শিবিরের 'ঘূর্ণিসন্ত্রাস'-সাত মামলায় আসামি ৭০০ গ্রেপ্তার ৫৩
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সোমবার জামায়াত-শিবিরের সহিংসতার ঘটনায় সাতটি মামলা হয়েছে। মতিঝিল, পল্টন, শাহবাগ ও যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে কমপক্ষে ৭০০ জনকে। এর মধ্যে এজাহারনামীয় আসামি ৮২ জন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৩ জনকে।
এদের মধ্যে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান, সমাজসেবা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানসহ তিন নেতা রয়েছেন।
এ ছাড়া দেশের ছয় জেলায় জামায়াত-শিবিরের ৬০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফরিদপুরে পুলিশের কাজে বাধাদান এবং দিনাজপুরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশ জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেছেন, শিবিরকর্মীরা বেশভূষা অনেকটাই পরিবর্তন করে ফেলেছে। পাঞ্জাবি-টুপি পরে না। আগের মতো দাড়িও রাখে না। ফলে তাদের চেনা যাচ্ছে না। গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে শিবিরের সাম্প্রতিক তাণ্ডব নিয়ে সদস্যদের তোপের মুখে তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের হওয়া সাত মামলার মধ্যে দুটি বিস্ফোরকদ্রব্য আইন ও একটি দ্রুত বিচার আইনের মামলা রয়েছে। অন্যগুলো পেনাল কোডে দায়ের হয়েছে। অনেককে একাধিক থানার মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মতিঝিল থানার দুটি মামলাই দায়ের হয়েছে পেনাল কোডে। আসামির সংখ্যা ছয় শতাধিক। এদের মধ্যে এজাহারে নাম রয়েছে ৬০ জনের। বাকিরা অজ্ঞাতপরিচয়। গ্রেপ্তার হয়েছে ৩০ জন।
শাহবাগ থানায় দায়ের করা দুটি মামলার একটি পেনাল কোডে, অন্যটি বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে। দুটি মামলার মোট পাঁচ আসামির সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পল্টন থানায়ও দুটি মামলা হয়েছে। এতে ১৭ জন এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতপরিচয় প্রায় ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার রয়েছে ১৩ জন।
সূত্রাপুর থানায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দায়ের করা একমাত্র মামলার সব আসামিই অজ্ঞাতপরিচয়। আসামির সংখ্যাও উল্লেখ নেই। এ ছাড়া কোতোয়ালি থানায় তিনজন, বংশালে একজন ও বাড্ডা থানা এলাকায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার : ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সোমবার ছাত্রশিবিরের যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। গতকাল ভোর থেকেই সচিবালয়, আদালত এলাকা, কূটনৈতিক জোনসহ নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। রাজপথের বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি। সন্দেহজনক যানবাহন দেখলেই থামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, শাহবাগ, বাংলামোটর, প্রেসক্লাব, ফকিরাপুল, পল্টন, দৈনিক বাংলা মোড়, সংসদ ভবন এলাকা, গুলশান, বারিধারা, বনানী, মতিঝিল, সচিবালয়, মুক্তাঙ্গন, ভিক্টোরিয়া পার্কসহ বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান নেয়। সড়কের মোড়ে মোড়ে র্যাব-পুলিশের টহল ছিল চোখে পড়ার মতো।
জানা গেছে, গুলশানে বিভিন্ন দূতাবাসের সামনে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সচিবালয়ের চারপাশে, তারকা হোটেল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সামনে পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে সচিবালয়, কূটনৈতিক জোনসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জামায়াত-শিবির আবারও হামলা-নাশকতার পরিকল্পনা করছে- এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা।
উপপুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নগরী, বিশেষ করে মতিঝিল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড : সোমবারের সহিংস ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৫১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ মো. ইয়াহইয়াকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
সোমবারের সহিংসতায় গ্রেপ্তার ৫১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন পৃথক তিন আদালত। মতিঝিল থানার দুই মামলায় ৩৪ আসামির পাঁচ দিন করে ১০ দিন, পল্টন থানার এক মামলায় ১২ আসামির পাঁচ দিন, শাহবাগ থানার দুই মামলায় পাঁচ আসামির তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সহিদুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান ও সাইফুর রহমান গতকাল পৃথক পাঁচ মামলায় এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ : জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন ও সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল জব্বার এই প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে তাঁরা মামলা প্রত্যাহার করে আটক নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
