যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসননীতি সংস্কার-অবৈধ অভিবাসীদের জন্য কাঙ্ক্ষিত প্রস্তাব প্রকাশ
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসননীতির ব্যাপক সংস্কারে নতুন পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সিনেটরদের যৌথ কমিটি। প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী এক কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসীর নাগরিকত্ব পাওয়ার সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারের কথা বলা হয়েছে। গত সোমবার পরিকল্পনাটি প্রকাশ করা হয়। অভিবাসন নীতির সংস্কার নিয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নিজস্ব ভাবনা গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশের কথা ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক দলের চার সদস্য এবং বিরোধী রিপাবলিকান দলের চার সদস্য গত সোমবার অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা পাওয়ার পরিকল্পনাটি প্রকাশ করেন। এ ছাড়া এতে চাকরির জন্য যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া আরো কঠোর করা, সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো এবং এ কাজে চালকবিহীন বিমানসহ অন্য নজরদারি ব্যবস্থার ব্যবহার, দক্ষতার ওপর নির্ভর করে অভিবাসন, ভিসা ব্যবস্থার উন্নতি ও ভয়ংকর অপরাধীদের দেশে ফেরত পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।
ওয়াশিংটনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ পরিকল্পনা প্রকাশের সময় ডেমোক্র্যাট সিনেটর চালর্স শুমার আশা করেন, বসন্তের শেষ বা গ্রীষ্মের মধ্যেই এ ব্যাপারে সিনেটের অনুমোদন পাওয়া যাবে। অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান সিনেটর জন ম্যাককেইন বলেন, এ সংস্কার প্রক্রিয়া 'বেশ কঠিন হলেও বাস্তবায়ন সম্ভব। অবৈধ অভিবাসীরা ছায়ার মধ্যে লুকিয়ে থাকবে_এটা দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। তাদের এগিয়ে যাওয়ার, সমাজের দায় বহনের এবং এ দেশের বৈধ নাগরিক হওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।'
নতুন প্রস্তাবে পর্যটক, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য স্বল্পকালীন ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারীদের দেশ থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময়ের দিকেও দৃষ্টি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
তবে রক্ষণশীল অনেক আইনপ্রণেতাই মনে করেন, এ প্রস্তাবে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে অপরাধীদের জন্য 'সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা' দেওয়া হলো। সিনেটে রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককোনেল বলেন, অভিবাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পেঁৗছানোর আগে বিস্তারিত আলোচনা দরকার। 'বিষয়টি এমন নয় যে পর্দার আড়ালে একটি প্রস্তাব তৈরি করে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যানের জন্য আপনি সিনেটে পাঠিয়ে দিলেন এবং সমাধান হয়ে গেল।'
জানা গেছে, ওবামার অভিবাসন-সংক্রান্ত প্রস্তাবটিও সিনেটরদের প্রস্তাবের প্রায় অনুরূপ। গতকাল নেভাডায় নিজের প্রস্তাবের বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশের কথা ছিল প্রেসিডেন্টের। গত বছর নির্বাচনী প্রচারে ওবামার অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল অভিবাসন আইনের সংস্কার। ফলে অভিবাসন নিয়ে কট্টরপন্থায় বিশ্বাসী রিপাবলিকানদের বাদ দিয়ে ওবামাকে একচেটিয়া ভোট দেন হিস্পানিক ও লাতিন ভোটাররা। ওবামা তাঁর প্রথম মেয়াদেও অভিবাসন নীতির সংস্কার নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলেন। ২০১০ সালে এ-সংক্রান্ত একটি বিল রিপাবলিকানদের বাধার মুখে বাতিল হয়ে যায়। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক দলের চার সদস্য এবং বিরোধী রিপাবলিকান দলের চার সদস্য গত সোমবার অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা পাওয়ার পরিকল্পনাটি প্রকাশ করেন। এ ছাড়া এতে চাকরির জন্য যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া আরো কঠোর করা, সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো এবং এ কাজে চালকবিহীন বিমানসহ অন্য নজরদারি ব্যবস্থার ব্যবহার, দক্ষতার ওপর নির্ভর করে অভিবাসন, ভিসা ব্যবস্থার উন্নতি ও ভয়ংকর অপরাধীদের দেশে ফেরত পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।
ওয়াশিংটনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ পরিকল্পনা প্রকাশের সময় ডেমোক্র্যাট সিনেটর চালর্স শুমার আশা করেন, বসন্তের শেষ বা গ্রীষ্মের মধ্যেই এ ব্যাপারে সিনেটের অনুমোদন পাওয়া যাবে। অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান সিনেটর জন ম্যাককেইন বলেন, এ সংস্কার প্রক্রিয়া 'বেশ কঠিন হলেও বাস্তবায়ন সম্ভব। অবৈধ অভিবাসীরা ছায়ার মধ্যে লুকিয়ে থাকবে_এটা দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। তাদের এগিয়ে যাওয়ার, সমাজের দায় বহনের এবং এ দেশের বৈধ নাগরিক হওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।'
নতুন প্রস্তাবে পর্যটক, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য স্বল্পকালীন ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারীদের দেশ থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময়ের দিকেও দৃষ্টি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
তবে রক্ষণশীল অনেক আইনপ্রণেতাই মনে করেন, এ প্রস্তাবে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে অপরাধীদের জন্য 'সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা' দেওয়া হলো। সিনেটে রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককোনেল বলেন, অভিবাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পেঁৗছানোর আগে বিস্তারিত আলোচনা দরকার। 'বিষয়টি এমন নয় যে পর্দার আড়ালে একটি প্রস্তাব তৈরি করে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যানের জন্য আপনি সিনেটে পাঠিয়ে দিলেন এবং সমাধান হয়ে গেল।'
জানা গেছে, ওবামার অভিবাসন-সংক্রান্ত প্রস্তাবটিও সিনেটরদের প্রস্তাবের প্রায় অনুরূপ। গতকাল নেভাডায় নিজের প্রস্তাবের বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশের কথা ছিল প্রেসিডেন্টের। গত বছর নির্বাচনী প্রচারে ওবামার অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল অভিবাসন আইনের সংস্কার। ফলে অভিবাসন নিয়ে কট্টরপন্থায় বিশ্বাসী রিপাবলিকানদের বাদ দিয়ে ওবামাকে একচেটিয়া ভোট দেন হিস্পানিক ও লাতিন ভোটাররা। ওবামা তাঁর প্রথম মেয়াদেও অভিবাসন নীতির সংস্কার নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলেন। ২০১০ সালে এ-সংক্রান্ত একটি বিল রিপাবলিকানদের বাধার মুখে বাতিল হয়ে যায়। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments