দিল্লি গণধর্ষণ-মামলা স্থানান্তরের আর্জি খারিজ
নয়াদিল্লিতে বাসে গণধর্ষণের মামলা রাজধানী থেকে অন্য শহরে সরিয়ে নেওয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবিরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত দেন।
এদিকে এ মামলায় অভিযুক্ত কিশোরের বিচারও প্রাপ্তবয়স্ক বাকি পাঁচ আসামির সঙ্গে একই আদালতে করার আবেদন জানিয়েছেন ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বাবা।
দিল্লিতে গত ১৬ ডিসেম্বর চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন ২৩ বছরের ওই তরুণী। ১৩ দিন পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পরই জড়িত ছয়জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যা, ডাকাতি ও অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। ষষ্ঠ জনের বয়স আঠারোর কম হওয়ায় তার বিচার কিশোর অপরাধ আদালতে হবে। সেক্ষেত্রে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে তিন বছরের কারাদণ্ড।
সুপ্রিম কোর্ট গতকাল এক শুনানিতে জানান, গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত মুকেশ সিংয়ের আইনজীবী এম এল শর্মা তাঁর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনিই মামলাটি দিল্লির বাইরে স্থানান্তরের আবেদন করেছিলেন। বর্তমানে মামলার সঙ্গে শর্মার সংশ্লিষ্টতা নেই। কাজেই এ ব্যাপারে তাঁর কোনো তৎপরতাও বৈধ নয়। মুকেশের পক্ষে মামলা কে পরিচালনা করবেন, তা নিশ্চিত করতে গণধর্ষণের বিচার পরিচালনাকারী দায়রা বিচারককেও নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। আগের শুনানিতে ভি কে আনন্দ নামের এক আইনজীবী জানান, তিনি মুকেশের মামলা পরিচালনা করবেন এবং তাঁর মক্কেল মামলার স্থানান্তর চান না।
এদিকে ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাবা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই কিশোরকেও বাকিদের সঙ্গে একই আদালতে বিচারের আহবান জানিয়েছেন। এ জন্য তিনি প্রয়োজনে আইনের পরিবর্তন আনার আহবান করে বলেন, 'এ মামলায় কোনো ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যায় কি না- আমি আইনপ্রণেতাদের কাছে তা জানতে চাই। আমি সরকারের কাছ থেকে ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা চাই। এ মামলায় অভিযুক্ত ষষ্ঠ আসামি (কিশোর) আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে।' ভারতের কিশোর বিচার বোর্ড (জেজেবি) গত সোমবার জানায়, স্কুলের সনদ অনুসারে ষষ্ঠ আসামি এখনো নাবালক।
বিচার প্রক্রিয়া উন্মুক্ত করার দাবি : অভিযুক্ত মুকেশ ও তার ভাই রাম সিংয়ের আইনজীবী ভি কে আনন্দ মামলার বিচার প্রক্রিয়া সবার জন্য উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন। রুদ্ধদ্বার কক্ষে বিচার প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করবেন তিনি। সূত্র : এএফপি, পিটিআই।
দিল্লিতে গত ১৬ ডিসেম্বর চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন ২৩ বছরের ওই তরুণী। ১৩ দিন পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পরই জড়িত ছয়জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যা, ডাকাতি ও অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। ষষ্ঠ জনের বয়স আঠারোর কম হওয়ায় তার বিচার কিশোর অপরাধ আদালতে হবে। সেক্ষেত্রে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে তিন বছরের কারাদণ্ড।
সুপ্রিম কোর্ট গতকাল এক শুনানিতে জানান, গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত মুকেশ সিংয়ের আইনজীবী এম এল শর্মা তাঁর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনিই মামলাটি দিল্লির বাইরে স্থানান্তরের আবেদন করেছিলেন। বর্তমানে মামলার সঙ্গে শর্মার সংশ্লিষ্টতা নেই। কাজেই এ ব্যাপারে তাঁর কোনো তৎপরতাও বৈধ নয়। মুকেশের পক্ষে মামলা কে পরিচালনা করবেন, তা নিশ্চিত করতে গণধর্ষণের বিচার পরিচালনাকারী দায়রা বিচারককেও নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। আগের শুনানিতে ভি কে আনন্দ নামের এক আইনজীবী জানান, তিনি মুকেশের মামলা পরিচালনা করবেন এবং তাঁর মক্কেল মামলার স্থানান্তর চান না।
এদিকে ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাবা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই কিশোরকেও বাকিদের সঙ্গে একই আদালতে বিচারের আহবান জানিয়েছেন। এ জন্য তিনি প্রয়োজনে আইনের পরিবর্তন আনার আহবান করে বলেন, 'এ মামলায় কোনো ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যায় কি না- আমি আইনপ্রণেতাদের কাছে তা জানতে চাই। আমি সরকারের কাছ থেকে ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা চাই। এ মামলায় অভিযুক্ত ষষ্ঠ আসামি (কিশোর) আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে।' ভারতের কিশোর বিচার বোর্ড (জেজেবি) গত সোমবার জানায়, স্কুলের সনদ অনুসারে ষষ্ঠ আসামি এখনো নাবালক।
বিচার প্রক্রিয়া উন্মুক্ত করার দাবি : অভিযুক্ত মুকেশ ও তার ভাই রাম সিংয়ের আইনজীবী ভি কে আনন্দ মামলার বিচার প্রক্রিয়া সবার জন্য উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন। রুদ্ধদ্বার কক্ষে বিচার প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করবেন তিনি। সূত্র : এএফপি, পিটিআই।
No comments