সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের ওপর লাঠি রামদা নিয়ে কর্মচারীদের হামলা
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টে
হামলার শিকার হয়েছেন তিন সাংবাদিক ও একজন পুলিশ কর্মকর্তা। গতকাল মঙ্গলবার
সকালে সর্বোচ্চ আদালতের একদল উচ্ছৃঙ্খল কর্মচারী লাঠি ও রামদা নিয়ে তাদের
ওপর হামলা চালায়।
প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান
গেটে অবস্থান ধর্মঘট করেছেন সাংবাদিকেরা। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রধান
বিচারপতি প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
জানা গেছে, কর্মচারীদের হামলায় চ্যানেল আইয়ের রিপোর্টার রিজওয়ান কাদের কচিসহ তিনজন সাংবাদিক এবং একজন পুলিশ অফিসার গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ল রিপোর্টার্স ফোরাম’ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন ও সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মেহেদি ঘটনার সুষ্ঠু ও সম্মানজনক সমাধানের আশ্বাস দিলে সাংবাদিকেরা তাদের অবস্থান কর্মসূচি মুলতবি ঘোষণা করেন। পরে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এ কে এম শামসুল ইসলামের কক্ষে উচ্চ আদালতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ল রিপোর্টার্স ফোরামের নেতৃবৃন্দের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ লাঠি ও রামদা নিয়ে সংবাদকর্মীদের ওপর হামলাকে একটি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। একই সাথে তারা সংবাদ সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা দূর করার দাবি করেন।
পরে জানানো হয়, প্রধান বিচারপতি রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আজ বুধবার দুপুর ১২টায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে একটি সভা হবে। রেজিস্ট্রার আশ্বাস দেন, এর মাধ্যমে বিষয়টির একটি সম্মানজনক নিষ্পত্তি হবে। অন্য দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক প্রধান বিচারপতির সাথে দেখা করে এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সূত্র জানায়, প্রধান বিচারপতি এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে সমিতির নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বিচারপতিদের বহনকারী গাড়ি যে পথে প্রবেশ করে ভুলক্রমে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় চ্যানেল আইয়ের রিজওয়ান কচির গাড়িচালক সে পথে প্রবেশ করেন। এ নিয়ে ওখানে দায়িত্বরত এবং নিরাপত্তাকর্মী লাঠি দিয়ে গাড়ির কাচে আঘাত করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই কর্মচারী সাংবাদিক রিজওয়ানকেও প্রহার করে। এ সময় অন্যান্য সাংবাদিক সহকর্মীকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে হঠাৎ একদল উচ্ছৃঙ্খল কর্মচারী লাঠি ও রামদা নিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় রিজওয়ান, এসএ টিভির আসাদ রিয়েল ও একই টিভির ক্যামেরাপারসন মিজান এবং দৈনিক আমার দেশের আলমগীর হোসেন আহত হন। তাদের রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ইমামুল হোসেনও আহত হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ল রিপোর্টার্স ফোরাম তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। ফোরামের সভাপতি সালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেনÑ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাশহুদুল হক, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আখতারুজ্জামান লাভলু ও সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ আকন, সিনিয়র সাংবাদিক এম বদিউজ্জামান, ওয়াকিল আহমেদ হিরণ, সাজেদুল হক প্রমুখ। এ ঘটনার প্রতিবাদে পৃথক বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ল রিপোর্টার্স ফোরাম।
রেজিস্ট্রার অফিসের একজন কর্মকর্তা দাবি করেছেন, হামলার ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। তার মতে, রামদা নিয়ে যে গিয়েছিল, ঘাস কাটার জন্য তার হাতে এই রামদা ছিল। ঘটনার বিবরণে রিজওয়ান কাদের কচি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টায় অফিসের গাড়িতে করে আমরা ট্রাইব্যুনালে যাচ্ছিলাম। আমাদের গাড়িটি সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতির গাড়ির পেছনে পেছনে চলছিল। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ফটকের বিপরীতে আসার পর ড্রাইভারের ভুলে আমাদের গাড়িটি বিচারপতিদের গাড়ির পথে প্রবেশের উপক্রম হয়। এ সময় নিরাপত্তারক্ষীরা চিৎকার দিয়ে তাড়াতাড়ি গাড়ি সরাতে বলে। কিন্তু সরানোর সময় গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। সরাতে দেরি দেখে ওই নিরাপত্তারক্ষী তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে চ্যানেল আইয়ের গাড়ির গ্লাসে আঘাত করতে শুরু করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই কর্মচারী আমাদের ওপরও চড়াও হয়।’
কচি আরো বলেন, তারা লাঠিসোটা দিয়ে আমাদের মারধর করে। একজন রামদা নিয়ে এগিয়ে আসে। এর মধ্যে পুলিশ সদস্যরা আমাদের রক্ষায় এগিয়ে আসার পর তারাও হামলার শিকার হন। একজন পুলিশ সদস্যও আহত হন।
