নিম্ন আদালতে ২৪ লাখ মামলা- আইন সংশোধনীতেও জট কমছে না by খোকন বড়ুয়া
আইন সংশোধনীতেও মামলাজট কমছে না; বরং
আদালতগুলোতে বাড়ছে মামলাজট। আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সারা
দেশের নিম্ন আদালতগুলোতে ২৪ লাখ মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এ
সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উচ্চ আদালতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। সরকার
মামলাজট কমাতে দেওয়ানি কার্যবিধি সংশোধন করার পাশাপাশি ফৌজদারি কার্যবিধি
সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এতে কোনো কাজ হচ্ছে না।
মামলাজট কমাতে দেওয়ানি ও ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করতে আইন কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়। ইতোমধ্যেই দেওয়ানি কার্যবিধি সংশোধন করে সরকার। কিন্তু এতে মামলাজট কমার ক্ষেত্রে কোনো সুফল আসছে না।
এ দিকে কিছু রাজনৈতিক মামলা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানি হলেও জনস্বার্থে অনেক রিট, ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার নিষ্পত্তির সংখ্যা যথেষ্ট নয়। এসব কারণে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে মামলার পাহাড় জমছে বলে কেউ কেউ মনে করেন।
আবার সরকারের সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মামলায় উভয়পক্ষের আইনজীবীর পক্ষ থেকে বারবার সময়ের আবেদন ও শুনানি মুলতবিতে মূল মামলা হারিয়ে যায়। ব্রিটিশ আমলে করা ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার বেশ কিছু আইন সাংঘর্ষিক এবং কিছু আইন অকার্যকর হওয়ায় মামলার নিষ্পত্তি না হয়ে বরং মামলাজট সৃষ্টি হচ্ছে।
শুনানি মুলতবিকে বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি ও দুর্ভোগের কারণ বলে উল্লেখ করেছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। সম্প্রতি রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে আইনমন্ত্রী বলেছেন, মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি, বিচারক স্বল্পতা ও বিনা কারণে মামলার শুনানি মুলতবিই বিচারে দীর্ঘসূত্রতা ঘটছে। তাই জনগণ স্বল্প সময়ে ও অল্প খরচে বিচার পেতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি তথা এডিআর ব্যবস্থা কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম হবে। আদালতের বাইরে মধ্যস্থতাকারীর সহায়তায় পগুলোর সমঝোতার ভিত্তিতে বিরোধের নিষ্পত্তি হলে তা আদালতে মামলাজট কমতে সহায়তা করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উচ্চ ও নিম্ন আদালতে বিচারপতির সংখ্যা বাড়লেও মামলা নিষ্পত্তির হার তেমন বাড়েনি। উচ্চ আদালতে জমে থাকা ও ধীরগতিতে মামলার কার্যক্রম চলায় বেশির ভাগ বিচারপ্রার্থী দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। আইনজীবীদের অনেকেই বলেছেন, বিনা কারণে মামলার শুনানি মুলতবি না করে নিষ্পত্তির গতি বাড়ালে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি দূর হবে।
অন্য দিকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেছেন, সরকার অনেক আইন করলেও কোনোটিই জনস্বার্থে কার্যকর হয়নি; বরং এতে জনগণের ভোগান্তি বেড়েছে। তিনি বলেন, যত দিন পর্যন্ত সরকারের সদিচ্ছা না হবে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে, তত দিন আইন প্রণয়ন কোনো কাজে আসবে না।
মামলাজট কমাতে দেওয়ানি ও ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করতে আইন কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়। ইতোমধ্যেই দেওয়ানি কার্যবিধি সংশোধন করে সরকার। কিন্তু এতে মামলাজট কমার ক্ষেত্রে কোনো সুফল আসছে না।
এ দিকে কিছু রাজনৈতিক মামলা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানি হলেও জনস্বার্থে অনেক রিট, ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার নিষ্পত্তির সংখ্যা যথেষ্ট নয়। এসব কারণে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে মামলার পাহাড় জমছে বলে কেউ কেউ মনে করেন।
আবার সরকারের সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মামলায় উভয়পক্ষের আইনজীবীর পক্ষ থেকে বারবার সময়ের আবেদন ও শুনানি মুলতবিতে মূল মামলা হারিয়ে যায়। ব্রিটিশ আমলে করা ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার বেশ কিছু আইন সাংঘর্ষিক এবং কিছু আইন অকার্যকর হওয়ায় মামলার নিষ্পত্তি না হয়ে বরং মামলাজট সৃষ্টি হচ্ছে।
শুনানি মুলতবিকে বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি ও দুর্ভোগের কারণ বলে উল্লেখ করেছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। সম্প্রতি রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে আইনমন্ত্রী বলেছেন, মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি, বিচারক স্বল্পতা ও বিনা কারণে মামলার শুনানি মুলতবিই বিচারে দীর্ঘসূত্রতা ঘটছে। তাই জনগণ স্বল্প সময়ে ও অল্প খরচে বিচার পেতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি তথা এডিআর ব্যবস্থা কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম হবে। আদালতের বাইরে মধ্যস্থতাকারীর সহায়তায় পগুলোর সমঝোতার ভিত্তিতে বিরোধের নিষ্পত্তি হলে তা আদালতে মামলাজট কমতে সহায়তা করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উচ্চ ও নিম্ন আদালতে বিচারপতির সংখ্যা বাড়লেও মামলা নিষ্পত্তির হার তেমন বাড়েনি। উচ্চ আদালতে জমে থাকা ও ধীরগতিতে মামলার কার্যক্রম চলায় বেশির ভাগ বিচারপ্রার্থী দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। আইনজীবীদের অনেকেই বলেছেন, বিনা কারণে মামলার শুনানি মুলতবি না করে নিষ্পত্তির গতি বাড়ালে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি দূর হবে।
অন্য দিকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেছেন, সরকার অনেক আইন করলেও কোনোটিই জনস্বার্থে কার্যকর হয়নি; বরং এতে জনগণের ভোগান্তি বেড়েছে। তিনি বলেন, যত দিন পর্যন্ত সরকারের সদিচ্ছা না হবে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে, তত দিন আইন প্রণয়ন কোনো কাজে আসবে না।
No comments