পুলিশের মার খাওয়া-জামায়াত-শিবিরকে রুখবে কে?
গত সোমবার আবারও জামায়াত-শিবিরের আক্রমণের শিকার হয়েছে পুলিশ। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের দাবিতে সারা দেশে প্রায় একই সময়ে জামায়াত-শিবির মিছিল বের করেছে। সেই জঙ্গি মিছিল থেকে ভাঙচুর করা হয়েছে। নির্বিচারে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে সোমবার ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল জামায়াত-শিবির।
জামায়াত-শিবিরের এই 'ঘূর্ণিসন্ত্রাস' নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল বের করেছে জামায়াত ও শিবির। ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করাই জামায়াত-শিবিরের এই সন্ত্রাস সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের যুদ্ধাপরাধের বিচার থেকে মুক্ত করতে চায় দলটি। এ জন্য বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে। বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশে একটি সংঘাতময় পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। জামায়াত-শিবির চাইছে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে। একই সঙ্গে সরকারের দিকে একটি হুমকিও ছুড়ে দিতে চায় বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। এবার জামায়াত-শিবির আক্রমণের দিন হিসেবে বেছে নেয় সোমবার। দিনটি যে মন্ত্রিসভার বৈঠকের দিন, সেটা সবার জানা। সেই দিনেই সচিবালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে জামায়াত-শিবির। পুলিশ জামায়াত-শিবিরের আক্রমণের শিকার হয়েছে। চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে শিবিরের সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবারের এ ঘটনাকে অর্থমন্ত্রী গোয়েন্দা ব্যর্থতা বললেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তা মানতে নারাজ। অন্যদিকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বলেছেন, পুলিশের পর্যাপ্ত প্রস্তুতির কারণে বেশি ক্ষতি হয়নি।
সোমবারের ঘটনাকে হালকা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এর আগেও জামায়াত-শিবির ঝটিকা মিছিল করে পুলিশকে আক্রমণ করেছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের আক্রমণের লক্ষ্য ছিল পুলিশ। পুলিশকে আক্রমণ করেই থেমে থাকেনি জামায়াত-শিবির, তাদের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে সেই অস্ত্র দিয়ে পুলিশকে আঘাত করেছে। পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ নাগরিকের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন জামায়াত-শিবিরের লক্ষ্য।
লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, এর আগে পুলিশকে আক্রমণ করলেও গত সোমবার জামায়াত-শিবিরের মিছিলের লক্ষ্য ছিল সচিবালয়। অর্থাৎ এটা এখন ধরে নেওয়া যেতে পারে, সরকারের পাশাপাশি রাষ্ট্রকেও প্রতিপক্ষ ভাবতে শুরু করেছে জামায়াতি ভাবাদর্শের অনুসারীরা। একটি রাজনৈতিক দলের নানা কর্মসূচি থাকতেই পারে। রাজনৈতিক মতাদর্শের ফারাকও থাকতে পারে। সরকারের সঙ্গে যেকোনো রাজনৈতিক দলের মতদ্বৈধ থাকাটাই স্বাভাবিক। যেকোনো রাজনৈতিক দলেরই প্রতিপক্ষ থাকতে পারে। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দল কি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেতে পারে? জামায়াত-শিবিরের বর্তমান কার্যক্রম যেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রকেই অস্বীকার করতে চায়। আর সে কারণেই আক্রান্ত হচ্ছে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সরকারের শেষ সময়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অনেক চেষ্টা হয়ে থাকে। জামায়াত-শিবির এখন তেমনই একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
জামায়াত-শিবিরের এই 'ঘূর্ণিসন্ত্রাস' নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল বের করেছে জামায়াত ও শিবির। ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করাই জামায়াত-শিবিরের এই সন্ত্রাস সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের যুদ্ধাপরাধের বিচার থেকে মুক্ত করতে চায় দলটি। এ জন্য বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে। বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশে একটি সংঘাতময় পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। জামায়াত-শিবির চাইছে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে। একই সঙ্গে সরকারের দিকে একটি হুমকিও ছুড়ে দিতে চায় বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। এবার জামায়াত-শিবির আক্রমণের দিন হিসেবে বেছে নেয় সোমবার। দিনটি যে মন্ত্রিসভার বৈঠকের দিন, সেটা সবার জানা। সেই দিনেই সচিবালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে জামায়াত-শিবির। পুলিশ জামায়াত-শিবিরের আক্রমণের শিকার হয়েছে। চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে শিবিরের সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবারের এ ঘটনাকে অর্থমন্ত্রী গোয়েন্দা ব্যর্থতা বললেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তা মানতে নারাজ। অন্যদিকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বলেছেন, পুলিশের পর্যাপ্ত প্রস্তুতির কারণে বেশি ক্ষতি হয়নি।
সোমবারের ঘটনাকে হালকা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এর আগেও জামায়াত-শিবির ঝটিকা মিছিল করে পুলিশকে আক্রমণ করেছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের আক্রমণের লক্ষ্য ছিল পুলিশ। পুলিশকে আক্রমণ করেই থেমে থাকেনি জামায়াত-শিবির, তাদের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে সেই অস্ত্র দিয়ে পুলিশকে আঘাত করেছে। পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ নাগরিকের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন জামায়াত-শিবিরের লক্ষ্য।
লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, এর আগে পুলিশকে আক্রমণ করলেও গত সোমবার জামায়াত-শিবিরের মিছিলের লক্ষ্য ছিল সচিবালয়। অর্থাৎ এটা এখন ধরে নেওয়া যেতে পারে, সরকারের পাশাপাশি রাষ্ট্রকেও প্রতিপক্ষ ভাবতে শুরু করেছে জামায়াতি ভাবাদর্শের অনুসারীরা। একটি রাজনৈতিক দলের নানা কর্মসূচি থাকতেই পারে। রাজনৈতিক মতাদর্শের ফারাকও থাকতে পারে। সরকারের সঙ্গে যেকোনো রাজনৈতিক দলের মতদ্বৈধ থাকাটাই স্বাভাবিক। যেকোনো রাজনৈতিক দলেরই প্রতিপক্ষ থাকতে পারে। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দল কি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেতে পারে? জামায়াত-শিবিরের বর্তমান কার্যক্রম যেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রকেই অস্বীকার করতে চায়। আর সে কারণেই আক্রান্ত হচ্ছে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সরকারের শেষ সময়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অনেক চেষ্টা হয়ে থাকে। জামায়াত-শিবির এখন তেমনই একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
No comments