রাজনৈতিক মামলার নামে হয়রানি by হাবিবুর রহমান
গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগারে রয়েছেন।
হাইকোর্ট
তাকে জামিন দিলেও মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে এবং
শ্যোন অ্যারেস্ট করে তার মুক্তিতে বাধা দেয়া হচ্ছে। প্রায় অর্ধশত মামলা
দিয়ে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে
পুলিশের দায়ের করা মামলায় বিএনপির আরো কয়েক হাজার নেতাকর্মী জেলে
রয়েছেন। বিএনপির অন্যতম শরিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রথম ও
দ্বিতীয় সারির প্রায় সব নেতাকে রাজনৈতিক মামলায় আটক রাখা হয়েছে।
বর্তমানে জামায়াতের পাঁচ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী রাজনৈতিক মামলায় আটক
রয়েছেন। নিম্ন আদালত থেকে তারা জামিন পাচ্ছেন না। সিনিয়র নেতাদের কেউ
জামিন পেলেও অন্য আরো মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট করে মুক্তিতে বাধা দেয়া
হচ্ছে।
রাজনৈতিক মামলায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রবীণ আইনজ্ঞরা। তাদের মতে, জামিন পাওয়ার পর আরো একাধিক মামলায় জড়িত করা এবং শ্যোন অ্যারেস্ট করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এতে জনগণের ধারণা হচ্ছে বিচার বিভাগ সরকারের অঙ্গুলি হেলনে চলছে। এই ধারণা থাকা অত্যন্ত ভয় ও আশঙ্কার ব্যাপার। তাদের মতে রাজনৈতিক ও মিথ্যা মামলায় জড়িত করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ঘরছাড়া করা এবং কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে জেলে পুরে রাখার কারণে দেশ যাচ্ছে সঙ্ঘাতের দিকে। এ অবস্থায় দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। এ জন্য রাজনৈতিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং অবিলম্বে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রবীণ আইনবিদ ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মামলা দেয়া ও শ্যোন অ্যারেস্ট করে কারামুক্তিতে বাধা দেয়া প্রসঙ্গে বলেন, এটা খুবই অন্যায়। স্বাভাবিক ও গণতন্ত্র অনুসারী সরকার এটা করে না। এটা রাজনৈতিক হয়রানি। আমরা এটা নিরুসাহিত করি। হাইকোর্টও নিরুৎসাহিত করবেন। সরকার প্রতিহিংসা করবে এটা আশা করা যায় না। ওয়ান-ইলেভেনের সময় এ রকম হয়েছিল কিন্তু নির্বাচিত সরকার এমন আচরণ করবে এটা আশা করা যায় না।
তবে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বিএনপি মহাসচিবসহ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের জামিন না পাওয়া প্রসঙ্গে আদালতের ওপর সরকারের প্রভাব রয়েছে কি নাÑ এ প্রশ্নের জবাবে নয়া দিগন্তকে বলেন, সরকার কোনো অবস্থায়ই আদালতের ওপর প্রভাব ফেলছে না। বিচারকেরা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ থেকে আদেশ দিচ্ছেন। বিচার বিভাগে প্রভাব বিস্তারের কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। কাজেই বিচার নিরপেক্ষ হচ্ছে। বিচারকেরা স্বীয় ইচ্ছায় আদেশ দিচ্ছেন। বিএনপি মহাসচিব একটি মামলায় জামিন পাওয়ার পরও একটির পর একটি মামলা দেয়া ও শ্যোন অ্যারেস্ট করা হচ্ছে কেনÑ এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আইনমন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নয়। আমরা বলব বিচার নিরপেক্ষ ও নিজস্ব গতিতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা বলে সব রকম অন্যায় ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার প্রয়াস চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে রজতজয়ন্তী পালনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশে অতীতে অনেক ক্ষমতাধর ব্যক্তি নির্যাতন করে, মামলা হামলা করে, বিরোধী পক্ষকে হয়রানি ও দমন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার পাঁয়তারা করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে করুণ পরিণতিরও শিকার হয়েছেন। দেশের সব বিরোধী