বিমান কিনতে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত থেকে by মনজুর আহমেদ
লোকসানি প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জন্য দুটি উড়োজাহাজ কিনতে প্রাক-সরবরাহ (প্রি-ডেলিভারি) ঋণ হিসেবে ১১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত ব্যবহার করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ‘লোকসানের দায়ে বিমান বন্ধ করে দেওয়া উচিত’ মন্তব্য করে সিলেটে বক্তৃতা দেন গত ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে। আর ঠিক একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের হিসাবে সংরক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ঋণের ব্যবস্থা করে বিমানকে।
তবে এ ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে একটু ভিন্ন কৌশল। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের হিসাবে সংরক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আমানত হিসাবে লন্ডনে অবস্থিত সোনালী এক্সচেঞ্জ লিমিটেডে জমা করেছে। সোনালী এক্সচেঞ্জ এই অর্থ বিমানকে ঋণ হিসেবে দিয়েছে। সোনালী এক্সচেঞ্জ যেহেতু ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আওতায় পৃথক একটি কোম্পানি, ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে রিজার্ভ সেখানে আমানত হিসাবে রাখা সহজ হয়েছে।
সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এভাবে লোকসানি বিমানের জন্য অর্থায়নের বিরোধিতা করছে। তার পরও সংস্থাটি এবারের মতো এ অর্থ ব্যবহারে মত দিয়েছে। কিন্তু, অতিদ্রুত বিমানকে লাভজনক করতে একটি মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা করে আগানোর শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। বাংলাদেশের জন্য ১০০ কোটি ডলারের ঋণ জোগান দিতে আইএমএফের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। সেই চুক্তির আওতায় সরকারের জন্য করণীয় বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। এর মধ্যে বিমানের জন্য ঋণ নেওয়ার বিষয়টিও রয়েছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক সোনালী এক্সচেঞ্জকে লাইবর (লন্ডনে আন্তব্যাংক লেনদেনে সুদের হার) ও ১ শতাংশ হার সুদের বিনিময়ে এই অর্থ আমানত রেখেছে। আর সোনালী এক্সচেঞ্জ বিমানকে এই অর্থ দিয়েছে লাইবর ও ৩ দশমিক ৯ শতাংশ সুদে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এই অর্থ মার্কিন কোম্পানি বোয়িং থেকে দুটি উড়োজাহাজ কিনতে আগাম হিসেবে পরিশোধ করেছে বলে জানা গেছে। আমেরিকার এক্সিম ব্যাংক বোয়িং থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কিনতে ঋণ দিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে এই দুটির মূল ঋণও এক্সিম ব্যাংক থেকে আসবে ১৮ মাসের মধ্যে। বোয়িংয়ের প্রতিটি উড়োজাহাজের দাম ৩০ কোটি ডলারের বেশি। এর মধ্যে বাংলাদেশের ঋণমান (কান্ট্রি রেটিং) বিবেচনাতে এক্সিম ব্যাংক দেবে ৮০ শতাংশ। এক্সিম ব্যাংকের ঋণ পেলে পরিশোধ করা হবে সোনালী এক্সচেঞ্জের অর্থ। তবে তখনো ২০ শতাংশের মতো অর্থ বাকি থাকবে সোনালী এক্সচেঞ্জের, যা বাণিজ্যিক ঋণ করে মেটাতে হবে বিমানকে। এক্সিম ব্যাংকের মূল ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ১২ বছর।
এর আগে একই প্রক্রিয়ায় বোয়িং থেকে দুটি উড়োজাহাজ নিতে বেসরকারি খাতের ইস্টার্ন ব্যাংকের নেতৃত্বে কয়েকটি ব্যাংকের একটি সিন্ডিকেশন ১১ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের ঋণ জোগান দেয়। সে সময়ও বাংলাদেশ ব্যাংক একইভাবে বৈদেশিক মুদ্রা জোগান দেয়। পরে এক্সিম ব্যাংক ঋণ ছাড় করার পর বাকি ২০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ছয় কোটি ১৫ লাখ ডলার দেশের ভেতর থেকে বাণিজ্যিক ঋণ জোগাড় করে বিমান, যা পাঁচ বছরে পরিশোধ হবে।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের এপ্রিলে মার্কিন কোম্পানি বোয়িং থেকে প্রায় সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকায় নতুন প্রজন্মের ১০টি উড়োজাহাজ ক্রয়ের চুক্তি করে বিমান। এর দুটি উড়োজাহাজ গত বছরই ‘পালকি’ ও ‘অরুণ আলো’ নামে বিমান এয়ারলাইনসের বহরে যুক্ত হয়েছে। বাকি আটটি উড়োজাহাজ পর্যায়ক্রমে কয়েক বছরে বহরে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
