ফুলবাড়ীতে প্রতিরোধ, কর্মসূচি বাতিল এশিয়া এনার্জির
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে শীতবস্ত্র বিতরণের নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন এশিয়া এনার্জি ও গ্লোবাল কোল ম্যানেজমেন্টের (জিসিএম) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গ্যারি এন লাই।
ফুলবাড়ী, বিরামপুর, পার্বতীপুর ও নবাবগঞ্জ থানা তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির প্রতিরোধের মুখে গতকাল মঙ্গলবার গ্যারি এন লাই এই কর্মসূচি বাতিল করেন। দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক আহমদ শামীম আল রাজী প্রথম আলোকে বলেন, গ্যারি লাই গত সোমবার রাতে দিনাজপুরে ছিলেন। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁর কার্যালয়ে অবস্থান করেন। পুলিশ সুপার মো. ময়নুল ইসলামসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, শীতবস্ত্র বিতরণে গ্যারি লাইকে সহযোগিতার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তাই তাঁকে কর্মসূচি বাতিলের পরামর্শ দেওয়া হয়।
পুলিশ সুপার মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘গ্যারি এন লাইকে খনি এলাকায় না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।’
প্রস্তাবিত কয়লাখনি অঞ্চলে গ্যারি লাইয়ের আগমনকে ঘিরে খনিবিরোধীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সোমবার রাত থেকে গতকাল সারা দিন ফুলবাড়ী, পার্বতীপুর, নবাবগঞ্জ ও বিরামপুরে জাতীয় কমিটি লাঠিমিছিল করে। ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র মো. মানিক সরকারের নেতৃত্বে সম্মিলিত অরাজনৈতিক পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সারা দিন মোটরসাইকেলে করে হাতে লাঠি নিয়ে পাহারা দেন।
মানিক সরকার বলেন, কম্বল বিতরণের নামে খনি এলাকার মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চলছে। ফুলবাড়ী আন্দোলনের নেতা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, অর্থের লোভ দেখিয়ে এশিয়া এনার্জি স্বার্থ হাসিল করতে পারবে না।
জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদ বলেন, বিদেশের বাজারে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের মূল্য আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এশিয়া এনার্জি মরণকামড় দেওয়ার চেষ্টা করছে।
গ্যারি এন লাই প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফুলবাড়ী কয়লা প্রকল্প এগিয়ে নিতে এবং স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এই প্রকল্পের ফলে নবগঠিত রংপুর বিভাগের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এর ফলে যে শিল্পোন্নয়ন হবে, তাতে প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, শীতবস্ত্র বিতরণে গ্যারি লাইকে সহযোগিতার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তাই তাঁকে কর্মসূচি বাতিলের পরামর্শ দেওয়া হয়।
পুলিশ সুপার মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘গ্যারি এন লাইকে খনি এলাকায় না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।’
প্রস্তাবিত কয়লাখনি অঞ্চলে গ্যারি লাইয়ের আগমনকে ঘিরে খনিবিরোধীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সোমবার রাত থেকে গতকাল সারা দিন ফুলবাড়ী, পার্বতীপুর, নবাবগঞ্জ ও বিরামপুরে জাতীয় কমিটি লাঠিমিছিল করে। ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র মো. মানিক সরকারের নেতৃত্বে সম্মিলিত অরাজনৈতিক পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সারা দিন মোটরসাইকেলে করে হাতে লাঠি নিয়ে পাহারা দেন।
মানিক সরকার বলেন, কম্বল বিতরণের নামে খনি এলাকার মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চলছে। ফুলবাড়ী আন্দোলনের নেতা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, অর্থের লোভ দেখিয়ে এশিয়া এনার্জি স্বার্থ হাসিল করতে পারবে না।
জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদ বলেন, বিদেশের বাজারে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের মূল্য আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এশিয়া এনার্জি মরণকামড় দেওয়ার চেষ্টা করছে।
গ্যারি এন লাই প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফুলবাড়ী কয়লা প্রকল্প এগিয়ে নিতে এবং স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এই প্রকল্পের ফলে নবগঠিত রংপুর বিভাগের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এর ফলে যে শিল্পোন্নয়ন হবে, তাতে প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে।’
No comments