ভারতের সাথে বন্দিবিনিময় চুক্তি- সহযোগিতা বাড়াতে আস্থার সম্পর্ক প্রয়োজন
সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে দ্বিপীয় বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মহিউদ্দীন খান আলমগীর ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধে
‘বহিঃসমর্পণ চুক্তি’ ও ‘সংশোধিত ভ্রমণচুক্তি’তে সই করেন।
এর
আগে সকালে বহিঃসমর্পণ চুক্তির খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।
বন্দিবিনিময়ে বহিঃসমর্পণ চুক্তির ফলে দুই দেশ এক বছরের বেশি মেয়াদের
সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীদের বিনিময় করতে পারবে। তবে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী বা
বন্দীদের েেত্র এটি প্রযোজ্য হবে না। যে কেউ ছয় মাসের নোটিশে এ চুক্তি
বাতিল করতে পারবে। তবে কোনো দেশ বন্দিবিনিময়ের আবেদন করলে কত দিনের মধ্যে
তা সুরাহা করতে হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো সময়ের উল্লেখ নেই চুক্তিতে। এই
চুক্তির ফলে আসামের উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতের হাতে ফিরিয়ে দেয়ার
প্রাথমিক পথ সৃষ্টি হলেও তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন সুপ্রিম কোর্টের
বিবেচনাধীন থাকায় তাকে এখনই দেয়া না-ও হতে পারে। অবৈধভাবে বাংলাদেশে
ঢোকার জন্য এই উলফা নেতার সাজার মেয়াদ অনেক আগে শেষ হলেও চুক্তি না থাকায়
তাকে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়নি।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই বন্দিবিনিময় চুক্তির কথা চলে আসছিল। এখন সে চুক্তি স্বাক্ষর হলো। চুক্তি স্বাক্ষরের আগেই বাংলাদেশ থেকে সাত রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাকামী বিভিন্ন নেতাকে আটক করে ভারতীয় বাহিনীর হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগ ছিল। এখন আর বন্দী তুলে দেয়ার ক্ষেত্রে অনানুষ্ঠানিক পদক্ষেপ বা লুকোচুরির আশ্রয় নেয়ার প্রয়োজন হবে না।
অন্য দিকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সংশোধিত ভ্রমণচুক্তি কার্যকর হলে পর্যটকেরা এক বছর পর্যন্ত মেয়াদের জন্য ভিসা পাবেন, যার মাধ্যমে একাধিকবার ভ্রমণ করা যাবে। আর চিকিৎসার জন্য ভ্রমণের েেত্র রোগীর সাথে যেতে পারবেন তিনজন। এত দিন ভারত সরকার বাংলাদেশী পর্যটকদের সর্বোচ্চ ছয় মাসের টুরিস্ট ভিসা দিয়ে আসছিল। আর চিকিৎসার জন্য ভ্রমণের েেত্র রোগীর সাথে যেতে পারতেন একজন।
আমরা মনে করি, ভ্রমণ জটিলতা নিরসনের চুক্তির ফলে বাংলাদেশী রোগীদের ভোগান্তি যেমন কমবে তেমনি এ দেশের মানুষের প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়বে। এ ক্ষেত্রে উৎসাহিত হওয়ার মতো পদক্ষেপের পরিবর্তে এ দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়ন নিশ্চিত করে দেশের রোগীদের দেশে চিকিৎসা নিশ্চিত করাই হবে ভালো পদক্ষেপ। এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ওপরও চাপ কমাবে। অন্য দিকে দুই দেশের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তির কারণে এক দেশের অপরাধীকে অন্য দেশের হাতে তুলে দেয়ার একটি আইনি রাস্তা সৃষ্টি হলো। তবে এসব পদক্ষেপ বাস্তবে কার্যকর ও ফলপ্রসূ হবে দুই দেশের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক সৃষ্টি হলে। দুই দেশের সীমান্ত চিহ্নিতকরণ ও ছিটমহল বিনিময় চুক্তি হওয়ার পরও ভারতের সংসদে তা অনুমোদন না হওয়ার কারণে এখনো কার্যকর হয়নি। দুই দেশের অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন প্রশ্নে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আলোচনা ও চুক্তির ব্যাপারে বারবার তাগিদ দেয়ার পরও এ ক্ষেত্রে ভারতীয় পক্ষের আন্তরিকতার অভাবে কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা কার্যকরভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে উভয় পক্ষের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক ও সমমর্যাদা দেয়ার মানসিকতা থাকলে। এ মানসিকতার বিভিন্ন সময় ঘাটতি দেখা যায় বৃহৎ প্রতিবেশী দেশটির। আমরা আশা করব, বিষয়টি নয়াদিল্লি গভীরভাবে উপলব্ধি করে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন দিগন্ত সৃষ্টির উদ্যোগ নেবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই বন্দিবিনিময় চুক্তির কথা চলে আসছিল। এখন সে চুক্তি স্বাক্ষর হলো। চুক্তি স্বাক্ষরের আগেই বাংলাদেশ থেকে সাত রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাকামী বিভিন্ন নেতাকে আটক করে ভারতীয় বাহিনীর হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগ ছিল। এখন আর বন্দী তুলে দেয়ার ক্ষেত্রে অনানুষ্ঠানিক পদক্ষেপ বা লুকোচুরির আশ্রয় নেয়ার প্রয়োজন হবে না।
অন্য দিকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সংশোধিত ভ্রমণচুক্তি কার্যকর হলে পর্যটকেরা এক বছর পর্যন্ত মেয়াদের জন্য ভিসা পাবেন, যার মাধ্যমে একাধিকবার ভ্রমণ করা যাবে। আর চিকিৎসার জন্য ভ্রমণের েেত্র রোগীর সাথে যেতে পারবেন তিনজন। এত দিন ভারত সরকার বাংলাদেশী পর্যটকদের সর্বোচ্চ ছয় মাসের টুরিস্ট ভিসা দিয়ে আসছিল। আর চিকিৎসার জন্য ভ্রমণের েেত্র রোগীর সাথে যেতে পারতেন একজন।
আমরা মনে করি, ভ্রমণ জটিলতা নিরসনের চুক্তির ফলে বাংলাদেশী রোগীদের ভোগান্তি যেমন কমবে তেমনি এ দেশের মানুষের প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়বে। এ ক্ষেত্রে উৎসাহিত হওয়ার মতো পদক্ষেপের পরিবর্তে এ দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়ন নিশ্চিত করে দেশের রোগীদের দেশে চিকিৎসা নিশ্চিত করাই হবে ভালো পদক্ষেপ। এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ওপরও চাপ কমাবে। অন্য দিকে দুই দেশের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তির কারণে এক দেশের অপরাধীকে অন্য দেশের হাতে তুলে দেয়ার একটি আইনি রাস্তা সৃষ্টি হলো। তবে এসব পদক্ষেপ বাস্তবে কার্যকর ও ফলপ্রসূ হবে দুই দেশের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক সৃষ্টি হলে। দুই দেশের সীমান্ত চিহ্নিতকরণ ও ছিটমহল বিনিময় চুক্তি হওয়ার পরও ভারতের সংসদে তা অনুমোদন না হওয়ার কারণে এখনো কার্যকর হয়নি। দুই দেশের অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন প্রশ্নে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আলোচনা ও চুক্তির ব্যাপারে বারবার তাগিদ দেয়ার পরও এ ক্ষেত্রে ভারতীয় পক্ষের আন্তরিকতার অভাবে কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা কার্যকরভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে উভয় পক্ষের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক ও সমমর্যাদা দেয়ার মানসিকতা থাকলে। এ মানসিকতার বিভিন্ন সময় ঘাটতি দেখা যায় বৃহৎ প্রতিবেশী দেশটির। আমরা আশা করব, বিষয়টি নয়াদিল্লি গভীরভাবে উপলব্ধি করে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন দিগন্ত সৃষ্টির উদ্যোগ নেবে।
No comments