সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড-মামলার অগ্রগতি নেই বলে জানাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়



সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের মামলার ব্যাপারে গত এক মাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু প্রথম আলোকে বলেন, জামায়াত-শিবিরের হামলা এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ট্রাফিক-ব্যবস্থা নিয়ে বৈঠকে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে। তবে সাগর-রুনি হত্যা মামলা নিয়ে আলোচনা হয়নি।
বৈঠক সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক, স্বরাষ্ট্রসচিব সি কিউ কে মুশতাক উপস্থিত না থাকায় সাগর-রুনি হত্যা মামলা নিয়ে আলোচনা হয়নি। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, কমিটির আগের বৈঠকের (১০ জানুয়ারি) পর এই মামলায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
মন্ত্রণালয়ের এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাগর-রুনির সন্তান মাহির সারোয়ার মেঘকে (৬) গত ১৮ জুন থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট সাতবার কাউন্সেলিং (পরামর্শদান) করানো হয়েছে। কিন্তু তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, বাসার দারোয়ান হুমায়ুন ওরফে এনামুল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকতে পারেন বলে র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা ধারণা করছেন। গুপ্তচর নিয়োগের মাধ্যমে হুমায়ুনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়, বৈঠকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দান হিসেবে পুলিশের জন্য গাড়ি, আসবাব ও অন্যান্য সরঞ্জাম গ্রহণের বিষয়ে খসড়া নীতিমালা উপস্থাপন করা হয়। আগামী বৈঠকে এ-সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া, ঢাকার ট্রাফিক-ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রশাসনের প্রস্তাব বাস্তবায়নে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে সুপারিশ করা হয়। দেড় মাসের মধ্যে ৭০টি অচল ট্রাফিক সিগন্যাল সচল এবং আরও ৩৩০টি মোড়ে নতুন করে স্বয়ংক্রিয় সংকেত বাতি লাগানোর সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি ছায়েদুল হকের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য হুইপ মির্জা আজম, মুজিবুল হক, হাবিবর রহমান, সানজিদা খানম ও সফিকুল ইসলাম অংশ নেন। এ ছাড়া, উপস্থিত ছিলেন আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, র‌্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান, ঢাকার পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.