মুক্তিযোদ্ধা চাকরিজীবীদের অবসরগ্রহণের বয়সসীমা by আলী কবীর
সরকার মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীদের অবসর নেওয়ার বয়সসীমা ২০০৯ সালের শেষ দিকে ৫৯ বছরে পুনর্নির্ধারণ করে। বলাই বাহুল্য, দেশ ও জাতির জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সরকার এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে প্রথমে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়
এবং পরবর্তী সময়ে জাতীয় সংসদে এতদুদ্দেশ্যে একটি আইন প্রণীত হয়। সরকারি, আধা সরকারি ও স্বশাসিত সংস্থায় চাকরিরত এবং অবসর প্রস্তুতি ছুটিতে থাকা মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীরা এ আইনের আওতায় বর্ধিত বয়সসীমার সুবিধা লাভ করেন। বলাই বাহুল্য, ওই সময় মুক্তিযোদ্ধা নন এমন গণকর্মচারীদের অবসর নেওয়ার বয়সসীমা ছিল ৫৭ বছর।
প্রায় দুই বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর সরকার আরেকটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা-অমুক্তিযোদ্ধা সব গণকর্মচারীর অবসরগ্রহণের বয়স সরকার ৫৭ থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত করেছে। ফলে অবসরগ্রহণের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা ও অমুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীদের মধ্যে বিরাজমান পার্থক্যটুকু ঘুচে যায়। স্বাভাবিকভাবেই মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীরা ভাবতে শুরু করেন, তাদের সরকার প্রদত্ত বিশেষ সম্মান বা স্বীকৃতির নীরব অবসান ঘটানো হয়েছে। ওই আইনে যদি একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরগ্রহণের বয়সসীমা আরো অন্তত দুই বছর বাড়িয়ে ৬১-তে নির্ধারণ করা হতো (যা সহজেই করা যেত), তাহলে মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীদের এরূপ ভাবার অবকাশ থাকত না।
সর্বশেষ অনেক বিলম্বে হলেও সরকার মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীদের অবসরগ্রহণের বয়সসীমা এক বছর বৃদ্ধি করে ৬০ বছরে উন্নীত করেছে। এ যেন পর্বতের মূষিক প্রসব। এই আদেশ জারিতে এতটাই বিলম্ব করা হয়েছে, যাঁরা এর উপকারভোগী হবেন, তাঁদের বেশির ভাগ ইতিমধ্যে অবসরে চলে গেছেন। এ ছাড়া যাঁরা ২০০৯ সালের আইনের আওতায় এসেছিলেন তাঁরা ধারাবাহিকভাবে (চাকরিগত অবস্থান নির্বিশেষে) সর্বশেষ আইনের আওতায় আসবেন কি না সে ব্যাপারে আইনে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি। অথচ সর্বশেষ আইনের benefit তাদের যুক্তিসংগতভাবে প্রাপ্য।
সবচেয়ে বড় কথা, তাদের বয়সসীমা দীর্ঘ চিন্তাভাবনার পর মাত্র এক বছর বাড়ানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের বেলায় এই কার্পণ্যের হেতু কী? দীর্ঘ চিন্তাভাবনায় কালক্ষেপণেরই বা কী প্রয়োজন ছিল? কমপক্ষে দুটি বছর বয়স বাড়ানো হলে সব পক্ষের মুখ রক্ষা হতো।
স্পষ্টতই মুক্তিযোদ্ধাদের ভালো-মন্দ সম্পর্কে যাঁরা উদাসীন তাঁরাই এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্রিয়াশীল ছিলেন। এই unwilling horse বা অনিচ্ছুক অশ্বরা কারা, কী তাঁদের পরিচয়, পাঠক হয়তো অনুমান করতে পারবে। এরা কেউ মুক্তিযোদ্ধা নন একথা সহজেই অনুমেয়।
শুনেছি ইতিমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীদের অবসরের বয়স অন্য কর্মচারীদের চেয়ে দুই বছর বাড়িয়ে ৬১ বছরে নির্ধারণ করার জন্য হাইকোর্টে একটি রিট মামলা হয়েছে। এক সময় চিহ্নিত ঘাতক ও স্বাধীনতা বিরোধীর নাগরিকত্বের অসম্ভব-অবাস্তব আবদারও নিষ্পত্তির জন্য আদালতে উঠেছিল এবং আদালতকে তা নিষ্পন্ন করতে হয়েছিল। এখন মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়স নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে। স্পষ্টতই বিষয়টিতে সর্বশেষ আইন তাদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল যখন দেশ পরিচালনায় নিয়োজিত তখন এরূপ একটি অবস্থা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দৃষ্টিকটু। বোঝা যাচ্ছে, সরকারের ভেতরে অবস্থানকারী সবাই সরকারের এক রকম হিতাকাঙ্ক্ষী নন। আসলে মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীদের অবসরগ্রহণের বয়স কত হওয়া উচিত? আমার মনে হয়, তাঁদের অবসরগ্রহণের নির্দিষ্ট কোনো বয়সসীমা থাকা উচিত নয়। যত দিন তাঁরা কর্মক্ষম থাকবেন, দৈহিক ও মানসিক দিক দিয়ে দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা রাখবেন, তত দিন তারা চাকরিতে থাকবেন। কারণ তাঁরা আর দশজন গণকর্মচারীর মতো গণকর্মচারী নন। তাঁরা দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান একথা সর্বজনবিদিত এবং সর্বজনস্বীকৃত। পৃথিবীর অনেক দেশে কোনো কোনো পদাধিকারীর আজীবন চাকরিতে বহাল থাকার বিধান রয়েছে। যেমন- যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তিনি আমৃত্যু স্বপদে বহাল থাকেন।