দল ও দলনিরপেক্ষ সুশীল সমাজের ব্যক্তিত্বরা নিরপেক্ষ সরকার দ্বারা গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জোর দাবি জানাচ্ছে তখন সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ বর্তমান দুর্নীতিবাজ সরকার সন্ত্রাস ও মামলা হামলা করে বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এরই ফলে একটি গণতান্ত্রিক দেশে প্রধান বিরোধী দলের মহাসচিবকে গাড়িপোড়ানো এবং উসকানি দেয়ার অভিযোগে একের পর এক মামলা দিয়ে তার কারামুক্তিতে অন্তরায় সৃষ্টি করা হচ্ছে। তা ছাড়া হাজার হাজার বিরোধী দলের নেতাকর্মী, বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করা হচ্ছে। বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িত করে তাদেরকে ঘরছাড়া করা হচ্ছে। এ ছাড়া কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে জেলেপুরে রাখা হয়েছে। ফলে দেশ সঙ্ঘাতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ অবস্থায় এর দায়দায়িত্ব এবং ফলাফল বর্তমান সরকারকে বহন করতে হবে। আমি আশা করি, সরকার সঙ্ঘাতের রাজনীতি বন্ধ করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার বাসনা ত্যাগ করে অবিলম্বে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবে। নতুবা ইতিহাসের করুণ পরিণতি বাংলাদেশে আবার দেখা দিতে পারে।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। সরকার স্বাধীন বিচার বিভাগে প্রভাব বিস্তার করছে। দেশের নাগরিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সরকার একদলীয় শাসনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলকে হয়রানি করা হয় না। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ক্ষেত্রে যা হচ্ছে তা নজিরবিহীন। তাকে রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে এবং শ্যোন অ্যারেস্ট করে মুক্তিতে বাধা দেয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সংবিধান ও আইনবিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম একটা মামলায় জামিন পাওয়ার পর তাকে আরো একটা মামলায় জড়িত করা হচ্ছে এবং শ্যোন অ্যারেস্ট করা হচ্ছে এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এতে জনগণের ধারণা হচ্ছে বিচার বিভাগ সরকারের অঙ্গুলি হেলনে চলছে। এই ধারণা থাকা অত্যন্ত ভয় ও আশঙ্কার ব্যাপার। এত বড় একজন নেতাকে যেভাবে হয়রানি করা হচ্ছে, তাতে পরবর্তী সরকার এসে এটা অব্যাহত রাখতে থাকবে।
রাজনৈতিক মামলায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রবীণ আইনজ্ঞরা। তাদের মতে, জামিন পাওয়ার পর আরো একাধিক মামলায় জড়িত করা এবং শ্যোন অ্যারেস্ট করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এতে জনগণের ধারণা হচ্ছে বিচার বিভাগ সরকারের অঙ্গুলি হেলনে চলছে। এই ধারণা থাকা অত্যন্ত ভয় ও আশঙ্কার ব্যাপার। তাদের মতে রাজনৈতিক ও মিথ্যা মামলায় জড়িত করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ঘরছাড়া করা এবং কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে জেলে পুরে রাখার কারণে দেশ যাচ্ছে সঙ্ঘাতের দিকে। এ অবস্থায় দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। এ জন্য রাজনৈতিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং অবিলম্বে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রবীণ আইনবিদ ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মামলা দেয়া ও শ্যোন অ্যারেস্ট করে কারামুক্তিতে বাধা দেয়া প্রসঙ্গে বলেন, এটা খুবই অন্যায়। স্বাভাবিক ও গণতন্ত্র অনুসারী সরকার এটা করে না। এটা রাজনৈতিক হয়রানি। আমরা এটা নিরুসাহিত করি। হাইকোর্টও নিরুৎসাহিত করবেন। সরকার প্রতিহিংসা করবে এটা আশা করা যায় না। ওয়ান-ইলেভেনের সময় এ রকম হয়েছিল কিন্তু নির্বাচিত সরকার এমন আচরণ করবে এটা আশা করা যায় না।
