জামায়াতের তান্ডব- আতংকের শহর চট্টগ্রাম
হরতালের
সমর্থনে বুধবার সন্ধ্যায় একযোগে বেশ কয়েকটি স্থানে আকস্মিক মিছিল বের করে,
গাড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে, পটকা ফাটিয়ে আতংক সৃষ্টি করেছে জামায়াত-শিবির।
আর
সন্ধ্যার পর থেকে জামায়াত-শিবিরকে সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশ
সদস্যদের।
এর মধ্যে পুলিশ সন্ধ্যায় নগরীর গোলপাহাড় মোড় এলাকা থেকে
এক শিবির কর্মীকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার
(উত্তর) মো.শহীদুল্লাহ।
পুলিশের অনুমোদন নিয়ে দিনভর প্রকাশ্য মিছিলের পর সন্ধ্যায় জনমনে আতংক সৃষ্টির জন্য এ পদক্ষেপ নেয় সহিংস কর্মসূচীর জন্য সমালোচিত এ রাজনৈতিক সংগঠনটি।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জামায়াত-শিবিরের মিছিল থেকে পটকা বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া গেছে বলে পথচারীরা জানিয়েছেন। এতে ককটেল বিস্ফোরণের গুজব ছড়িয়ে পড়লেও পুলিশ কর্মকর্তারা তা অস্বীকার করেছেন।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর বন্দর থানার নিমতলী, ডবলমুরিং থানার বাদামতল মোড়, কোতয়ালী থানার গোলপাহাড়, চট্টগ্রাম কলেজ এবং জামালখান এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।
নগরীর বন্দর থানার ওসি জাহেদুল হক বাংলানিউজকে জানান, নিমতলী এলাকায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা আকস্মিকভাবে জ্বলন্ত টায়ার রাস্তার উপর ছুঁড়ে মারে। এরপর মিছিল করা শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায়। এসময় ওই এলাকা দিয়ে সাময়িকভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নগর পুলিশের ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার আরেফিন জুয়েল বাংলানিউজকে জানান, আগ্রাবাদ বাদামতল মোড়ের অদূরে হোটেল সেন্টমার্টিনের সামনে থেকে মিছিল বের করে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এসময় তারা রাস্তার উপর কয়েকটি টায়ার জ্বালিয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী পথচারী ও স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার মালিক প্রকাশ দাস বাংলানিউজকে বলেন, `প্রথমে বিকট শব্দে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। লোকজন আতংকে ছুটোছুটি শুরু করে। যানবাহন চলাচল, দোকানপাটও বন্ধ হয়ে যায়। পরে টায়ার জ্বালিয়ে দেয়।`
পুলিশের অনুমোদন নিয়ে দিনভর প্রকাশ্য মিছিলের পর সন্ধ্যায় জনমনে আতংক সৃষ্টির জন্য এ পদক্ষেপ নেয় সহিংস কর্মসূচীর জন্য সমালোচিত এ রাজনৈতিক সংগঠনটি।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জামায়াত-শিবিরের মিছিল থেকে পটকা বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া গেছে বলে পথচারীরা জানিয়েছেন। এতে ককটেল বিস্ফোরণের গুজব ছড়িয়ে পড়লেও পুলিশ কর্মকর্তারা তা অস্বীকার করেছেন।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর বন্দর থানার নিমতলী, ডবলমুরিং থানার বাদামতল মোড়, কোতয়ালী থানার গোলপাহাড়, চট্টগ্রাম কলেজ এবং জামালখান এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।
নগরীর বন্দর থানার ওসি জাহেদুল হক বাংলানিউজকে জানান, নিমতলী এলাকায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা আকস্মিকভাবে জ্বলন্ত টায়ার রাস্তার উপর ছুঁড়ে মারে। এরপর মিছিল করা শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায়। এসময় ওই এলাকা দিয়ে সাময়িকভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নগর পুলিশের ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার আরেফিন জুয়েল বাংলানিউজকে জানান, আগ্রাবাদ বাদামতল মোড়ের অদূরে হোটেল সেন্টমার্টিনের সামনে থেকে মিছিল বের করে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এসময় তারা রাস্তার উপর কয়েকটি টায়ার জ্বালিয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী পথচারী ও স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার মালিক প্রকাশ দাস বাংলানিউজকে বলেন, `প্রথমে বিকট শব্দে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। লোকজন আতংকে ছুটোছুটি শুরু করে। যানবাহন চলাচল, দোকানপাটও বন্ধ হয়ে যায়। পরে টায়ার জ্বালিয়ে দেয়।`
নগর পুলিশের পশ্চিম জোনের উপ-কমিশনার হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, `টায়ারে অগ্নিসংযোগ করেছিল। ককটেল বিস্ফোরণের কোন খবর পাইনি।`
এদিকে একই সময়ে নগরীর জামালখান এলাকায় মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির। সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
এরপর চট্টগ্রাম কলেজের প্রধান ফটকের সামনে থেকে ঝটিকা মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির। মিছিলটি চকবাজার মোড়ে গিয়ে টায়ারে আগুন দেয়। পরে একই মিছিল গোলপাহাড় মোড়ে গিয়ে আবারও আগুন দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, `কয়েকটা জায়গায় জামায়াত-শিবির মিছিলের চেষ্টা করেছে। আমরা আগে থেকেই অ্যালার্ট থাকায় তারা বড় কোন ঘটনা ঘটাতে পারেনি। কোথাও ককটেল বিস্ফোরণের খবর আমরা পাইনি।`
এদিকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর আসকার দিঘীর পাড় ও চকবাজার তেলিপট্টি মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে আতংক সৃষ্টি করে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।
তেলিপট্টি মোড়ে টায়ার জ্বালানোর পর চার-পাঁচটি পটকারও বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। এতে পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ পথচারীরা হুড়োহুড়ি করে স্থান ত্যাগ করে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মো.শহীদুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, `জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করে টায়ারে আগুন দিয়েছে এবং পটকার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই তারা পালিয়ে যায়।`
No comments