দেশের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন নেন এরূপ অন্য কেউ দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়ে অধিকতর সুবিধা পেতে পারেন না। আমাদের এই দেশে একেক পেশার জন্য অবসরগ্রহণের একেক রকম বয়সসীমা প্রচলিত রয়েছে, যা মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়ে অনেক বেশি। যেমন- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসর নেওয়ার বয়স ৬৫ বছর। আর সর্বোচ্চ বয়সে অবসরগ্রহণকারী গণকর্মচারী হচ্ছেন আমাদের সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনের বিচারকরা। তাঁদের অবসর নেওয়ার বয়স ৬৭ বছর।
এই দেশে কোনো দিন আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ হবে না। আর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য যে অমূল্য ও অসাধারণ অবদান রেখেছেন, সেরূপ ভূমিকা পালনের সুযোগ আর কেউ পাবে না। এ ছাড়া প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে তাঁদের সংখ্যা ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে। আর কয়েক বছর পরে রাষ্ট্রীয় কোনো সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার জন্য হয়তো কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে আর পাওয়া যাবে না।
সুতরাং মুক্তিযোদ্ধাদের অবসর নেওয়ার কোনো নির্দিষ্ট বয়সসীমা থাকার প্রয়োজন নেই। আর যদি তাঁদের অবসর নেওয়ার বয়স নির্ধারণ করতেই হয় সেটা অবশ্যই ৬৭ বছরের কম হতে পারবে না। তাঁদের অবসরগ্রহণের বয়স অত্যন্ত যৌক্তিক কারণেই এর চেয়ে কম হওয়া কোনো ক্রমেই বাঞ্ছনীয় নয়। যেসব মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারী ২০০৯ সালে প্রণীত আইনের আওতায় এসেছিলেন তাঁদের সবাইকে প্রস্তাবিত সুবিধা দিতে হবে। কারণ অন্য সবার মতো মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনও একটাই। তাই এক জীবনে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে একই বিষয়ে প্রণীত আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা হলে তা হবে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য মর্যাদার পরিপন্থী।
লেখক : সাবেক সচিব, মুক্তিযোদ্ধা
প্রায় দুই বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর সরকার আরেকটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা-অমুক্তিযোদ্ধা সব গণকর্মচারীর অবসরগ্রহণের বয়স সরকার ৫৭ থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত করেছে। ফলে অবসরগ্রহণের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা ও অমুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীদের মধ্যে বিরাজমান পার্থক্যটুকু ঘুচে যায়। স্বাভাবিকভাবেই মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীরা ভাবতে শুরু করেন, তাদের সরকার প্রদত্ত বিশেষ সম্মান বা স্বীকৃতির নীরব অবসান ঘটানো হয়েছে। ওই আইনে যদি একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরগ্রহণের বয়সসীমা আরো অন্তত দুই বছর বাড়িয়ে ৬১-তে নির্ধারণ করা হতো (যা সহজেই করা যেত), তাহলে মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীদের এরূপ ভাবার অবকাশ থাকত না।
সর্বশেষ অনেক বিলম্বে হলেও সরকার মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীদের অবসরগ্রহণের বয়সসীমা এক বছর বৃদ্ধি করে ৬০ বছরে উন্নীত করেছে। এ যেন পর্বতের মূষিক প্রসব। এই আদেশ জারিতে এতটাই বিলম্ব করা হয়েছে, যাঁরা এর উপকারভোগী হবেন, তাঁদের বেশির ভাগ ইতিমধ্যে অবসরে চলে গেছেন। এ ছাড়া যাঁরা ২০০৯ সালের আইনের আওতায় এসেছিলেন তাঁরা ধারাবাহিকভাবে (চাকরিগত অবস্থান নির্বিশেষে) সর্বশেষ আইনের আওতায় আসবেন কি না সে ব্যাপারে আইনে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি। অথচ সর্বশেষ আইনের benefit তাদের যুক্তিসংগতভাবে প্রাপ্য।