ডিআরইউ’র নিন্দা : সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টের কর্মচারীদের রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ এবং ােভ প্রকাশ করেছেন ডিআরইউ সভাপতি শাহেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খানসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সব কর্মকর্তা। তারা বলেছেন, সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলা উদ্বেগজনক এবং নিন্দনীয়। এটা স্বাধীন ও মুক্ত সাংবাদিকতার পরিপন্থী। এই অবস্থায় কোনো ধরনের অনাহূত ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপকে এর দায়দায়িত্ব নিতে হবে। নেতৃবৃন্দ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, কর্মচারীদের হামলায় চ্যানেল আইয়ের রিপোর্টার রিজওয়ান কাদের কচিসহ তিনজন সাংবাদিক এবং একজন পুলিশ অফিসার গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ল রিপোর্টার্স ফোরাম’ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন ও সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মেহেদি ঘটনার সুষ্ঠু ও সম্মানজনক সমাধানের আশ্বাস দিলে সাংবাদিকেরা তাদের অবস্থান কর্মসূচি মুলতবি ঘোষণা করেন। পরে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এ কে এম শামসুল ইসলামের কক্ষে উচ্চ আদালতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ল রিপোর্টার্স ফোরামের নেতৃবৃন্দের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ লাঠি ও রামদা নিয়ে সংবাদকর্মীদের ওপর হামলাকে একটি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। একই সাথে তারা সংবাদ সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা দূর করার দাবি করেন।
পরে জানানো হয়, প্রধান বিচারপতি রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আজ বুধবার দুপুর ১২টায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে একটি সভা হবে। রেজিস্ট্রার আশ্বাস দেন, এর মাধ্যমে বিষয়টির একটি সম্মানজনক নিষ্পত্তি হবে। অন্য দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক প্রধান বিচারপতির সাথে দেখা করে এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সূত্র জানায়, প্রধান বিচারপতি এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে সমিতির নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বিচারপতিদের বহনকারী গাড়ি যে পথে প্রবেশ করে ভুলক্রমে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় চ্যানেল আইয়ের রিজওয়ান কচির গাড়িচালক সে পথে প্রবেশ করেন। এ নিয়ে ওখানে দায়িত্বরত এবং নিরাপত্তাকর্মী লাঠি দিয়ে গাড়ির কাচে আঘাত করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই কর্মচারী সাংবাদিক রিজওয়ানকেও প্রহার করে। এ সময় অন্যান্য সাংবাদিক সহকর্মীকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে হঠাৎ একদল উচ্ছৃঙ্খল কর্মচারী লাঠি ও রামদা নিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় রিজওয়ান, এসএ টিভির আসাদ রিয়েল ও একই টিভির ক্যামেরাপারসন মিজান এবং দৈনিক আমার দেশের আলমগীর হোসেন আহত হন। তাদের রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ইমামুল হোসেনও আহত হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ল রিপোর্টার্স ফোরাম তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। ফোরামের সভাপতি সালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেনÑ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাশহুদুল হক, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আখতারুজ্জামান লাভলু ও সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ আকন, সিনিয়র সাংবাদিক এম বদিউজ্জামান, ওয়াকিল আহমেদ হিরণ, সাজেদুল হক প্রমুখ। এ ঘটনার প্রতিবাদে পৃথক বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ল রিপোর্টার্স ফোরাম।
রেজিস্ট্রার অফিসের একজন কর্মকর্তা দাবি করেছেন, হামলার ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। তার মতে, রামদা নিয়ে যে গিয়েছিল, ঘাস কাটার জন্য তার হাতে এই রামদা ছিল। ঘটনার বিবরণে রিজওয়ান কাদের কচি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টায় অফিসের গাড়িতে করে আমরা ট্রাইব্যুনালে যাচ্ছিলাম। আমাদের গাড়িটি সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতির গাড়ির পেছনে পেছনে চলছিল। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ফটকের বিপরীতে আসার পর ড্রাইভারের ভুলে আমাদের গাড়িটি বিচারপতিদের গাড়ির পথে প্রবেশের উপক্রম হয়। এ সময় নিরাপত্তারক্ষীরা চিৎকার দিয়ে তাড়াতাড়ি গাড়ি সরাতে বলে। কিন্তু সরানোর সময় গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। সরাতে দেরি দেখে ওই নিরাপত্তারক্ষী তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে চ্যানেল আইয়ের গাড়ির গ্লাসে আঘাত করতে শুরু করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই কর্মচারী আমাদের ওপরও চড়াও হয়।’
কচি আরো বলেন, তারা লাঠিসোটা দিয়ে আমাদের মারধর করে। একজন রামদা নিয়ে এগিয়ে আসে। এর মধ্যে পুলিশ সদস্যরা আমাদের রক্ষায় এগিয়ে আসার পর তারাও হামলার শিকার হন। একজন পুলিশ সদস্যও আহত হন।
ডিআরইউ’র নিন্দা : সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টের কর্মচারীদের রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ এবং ােভ প্রকাশ করেছেন ডিআরইউ সভাপতি শাহেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খানসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সব কর্মকর্তা। তারা বলেছেন, সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলা উদ্বেগজনক এবং নিন্দনীয়। এটা স্বাধীন ও মুক্ত সাংবাদিকতার পরিপন্থী। এই অবস্থায় কোনো ধরনের অনাহূত ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপকে এর দায়দায়িত্ব নিতে হবে। নেতৃবৃন্দ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
No comments