বিকল্প অর্থায়নে এ সরকারের মেয়াদে পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরু সম্ভব নয়ঃ অর্থমন্ত্রী
বিকল্প অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ বর্তমান সরকারের মেয়াদে শুরু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সাথে তিনি দেখা করতে চান, এ জন্য তার কাছে চিঠি লিখে সময় চাওয়া হয়েছে।
তার কাছ থেকে সময় পাওয়া গেলে আগামী মাসে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সাথে পদ্মা সেতুর বিষয় নিয়ে দেখা করা হবে। গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী শেখ লুবনা বিনতে খালেদ আল কাশিমির সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল বিশ্বব্যাংক না হলে বিকল্প অর্থায়নে বর্তমান সরকারের মেয়াদে পদ্মা সেতু নির্মাণকাজ শুরু করা সম্ভব কি না? অর্থমন্ত্রী জবাব দেনÑ না, সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, বর্তমান রূপরেখা দিয়েই সরকার দ্রুত পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করতে চায়। অন্য যেসব প্রস্তাব আছে, সেগুলো সময়সাপেক্ষ। তার মতে, পদ্মা সেতুর কাজ যেটুকু এগিয়েছে, সেখান থেকে শুরু করতে পারলে ১০ দিনের মধ্যেই সব দরপত্র আহ্বান করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে পাঁচটি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানও তৈরি রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রী বিকল্প অর্থায়নের যে কথা বলছেন, তাও গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে এতেও দেরি হবে, ছয় মাস পেছাতে পারে। এটি করলে খুব তাড়াতাড়িই শুরু করা যাবে না। তবে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ যে অবস্থানে এখন ২০১৩ সালে সেই অবস্থানে আর নেই। আমরা নিজেরাই ১২০ কোটি ডলার নির্মাণকাজে ব্যয় করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘এখন পদ্মা সেতু প্রকল্পে যে চারজন আছে (বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ও আইডিবি) তাদের ধরে রাখতে পারলেই সবচেয়ে ভালো। এখান থেকে এক-আধজন যদি খসে পড়ে যায়, তা হলে অর্থ জোগাড় করা আমাদের জন্য কষ্টকর হবে, কিন্তু পারব।’
পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক না থাকলে অন্যরা থাকবে কি নাÑ এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চেষ্টা করছি তাদের ধরে রাখতে’।
এ বিষয়ে আরো জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার চেষ্টা যখন হয় ফেল করবে বা ভালো হবে, তখন বলব। পদ্মা সেতুর বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে এখনো কোনো ‘গ্রিন সিগন্যাল’ না পাওয়া গেলেও তারা এ প্রকল্পের সাথে যুক্ত হতে আগ্রহী জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তবে এ ক্ষেত্রে সময়সূচি তাদের একটি, আর আমার আরেকটি।
পদ্মা সেতু নির্মাণে চীনা প্রস্তাব প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, চীনের একটি প্রস্তাব আছে। সেটিও বর্তমান প্রকল্পের মতো। ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯০ কোটি ডলার। সুদের হারও একই। ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব চায়না এতে বিনিয়োগ করবে। তবে শর্তগুলো নিয়ে আরো আলোচনা করতে হবে। তিনি বলেন, চীনের ঋণের সুদহারও ৪ শতাংশের বেশি হবে না এবং সে ক্ষেত্রে তা শোধের মেয়াদও হবে ২০ বছর।
আরব আমিরাত প্রতিনিধির সাথে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক : এর আগে সফররত সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী শেখ লুবনা বিনতে খালেদ আল কাশিমির সাথে দ্বিপীয় বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী।
বৈঠকের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আবুধাবি বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করতে ৩ থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়। এ ছাড়া বন্দর ও অবকাঠামোতেও আগ্রহ দেখিয়েছে তারা। গাজীপুরে একটি কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণে আগ্রহ রয়েছে তাদের। সেটি নতুন করে হতে পারে অথবা কমলাপুরেরটি সেখানে সরিয়ে নেয়া হতে পারে।’