তবে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বিএনপি মহাসচিবসহ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের জামিন না পাওয়া প্রসঙ্গে আদালতের ওপর সরকারের প্রভাব রয়েছে কি নাÑ এ প্রশ্নের জবাবে নয়া দিগন্তকে বলেন, সরকার কোনো অবস্থায়ই আদালতের ওপর প্রভাব ফেলছে না। বিচারকেরা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ থেকে আদেশ দিচ্ছেন। বিচার বিভাগে প্রভাব বিস্তারের কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। কাজেই বিচার নিরপেক্ষ হচ্ছে। বিচারকেরা স্বীয় ইচ্ছায় আদেশ দিচ্ছেন। বিএনপি মহাসচিব একটি মামলায় জামিন পাওয়ার পরও একটির পর একটি মামলা দেয়া ও শ্যোন অ্যারেস্ট করা হচ্ছে কেনÑ এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আইনমন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নয়। আমরা বলব বিচার নিরপেক্ষ ও নিজস্ব গতিতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা বলে সব রকম অন্যায় ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার প্রয়াস চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে রজতজয়ন্তী পালনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশে অতীতে অনেক ক্ষমতাধর ব্যক্তি নির্যাতন করে, মামলা হামলা করে, বিরোধী পক্ষকে হয়রানি ও দমন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার পাঁয়তারা করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে করুণ পরিণতিরও শিকার হয়েছেন। দেশের সব বিরোধী দল ও দলনিরপেক্ষ সুশীল সমাজের ব্যক্তিত্বরা নিরপেক্ষ সরকার দ্বারা গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জোর দাবি জানাচ্ছে তখন সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ বর্তমান দুর্নীতিবাজ সরকার সন্ত্রাস ও মামলা হামলা করে বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এরই ফলে একটি গণতান্ত্রিক দেশে প্রধান বিরোধী দলের মহাসচিবকে গাড়িপোড়ানো এবং উসকানি দেয়ার অভিযোগে একের পর এক মামলা দিয়ে তার কারামুক্তিতে অন্তরায় সৃষ্টি করা হচ্ছে। তা ছাড়া হাজার হাজার বিরোধী দলের নেতাকর্মী, বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করা হচ্ছে। বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িত করে তাদেরকে ঘরছাড়া করা হচ্ছে। এ ছাড়া কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে জেলেপুরে রাখা হয়েছে। ফলে দেশ সঙ্ঘাতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ অবস্থায় এর দায়দায়িত্ব এবং ফলাফল বর্তমান সরকারকে বহন করতে হবে। আমি আশা করি, সরকার সঙ্ঘাতের রাজনীতি বন্ধ করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার বাসনা ত্যাগ করে অবিলম্বে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবে। নতুবা ইতিহাসের করুণ পরিণতি বাংলাদেশে আবার দেখা দিতে পারে।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। সরকার স্বাধীন বিচার বিভাগে প্রভাব বিস্তার করছে। দেশের নাগরিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সরকার একদলীয় শাসনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলকে হয়রানি করা হয় না। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ক্ষেত্রে যা হচ্ছে তা নজিরবিহীন। তাকে রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে এবং শ্যোন অ্যারেস্ট করে মুক্তিতে বাধা দেয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সংবিধান ও আইনবিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম একটা মামলায় জামিন পাওয়ার পর তাকে আরো একটা মামলায় জড়িত করা হচ্ছে এবং শ্যোন অ্যারেস্ট করা হচ্ছে এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এতে জনগণের ধারণা হচ্ছে বিচার বিভাগ সরকারের অঙ্গুলি হেলনে চলছে। এই ধারণা থাকা অত্যন্ত ভয় ও আশঙ্কার ব্যাপার। এত বড় একজন নেতাকে যেভাবে হয়রানি করা হচ্ছে, তাতে পরবর্তী সরকার এসে এটা অব্যাহত রাখতে থাকবে।
No comments