এ ছাড়া দেশের ছয় জেলায় জামায়াত-শিবিরের ৬০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফরিদপুরে পুলিশের কাজে বাধাদান এবং দিনাজপুরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশ জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেছেন, শিবিরকর্মীরা বেশভূষা অনেকটাই পরিবর্তন করে ফেলেছে। পাঞ্জাবি-টুপি পরে না। আগের মতো দাড়িও রাখে না। ফলে তাদের চেনা যাচ্ছে না। গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে শিবিরের সাম্প্রতিক তাণ্ডব নিয়ে সদস্যদের তোপের মুখে তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের হওয়া সাত মামলার মধ্যে দুটি বিস্ফোরকদ্রব্য আইন ও একটি দ্রুত বিচার আইনের মামলা রয়েছে। অন্যগুলো পেনাল কোডে দায়ের হয়েছে। অনেককে একাধিক থানার মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মতিঝিল থানার দুটি মামলাই দায়ের হয়েছে পেনাল কোডে। আসামির সংখ্যা ছয় শতাধিক। এদের মধ্যে এজাহারে নাম রয়েছে ৬০ জনের। বাকিরা অজ্ঞাতপরিচয়। গ্রেপ্তার হয়েছে ৩০ জন।
শাহবাগ থানায় দায়ের করা দুটি মামলার একটি পেনাল কোডে, অন্যটি বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে। দুটি মামলার মোট পাঁচ আসামির সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পল্টন থানায়ও দুটি মামলা হয়েছে। এতে ১৭ জন এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতপরিচয় প্রায় ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার রয়েছে ১৩ জন।
সূত্রাপুর থানায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দায়ের করা একমাত্র মামলার সব আসামিই অজ্ঞাতপরিচয়। আসামির সংখ্যাও উল্লেখ নেই। এ ছাড়া কোতোয়ালি থানায় তিনজন, বংশালে একজন ও বাড্ডা থানা এলাকায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার : ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সোমবার ছাত্রশিবিরের যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। গতকাল ভোর থেকেই সচিবালয়, আদালত এলাকা, কূটনৈতিক জোনসহ নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। রাজপথের বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি। সন্দেহজনক যানবাহন দেখলেই থামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, শাহবাগ, বাংলামোটর, প্রেসক্লাব, ফকিরাপুল, পল্টন, দৈনিক বাংলা মোড়, সংসদ ভবন এলাকা, গুলশান, বারিধারা, বনানী, মতিঝিল, সচিবালয়, মুক্তাঙ্গন, ভিক্টোরিয়া পার্কসহ বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান নেয়। সড়কের মোড়ে মোড়ে র্যাব-পুলিশের টহল ছিল চোখে পড়ার মতো।
জানা গেছে, গুলশানে বিভিন্ন দূতাবাসের সামনে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সচিবালয়ের চারপাশে, তারকা হোটেল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সামনে পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে সচিবালয়, কূটনৈতিক জোনসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জামায়াত-শিবির আবারও হামলা-নাশকতার পরিকল্পনা করছে- এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা।
উপপুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নগরী, বিশেষ করে মতিঝিল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড : সোমবারের সহিংস ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৫১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ মো. ইয়াহইয়াকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
সোমবারের সহিংসতায় গ্রেপ্তার ৫১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন পৃথক তিন আদালত। মতিঝিল থানার দুই মামলায় ৩৪ আসামির পাঁচ দিন করে ১০ দিন, পল্টন থানার এক মামলায় ১২ আসামির পাঁচ দিন, শাহবাগ থানার দুই মামলায় পাঁচ আসামির তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সহিদুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান ও সাইফুর রহমান গতকাল পৃথক পাঁচ মামলায় এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ : জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন ও সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল জব্বার এই প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে তাঁরা মামলা প্রত্যাহার করে আটক নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
No comments