তিনি বলেন, দুবাই পোর্ট বিশ্বের সবচেয়ে বড় পোর্ট অপারেটর। তারা বিশ্বের ৬২টি বন্দর পরিচালনা করে। এর বেশির ভাগ ইউরোপ ও আফ্রিকা। সুতরাং বন্দর নির্মাণে তাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের সাথে রফা করতে ওয়াশিংটন যেতে চান অর্থমন্ত্রী : জাস্ট নিউজ জানায়, জানুয়ারির মধ্যে বিশ্বব্যাংকের সাড়া না পেলে সরকার বিকল্প অর্থায়নে পদ্মা সেতু করবে। পাশাপাশি পদ্মা সেতুবিষয়ক সমস্যা সমাধানে আলোচনার জন্য বিশ্বব্যাংক প্রধানের কাছে সময় চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বিশ্বব্যাংক সময় দিলেই আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন যাবেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী শেখ লুবনা বিনতে খালেদ আল কাশমির সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল বিশ্বব্যাংক না হলে বিকল্প অর্থায়নে বর্তমান সরকারের মেয়াদে পদ্মা সেতু নির্মাণকাজ শুরু করা সম্ভব কি না? অর্থমন্ত্রী জবাব দেনÑ না, সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, বর্তমান রূপরেখা দিয়েই সরকার দ্রুত পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করতে চায়। অন্য যেসব প্রস্তাব আছে, সেগুলো সময়সাপেক্ষ। তার মতে, পদ্মা সেতুর কাজ যেটুকু এগিয়েছে, সেখান থেকে শুরু করতে পারলে ১০ দিনের মধ্যেই সব দরপত্র আহ্বান করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে পাঁচটি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানও তৈরি রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রী বিকল্প অর্থায়নের যে কথা বলছেন, তাও গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে এতেও দেরি হবে, ছয় মাস পেছাতে পারে। এটি করলে খুব তাড়াতাড়িই শুরু করা যাবে না। তবে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ যে অবস্থানে এখন ২০১৩ সালে সেই অবস্থানে আর নেই। আমরা নিজেরাই ১২০ কোটি ডলার নির্মাণকাজে ব্যয় করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘এখন পদ্মা সেতু প্রকল্পে যে চারজন আছে (বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ও আইডিবি) তাদের ধরে রাখতে পারলেই সবচেয়ে ভালো। এখান থেকে এক-আধজন যদি খসে পড়ে যায়, তা হলে অর্থ জোগাড় করা আমাদের জন্য কষ্টকর হবে, কিন্তু পারব।’
পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক না থাকলে অন্যরা থাকবে কি নাÑ এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চেষ্টা করছি তাদের ধরে রাখতে’।
এ বিষয়ে আরো জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার চেষ্টা যখন হয় ফেল করবে বা ভালো হবে, তখন বলব। পদ্মা সেতুর বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে এখনো কোনো ‘গ্রিন সিগন্যাল’ না পাওয়া গেলেও তারা এ প্রকল্পের সাথে যুক্ত হতে আগ্রহী জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তবে এ ক্ষেত্রে সময়সূচি তাদের একটি, আর আমার আরেকটি।
পদ্মা সেতু নির্মাণে চীনা প্রস্তাব প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, চীনের একটি প্রস্তাব আছে। সেটিও বর্তমান প্রকল্পের মতো। ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯০ কোটি ডলার। সুদের হারও একই। ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব চায়না এতে বিনিয়োগ করবে। তবে শর্তগুলো নিয়ে আরো আলোচনা করতে হবে। তিনি বলেন, চীনের ঋণের সুদহারও ৪ শতাংশের বেশি হবে না এবং সে ক্ষেত্রে তা শোধের মেয়াদও হবে ২০ বছর।
আরব আমিরাত প্রতিনিধির সাথে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক : এর আগে সফররত সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী শেখ লুবনা বিনতে খালেদ আল কাশিমির সাথে দ্বিপীয় বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী।
বৈঠকের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আবুধাবি বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করতে ৩ থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়। এ ছাড়া বন্দর ও অবকাঠামোতেও আগ্রহ দেখিয়েছে তারা। গাজীপুরে একটি কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণে আগ্রহ রয়েছে তাদের। সেটি নতুন করে হতে পারে অথবা কমলাপুরেরটি সেখানে সরিয়ে নেয়া হতে পারে।’
তিনি বলেন, দুবাই পোর্ট বিশ্বের সবচেয়ে বড় পোর্ট অপারেটর। তারা বিশ্বের ৬২টি বন্দর পরিচালনা করে। এর বেশির ভাগ ইউরোপ ও আফ্রিকা। সুতরাং বন্দর নির্মাণে তাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের সাথে রফা করতে ওয়াশিংটন যেতে চান অর্থমন্ত্রী : জাস্ট নিউজ জানায়, জানুয়ারির মধ্যে বিশ্বব্যাংকের সাড়া না পেলে সরকার বিকল্প অর্থায়নে পদ্মা সেতু করবে। পাশাপাশি পদ্মা সেতুবিষয়ক সমস্যা সমাধানে আলোচনার জন্য বিশ্বব্যাংক প্রধানের কাছে সময় চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বিশ্বব্যাংক সময় দিলেই আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন যাবেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী শেখ লুবনা বিনতে খালেদ আল কাশমির সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
No comments