নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে- জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা
গত সোমবার রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সহিংস তৎপরতার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে, জামায়াতে ইসলামীর এই ছাত্রসংগঠন যেন সহিংসতাকেই তাদের উদ্দেশ্য সাধনের পন্থা হিসেবে বেছে নিয়েছে।
কিন্তু এ ধরনের সহিংস পথ গণতান্ত্রিক সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে, এ থেকে আর যাই হোক, কোনো উদ্দেশ্য সাধিত হবে না।
জামায়াতে ইসলামীর আমিরসহ শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে গ্রেপ্তার রয়েছেন, আইন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাঁদের বিচার চলছে। তাঁদের মুক্তি ও ট্রাইব্যুনাল বাতিল করার দাবিতে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা গত সোমবার বিক্ষোভের নামে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, দিনাজপুর, ফরিদপুর, সাতক্ষীরা, জয়পুরহাট, বগুড়া, সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন ভাঙচুর করেছেন, আগুন লাগিয়েছেন। এবারও তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়েছেন। রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় তাঁদের আক্রমণে পুলিশের ২১ জন সদস্য আহত হয়েছেন। সেখানে শিবিরের কর্মীরা ১৩টি হাতবোমা ফাটিয়েছেন, অর্থমন্ত্রীর প্রটোকলের গাড়িসহ দুই শতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও অনেকগুলো বিস্ফোরণ ঘটেছে; সেগুলোও তাঁদেরই কাজ বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের অভিযোগ, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে শিবিরের কর্মীরা পুলিশের ওপর গুলি চালিয়েছেন।
এর আগেও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছেন, প্রচুর যানবাহন ভাঙচুর করেছেন ও পুড়িয়ে দিয়েছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার পুরোদমে শুরু হওয়ার পর থেকেই তাঁরা এ ধরনের সহিংসতা শুরু করেছেন এবং বিচার-প্রক্রিয়া এগিয়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সহিংসতার মাত্রা বেড়ে চলেছে। আসামিদের অন্যতম, সাবেক জামায়াত নেতা ও পলাতক আবুল কালাম আযাদের মামলার রায় ইতিমধ্যে ঘোষিত হয়েছে এবং অচিরেই আরও কয়েকজনের মামলার রায় ঘোষিত হবে—এ রকম পরিস্থিতিতে জামায়াত-শিবির সহিংসতার মাত্রা ক্রমশ বাড়িয়ে সম্ভবত প্রমাণ করতে চাইছে যে, তারা শক্তিমান। কিন্তু সহিংসতার সামর্থ্য তো রাজনৈতিক বা আদর্শিক শক্তিমত্তার পরিচায়ক নয়। জনগণ যেখানে যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ, সেখানে এ ধরনের তৎপরতা সমাজে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। জনগণ এসব মোটেও ভালো চোখে দেখছে না, বরং একটি সুসংগঠিত হিংস্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রশিবিরের কুখ্যাতি বাড়ছে; আর তাদের পেছনের মদদদাতা দল হিসেবে ঘৃণা বাড়ছে জামায়াতে ইসলামীর প্রতি।
জামায়াত-শিবিরের সোমবারের সহিংস তৎপরতা পূর্বপরিকল্পিত কি না, এ ক্ষেত্রে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতা বা গাফিলতি ছিল কি না, তা তদন্ত করা দেখা উচিত। সচিবালয় ও তার সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা কেন অপর্যাপ্ত ছিল যে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল—তাও আমাদের বোধগম্য নয়। রাজনৈতিক কর্মসূচি যদি পূর্বপরিকল্পিত সহিংসতা ও নাশকতার রূপ নেয়, তাহলে জনসাধারণের নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক শান্তিশৃঙ্খলা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ঘাটতি থাকা উচিত নয়। নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
জামায়াতে ইসলামীর আমিরসহ শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে গ্রেপ্তার রয়েছেন, আইন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাঁদের বিচার চলছে। তাঁদের মুক্তি ও ট্রাইব্যুনাল বাতিল করার দাবিতে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা গত সোমবার বিক্ষোভের নামে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, দিনাজপুর, ফরিদপুর, সাতক্ষীরা, জয়পুরহাট, বগুড়া, সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন ভাঙচুর করেছেন, আগুন লাগিয়েছেন। এবারও তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়েছেন। রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় তাঁদের আক্রমণে পুলিশের ২১ জন সদস্য আহত হয়েছেন। সেখানে শিবিরের কর্মীরা ১৩টি হাতবোমা ফাটিয়েছেন, অর্থমন্ত্রীর প্রটোকলের গাড়িসহ দুই শতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও অনেকগুলো বিস্ফোরণ ঘটেছে; সেগুলোও তাঁদেরই কাজ বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের অভিযোগ, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে শিবিরের কর্মীরা পুলিশের ওপর গুলি চালিয়েছেন।
এর আগেও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছেন, প্রচুর যানবাহন ভাঙচুর করেছেন ও পুড়িয়ে দিয়েছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার পুরোদমে শুরু হওয়ার পর থেকেই তাঁরা এ ধরনের সহিংসতা শুরু করেছেন এবং বিচার-প্রক্রিয়া এগিয়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সহিংসতার মাত্রা বেড়ে চলেছে। আসামিদের অন্যতম, সাবেক জামায়াত নেতা ও পলাতক আবুল কালাম আযাদের মামলার রায় ইতিমধ্যে ঘোষিত হয়েছে এবং অচিরেই আরও কয়েকজনের মামলার রায় ঘোষিত হবে—এ রকম পরিস্থিতিতে জামায়াত-শিবির সহিংসতার মাত্রা ক্রমশ বাড়িয়ে সম্ভবত প্রমাণ করতে চাইছে যে, তারা শক্তিমান। কিন্তু সহিংসতার সামর্থ্য তো রাজনৈতিক বা আদর্শিক শক্তিমত্তার পরিচায়ক নয়। জনগণ যেখানে যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ, সেখানে এ ধরনের তৎপরতা সমাজে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। জনগণ এসব মোটেও ভালো চোখে দেখছে না, বরং একটি সুসংগঠিত হিংস্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রশিবিরের কুখ্যাতি বাড়ছে; আর তাদের পেছনের মদদদাতা দল হিসেবে ঘৃণা বাড়ছে জামায়াতে ইসলামীর প্রতি।
জামায়াত-শিবিরের সোমবারের সহিংস তৎপরতা পূর্বপরিকল্পিত কি না, এ ক্ষেত্রে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতা বা গাফিলতি ছিল কি না, তা তদন্ত করা দেখা উচিত। সচিবালয় ও তার সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা কেন অপর্যাপ্ত ছিল যে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল—তাও আমাদের বোধগম্য নয়। রাজনৈতিক কর্মসূচি যদি পূর্বপরিকল্পিত সহিংসতা ও নাশকতার রূপ নেয়, তাহলে জনসাধারণের নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক শান্তিশৃঙ্খলা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ঘাটতি থাকা উচিত নয়। নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
No comments