সবচেয়ে বড় কথা, তাদের বয়সসীমা দীর্ঘ চিন্তাভাবনার পর মাত্র এক বছর বাড়ানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের বেলায় এই কার্পণ্যের হেতু কী? দীর্ঘ চিন্তাভাবনায় কালক্ষেপণেরই বা কী প্রয়োজন ছিল? কমপক্ষে দুটি বছর বয়স বাড়ানো হলে সব পক্ষের মুখ রক্ষা হতো।
স্পষ্টতই মুক্তিযোদ্ধাদের ভালো-মন্দ সম্পর্কে যাঁরা উদাসীন তাঁরাই এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্রিয়াশীল ছিলেন। এই unwilling horse বা অনিচ্ছুক অশ্বরা কারা, কী তাঁদের পরিচয়, পাঠক হয়তো অনুমান করতে পারবে। এরা কেউ মুক্তিযোদ্ধা নন একথা সহজেই অনুমেয়।
শুনেছি ইতিমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীদের অবসরের বয়স অন্য কর্মচারীদের চেয়ে দুই বছর বাড়িয়ে ৬১ বছরে নির্ধারণ করার জন্য হাইকোর্টে একটি রিট মামলা হয়েছে। এক সময় চিহ্নিত ঘাতক ও স্বাধীনতা বিরোধীর নাগরিকত্বের অসম্ভব-অবাস্তব আবদারও নিষ্পত্তির জন্য আদালতে উঠেছিল এবং আদালতকে তা নিষ্পন্ন করতে হয়েছিল। এখন মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়স নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে। স্পষ্টতই বিষয়টিতে সর্বশেষ আইন তাদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল যখন দেশ পরিচালনায় নিয়োজিত তখন এরূপ একটি অবস্থা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দৃষ্টিকটু। বোঝা যাচ্ছে, সরকারের ভেতরে অবস্থানকারী সবাই সরকারের এক রকম হিতাকাঙ্ক্ষী নন। আসলে মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীদের অবসরগ্রহণের বয়স কত হওয়া উচিত? আমার মনে হয়, তাঁদের অবসরগ্রহণের নির্দিষ্ট কোনো বয়সসীমা থাকা উচিত নয়। যত দিন তাঁরা কর্মক্ষম থাকবেন, দৈহিক ও মানসিক দিক দিয়ে দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা রাখবেন, তত দিন তারা চাকরিতে থাকবেন। কারণ তাঁরা আর দশজন গণকর্মচারীর মতো গণকর্মচারী নন। তাঁরা দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান একথা সর্বজনবিদিত এবং সর্বজনস্বীকৃত। পৃথিবীর অনেক দেশে কোনো কোনো পদাধিকারীর আজীবন চাকরিতে বহাল থাকার বিধান রয়েছে। যেমন- যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তিনি আমৃত্যু স্বপদে বহাল থাকেন।
দেশের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন নেন এরূপ অন্য কেউ দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়ে অধিকতর সুবিধা পেতে পারেন না। আমাদের এই দেশে একেক পেশার জন্য অবসরগ্রহণের একেক রকম বয়সসীমা প্রচলিত রয়েছে, যা মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়ে অনেক বেশি। যেমন- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসর নেওয়ার বয়স ৬৫ বছর। আর সর্বোচ্চ বয়সে অবসরগ্রহণকারী গণকর্মচারী হচ্ছেন আমাদের সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনের বিচারকরা। তাঁদের অবসর নেওয়ার বয়স ৬৭ বছর।
এই দেশে কোনো দিন আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ হবে না। আর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য যে অমূল্য ও অসাধারণ অবদান রেখেছেন, সেরূপ ভূমিকা পালনের সুযোগ আর কেউ পাবে না। এ ছাড়া প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে তাঁদের সংখ্যা ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে। আর কয়েক বছর পরে রাষ্ট্রীয় কোনো সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার জন্য হয়তো কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে আর পাওয়া যাবে না।
সুতরাং মুক্তিযোদ্ধাদের অবসর নেওয়ার কোনো নির্দিষ্ট বয়সসীমা থাকার প্রয়োজন নেই। আর যদি তাঁদের অবসর নেওয়ার বয়স নির্ধারণ করতেই হয় সেটা অবশ্যই ৬৭ বছরের কম হতে পারবে না। তাঁদের অবসরগ্রহণের বয়স অত্যন্ত যৌক্তিক কারণেই এর চেয়ে কম হওয়া কোনো ক্রমেই বাঞ্ছনীয় নয়। যেসব মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারী ২০০৯ সালে প্রণীত আইনের আওতায় এসেছিলেন তাঁদের সবাইকে প্রস্তাবিত সুবিধা দিতে হবে। কারণ অন্য সবার মতো মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনও একটাই। তাই এক জীবনে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে একই বিষয়ে প্রণীত আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা হলে তা হবে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য মর্যাদার পরিপন্থী।
লেখক : সাবেক সচিব, মুক্তিযোদ্ধা
No comments