জড়িত বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একজন মন্ত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করে এই বিএনপি নেতা বলেন, 'আওয়ামী লীগের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। এ জন্য তারা নিজেদের ছায়া দেখলেও ভয় পায়।' আরেক প্রশ্নের জবাবে তরিকুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মারধর করাটা যেমন ঠিক নয়, তেমনি পুলিশের উচ্চ পদে আসীন হয়ে বেআইনি নির্দেশ দেওয়াও ঠিক হয়নি।
বিএনপির আরো কয়েকজন নেতাও জামায়াত-শিবিরের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন না করা ও এর সঙ্গে দলের সম্পর্ক না থাকার কথা জানিয়েছেন।
বিএনপির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'জামায়াত-শিবিরের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে বলেই তারা এটা করছে। আগেই বলেছি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিএনপি চায়। কিন্তু বিচার হতে হবে আন্তর্জাতিকমানের, স্বচ্ছ ও রাজনৈতিক এজেন্ডার বাইরে।' তিনি আরো বলেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে শিবির যেসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, তা খুবই খারাপ নজির। এই সহিংসতা দমন করা উচিত। বিএনপির আরেক নেতা একইভাবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জামায়াত যেসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তাতে বিএনপি জড়িত না থাকলেও দেশের সাধারণ মানুষ মনে করছে বিএনপি এর পেছনে আছে। কিন্তু জামায়াতের নিজস্ব কর্মসূচির সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই এটা সত্য।
পুলিশের ওপর হামলা দুঃখজনক, পুলিশের আচরণও বেআইনি- ফারুক : সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বলেন, পুলিশের ওপর জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের কর্মীদের হামলা দুঃখজনক হলেও সরকারের দলীয়করণের কারণে পুলিশ যে বেআইনি আচরণ করছে এটাও দুঃখজনক। বিএনপি কখনো সহিংসতা ও গাড়ি ভাঙচুরের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।
তিনি আরো বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপকে পেটানোর জন্য মহানগর পুলিশের ডিসি হারুন অর রশীদকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীর পথ অনুসরণ করে এবার ঢাকার পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেছেন, শিবির দেখামাত্র গুলি করা হবে। এ থেকে বোঝা যায়, সরকারের দলীয়করণে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা পুলিশ ও র্যাব কিভাবে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। তারা আইনের নামে বেআইনি আচরণ করছে। তবে পুলিশের ওপর শিবিরের ঝটিকা আক্রমণে কিছু পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক। কিন্তু পুলিশের উচ্চ পদে আসীন হয়ে কমিশনার বেনজীর আহমেদ কাউকে গুলি করার নির্দেশ দিতে পারেন না। এটা বেআইনি।
মন্ত্রীর অভিযোগ : এদিকে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার শিবির যখন হামলা চালিয়েছে, সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এ ছাড়া শিবিরের হামলার পর ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম ওই দিন তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলেন। এতে প্রমাণিত হয় শিবিরের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপি সরাসরি যুক্ত।
No comments