ঢাকা-দিল্লি চুক্তি-ভিসাপ্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজ হোক
ঢাকার রূপসী বাংলা হোটেলে গত সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। একটি হলো বহিঃসমর্পণ বা বন্দিবিনিময় চুক্তি, অন্যটি ভিসা সহজীকরণবিষয়ক চুক্তি।
উল্লেখ্য, ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে একটি বিশেষ বিমানে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধে সোমবার ঢাকায় অবতরণ করেন। ২১টি অনুচ্ছেদসংবলিত বহিঃসমর্পণ চুক্তির মুখ্য বিষয় হলো, কমপক্ষে এক বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত বা বিচারাধীন ব্যক্তিকে এক দেশ অন্য দেশের কাছে হস্তান্তর করতে পারবে। তবে চুক্তির বিধানাবলি সাপেক্ষে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে অনুরোধ প্রত্যাখ্যানেরও সুযোগ থাকবে। অন্যদিকে ভিসা-সংক্রান্ত যে চুক্তি হয়েছে, তা মূলত ২০০১ সালের বাংলাদেশ-ভারত চুক্তির সংশোধিত চুক্তি। এ ক্ষেত্রে মূলত ভিসার মেয়াদ সম্প্রসারণ ঘটেছে। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভিসার মেয়াদ, ফিরে এসে আবার ভিসা গ্রহণ করার জটিলতা দূর করতে চেষ্টা করা হয়েছে। এতে অবশ্যই দুই দেশের পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছু বিড়ম্বনা কমবে বৈকি।
নিঃসন্দেহে এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতেই দীর্ঘদিনের দাবির প্রতিফলন ঘটেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্দিবিনিময় বা এক্সট্রাডিশন চুক্তির দাবি বিভিন্ন মহল থেকেই ছিল। এত দিন বন্দিবিনিময়ের চুক্তি না থাকায় অনেক জটিলতা লক্ষ করা গেছে। সেই জটিলতার কারণে কখনো কখনো দুই দেশের সম্পর্কেও টানাপড়েন তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই চুক্তির ফলে তা কেটে যাবে বলে আশা করা যায়। বাংলাদেশ-ভারত শুধু প্রতিবেশী রাষ্ট্রই নয়, দুই দেশের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নিবিড় বন্ধন। তাই বন্দিবিনিময়ের বন্ধ্যত্ব কেটে যাওয়াটা ছিল অপরিহার্য। অন্যদিকে ভিসাপ্রাপ্তির পর অবস্থানকাল নিয়ে দুই দেশের জনগণকেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। এবার তা অনেকটাই প্রশমিত হবে বলে আশা করা যায়। তবে ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে শুধু ভিসার মেয়াদ সম্প্রসারণ নয়, ভিসাপ্রাপ্তির প্রক্রিয়াটিও সহজতর করে ফেলা যায় কি না তা ভেবে দেখতে। এ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও চিকিৎসা, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে ভারতে যায়। কিন্তু ভিসাপ্রাপ্তিতে বাস্তবে যে দীর্ঘসূত্রতা ও কাগজপত্রের জটিলতা দেখা দেয়, তা নিয়ে প্রায়ই ভিসাপ্রার্থীরা বিড়ম্বনায় পড়েন। এ ক্ষেত্রে ঢাকায় নিযুক্ত হাইকমিশন যদি আরো বন্ধুত্বপূর্ণ হয়, যদি অধিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে এ দেশের জনগণের মধ্যে ভারত ভ্রমণের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে এবং ভারতের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিও অধিক বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। দুই দেশেরই মনে রাখা দরকার, এ দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘকাল গমনাগমনে ভিসার ব্যবহার ছিল না। ফলে অধিক জটিল প্রক্রিয়ায় এখনো অনেকে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেনি।
নিঃসন্দেহে এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতেই দীর্ঘদিনের দাবির প্রতিফলন ঘটেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্দিবিনিময় বা এক্সট্রাডিশন চুক্তির দাবি বিভিন্ন মহল থেকেই ছিল। এত দিন বন্দিবিনিময়ের চুক্তি না থাকায় অনেক জটিলতা লক্ষ করা গেছে। সেই জটিলতার কারণে কখনো কখনো দুই দেশের সম্পর্কেও টানাপড়েন তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই চুক্তির ফলে তা কেটে যাবে বলে আশা করা যায়। বাংলাদেশ-ভারত শুধু প্রতিবেশী রাষ্ট্রই নয়, দুই দেশের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নিবিড় বন্ধন। তাই বন্দিবিনিময়ের বন্ধ্যত্ব কেটে যাওয়াটা ছিল অপরিহার্য। অন্যদিকে ভিসাপ্রাপ্তির পর অবস্থানকাল নিয়ে দুই দেশের জনগণকেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। এবার তা অনেকটাই প্রশমিত হবে বলে আশা করা যায়। তবে ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে শুধু ভিসার মেয়াদ সম্প্রসারণ নয়, ভিসাপ্রাপ্তির প্রক্রিয়াটিও সহজতর করে ফেলা যায় কি না তা ভেবে দেখতে। এ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও চিকিৎসা, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে ভারতে যায়। কিন্তু ভিসাপ্রাপ্তিতে বাস্তবে যে দীর্ঘসূত্রতা ও কাগজপত্রের জটিলতা দেখা দেয়, তা নিয়ে প্রায়ই ভিসাপ্রার্থীরা বিড়ম্বনায় পড়েন। এ ক্ষেত্রে ঢাকায় নিযুক্ত হাইকমিশন যদি আরো বন্ধুত্বপূর্ণ হয়, যদি অধিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে এ দেশের জনগণের মধ্যে ভারত ভ্রমণের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে এবং ভারতের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিও অধিক বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। দুই দেশেরই মনে রাখা দরকার, এ দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘকাল গমনাগমনে ভিসার ব্যবহার ছিল না। ফলে অধিক জটিল প্রক্রিয়ায় এখনো অনেকে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেনি।
No comments