চুক্তি অনুসারে আট হাজার ৮৫৫ কোটি টাকায় বাকি আটটি কেনা হবে। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ২০১৩ সালে এবং অপর চারটি বোয়িং (৭৮৭-৮ সিরিজের) ২০১৯ ও ২০২০ সালে বিমান বহরে যুক্ত হবে। পরের চারটি ২০১৭ সালে বিমান বহরে যুক্ত হওয়ার কথা ছিল। চুক্তিতে অনুরূপ আরও আটটি উড়োজাহাজ ক্রয় অধিকার রাখা হয়েছে।
তবে এ ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে একটু ভিন্ন কৌশল। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের হিসাবে সংরক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আমানত হিসাবে লন্ডনে অবস্থিত সোনালী এক্সচেঞ্জ লিমিটেডে জমা করেছে। সোনালী এক্সচেঞ্জ এই অর্থ বিমানকে ঋণ হিসেবে দিয়েছে। সোনালী এক্সচেঞ্জ যেহেতু ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আওতায় পৃথক একটি কোম্পানি, ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে রিজার্ভ সেখানে আমানত হিসাবে রাখা সহজ হয়েছে।
সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এভাবে লোকসানি বিমানের জন্য অর্থায়নের বিরোধিতা করছে। তার পরও সংস্থাটি এবারের মতো এ অর্থ ব্যবহারে মত দিয়েছে। কিন্তু, অতিদ্রুত বিমানকে লাভজনক করতে একটি মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা করে আগানোর শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। বাংলাদেশের জন্য ১০০ কোটি ডলারের ঋণ জোগান দিতে আইএমএফের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। সেই চুক্তির আওতায় সরকারের জন্য করণীয় বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। এর মধ্যে বিমানের জন্য ঋণ নেওয়ার বিষয়টিও রয়েছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক সোনালী এক্সচেঞ্জকে লাইবর (লন্ডনে আন্তব্যাংক লেনদেনে সুদের হার) ও ১ শতাংশ হার সুদের বিনিময়ে এই অর্থ আমানত রেখেছে। আর সোনালী এক্সচেঞ্জ বিমানকে এই অর্থ দিয়েছে লাইবর ও ৩ দশমিক ৯ শতাংশ সুদে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এই অর্থ মার্কিন কোম্পানি বোয়িং থেকে দুটি উড়োজাহাজ কিনতে আগাম হিসেবে পরিশোধ করেছে বলে জানা গেছে। আমেরিকার এক্সিম ব্যাংক বোয়িং থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কিনতে ঋণ দিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে এই দুটির মূল ঋণও এক্সিম ব্যাংক থেকে আসবে ১৮ মাসের মধ্যে। বোয়িংয়ের প্রতিটি উড়োজাহাজের দাম ৩০ কোটি ডলারের বেশি। এর মধ্যে বাংলাদেশের ঋণমান (কান্ট্রি রেটিং) বিবেচনাতে এক্সিম ব্যাংক দেবে ৮০ শতাংশ। এক্সিম ব্যাংকের ঋণ পেলে পরিশোধ করা হবে সোনালী এক্সচেঞ্জের অর্থ। তবে তখনো ২০ শতাংশের মতো অর্থ বাকি থাকবে সোনালী এক্সচেঞ্জের, যা বাণিজ্যিক ঋণ করে মেটাতে হবে বিমানকে। এক্সিম ব্যাংকের মূল ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ১২ বছর।
এর আগে একই প্রক্রিয়ায় বোয়িং থেকে দুটি উড়োজাহাজ নিতে বেসরকারি খাতের ইস্টার্ন ব্যাংকের নেতৃত্বে কয়েকটি ব্যাংকের একটি সিন্ডিকেশন ১১ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের ঋণ জোগান দেয়। সে সময়ও বাংলাদেশ ব্যাংক একইভাবে বৈদেশিক মুদ্রা জোগান দেয়। পরে এক্সিম ব্যাংক ঋণ ছাড় করার পর বাকি ২০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ছয় কোটি ১৫ লাখ ডলার দেশের ভেতর থেকে বাণিজ্যিক ঋণ জোগাড় করে বিমান, যা পাঁচ বছরে পরিশোধ হবে।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের এপ্রিলে মার্কিন কোম্পানি বোয়িং থেকে প্রায় সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকায় নতুন প্রজন্মের ১০টি উড়োজাহাজ ক্রয়ের চুক্তি করে বিমান। এর দুটি উড়োজাহাজ গত বছরই ‘পালকি’ ও ‘অরুণ আলো’ নামে বিমান এয়ারলাইনসের বহরে যুক্ত হয়েছে। বাকি আটটি উড়োজাহাজ পর্যায়ক্রমে কয়েক বছরে বহরে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
চুক্তি অনুসারে আট হাজার ৮৫৫ কোটি টাকায় বাকি আটটি কেনা হবে। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ২০১৩ সালে এবং অপর চারটি বোয়িং (৭৮৭-৮ সিরিজের) ২০১৯ ও ২০২০ সালে বিমান বহরে যুক্ত হবে। পরের চারটি ২০১৭ সালে বিমান বহরে যুক্ত হওয়ার কথা ছিল। চুক্তিতে অনুরূপ আরও আটটি উড়োজাহাজ ক্রয় অধিকার রাখা হয়েছে।
No comments