বিভিন্ন ধরনের বিকৃত যৌনাচার
স্বমৈথুন / আত্ম মৈথুন (Masturbation)
যখন একজন মানুষ অন্য কোনো মানুষের বা প্রানীর সংস্পর্শ ছাড়া নিজে নিজেই যৌনক্রিয়া সম্পন্ন করে এবং পরিতৃপ্তি লাভ করে তাকে আত্ম মৈথুন বা স্বমৈথুন বলা হয়। পুরুষেরা সাধারনত বালিশ বা বিছানার সাথে পুরুষাঙ্গ ঘর্ষনের মাধ্যমে এমনটি করায় অভ্যস্ত হয়ে থাকে।
ওরাল সেক্স (Sexual oralism)
মুখ গহ্ববর দ্বারা বিপরীত লিঙ্গ বা সমলিঙ্গের যৌনাঙ্গ চোষন (Sucking) বা লেহন করে যে যৌন ক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় তাকে ওরাল সেক্স বলা হয়। এটা দু ধরনের, যখন পুরুষ সঙ্গীটি স্ত্রী সঙ্গীর যৌনাঙ্গ চোষন করে পুর্ন যৌন পরিতৃপ্তি গ্রহন করে তাকে কনিলিঙ্গাস (Connillingus) বলা হয়। আবার স্ত্রী সঙ্গীটি পুরুষ সঙ্গীর যৌনাঙ্গ চোষন করে পুর্ন যৌন পরিতৃপ্তি গ্রহন করলে তাকে ফেলাসিও (Fellatio) বলা হয়।
ইনসেস্ট (Incest)
আপন আত্মীয় স্বজন যাদের সাথে সামাজিক বা ধর্মীয় ভাবে বিবাহ নিষিদ্ধ তাদের সাথে যৌনাচার করাকে ইনসেষ্ট বলা হয়। আপন মা, বাবা, ভাই, বোন, মামা, চাচা, খালা, ফুফু, নানা, দাদা, নানী, দাদী, ভাগ্না, ভাগ্নি, ভাতিজা, ভাতিজি , সৎ ভাই বোন, সৎ মা-বাবা এদের সাথে বিবাহ ধর্মীয় ভাবে নিষিদ্ধ, এদের সাথে কোনো অবস্থায় যৌন সম্পর্ক স্থাপনই ইনসেষ্ট হিসেবে গন্য হয়।
সোডোমি (Sodomy)
গুহ্যদার বা পায়ুপথ দিয়ে যৌনাচার করাকে সোডোমি বলা হয়।
লেসবিয়ানিজম (Lesbianism or Tribadism)
দুটি মেয়ের মধ্যে কৃত যৌনাচার কে লেসবিয়ানিজম বলা হয়, এটা একধরনের সমকামীতা।
অপরদিকে দুজন পুরুষের মধ্যে কৃত যৌনাচার কে Gay বলা হয়।
বিসটিয়ালিটি (Bestiality)
পশু-পাখির সাথে মানুষের যৌনাচারকে বিসটিয়ালিটি বলে।
এক্সিবিশনিজম (Exhibitionism)
এ ধরনের বিকৃত যৌনাচারি জনসম্মুখে (Public place) তার যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করে যৌনতৃপ্তি লাভ করে। সাধারনত বিকৃত রুচির পুরুষটি চলন্ত ট্রেনের কামড়া, বাস, বাস স্টপেজ, স্নানাগারের সম্মুখ, সমুদ্রের পার ইত্যাদি স্থানে মহিলাদের সামনে ইচ্ছাকৃত ভাবে তার যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করে এবং কখনো কখনো হস্তমৈথুন করে তার পরিতৃপ্তি লাভ করে। ইদানিং অনেক মহিলাদের মধ্যেও এমন বিকৃতি দেখা যায়।
ভইউরিজম (Voyeurism)
এটা এমন ধরনের বিকৃত যৌনাচার যার কারনে মানুষ অন্য কোনো দম্পতি বা যুগলের যৌনক্রিয়া দেখে চুড়ান্ত যৌনতৃপ্তি লাভ করে। অনেক সময় লুকিয়ে থেকে স্ত্রীলোকের যৌনাঙ্গ বা গোপন অঙ্গগুলো দেখেও সে চরম তৃপ্তি লাভ করতে পারে। এরা অনেক সময় রাত জেগে সারারাত অন্যের বাড়িতে চুপি চুপি উকি দিয়ে এই ধরনের যৌনক্ষুধা মেটায়। এটা এক্সিবিশনিজম এর ঠিক বিপরীত। আমাদের দেশে সাধারণত গ্রাম অঞ্চলে এটা বেশী দেখা যায়। এ ধরনের মানসিক বৈকল্যের জন্য অবশ্যই মনোরোগ চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হওয়া উচিত।
ম্যাসোকিজম (Masochism)
এই ধরনের বিকৃত যৌনাচারে পুরুষ সঙ্গীটি স্ত্রী সঙ্গীটি দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তার পুর্নাঙ্গ যৌনতৃপ্তি লাভ করে। এজন্য পুরুষটি মহিলা সঙ্গীকে উলঙ্গ অবস্থায় তাকে আঘাত করার জন্য অনেক সময় বাধ্য করে।
অপরদিকে স্যাডিজম হলো ম্যাসোকিজমের ঠিক বিপরীত।
এই ধরনের বিকৃত যৌনাচারে স্ত্রী সঙ্গীটি পুরুষ সঙ্গীটি দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তার পুর্নাঙ্গ যৌনতৃপ্তি লাভ করে। এজন্য মহিলা পুরুষটিকে উলঙ্গ অবস্থায় সজোরে আঘাত করতে থাকে। কোনো কোনো পুরুষ কিংবা মহিলাও এমন বিকৃত রুচির যৌনাচারে অভ্যস্ত হতে পারে। এ ধরনের মানসিক বৈকল্যের জন্য অবশ্যই মনোরোগ চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হওয়া উচিত।
উপরিউক্ত সকল যৌনাচারই বিকৃত এবং ইসলামে নিশিদ্ধ / হারাম। এ সকল যৌন মিলনের কারনে দেখা দেয় মারাত্মক সব যৌন রোগ এবং মানসিক রোগ। যেমনঃ বিসটিয়ালিটির কারনেই আজ পৃথিবীতে এইডস নামক মারাত্মক রোগটি ছড়িয়ে আছে। আবার স্বমৈথুন কিংবা লেসবিয়ানিজমের কারনে দেখা দেয় মানসিক রোগ। যে মানসিক রোগের কারনে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ আস্তে আস্তে হারিয়ে যায়। তাই সময় থাকতে দরকার নিজের পরিবর্তন এবং সব সময় মনে রাখবেন - ইসলাম একটি পরিপূর্ণ ধর্ম। এই ধর্মে যা যা নিশিদ্ধ আছে সেগুলু নিতান্তই ইহকাল এবং পরকালের জন্যে ক্ষতিকর। এবার মিডিয়া কিংবা গবেষকরা যাই বলুক।
যখন একজন মানুষ অন্য কোনো মানুষের বা প্রানীর সংস্পর্শ ছাড়া নিজে নিজেই যৌনক্রিয়া সম্পন্ন করে এবং পরিতৃপ্তি লাভ করে তাকে আত্ম মৈথুন বা স্বমৈথুন বলা হয়। পুরুষেরা সাধারনত বালিশ বা বিছানার সাথে পুরুষাঙ্গ ঘর্ষনের মাধ্যমে এমনটি করায় অভ্যস্ত হয়ে থাকে।
ওরাল সেক্স (Sexual oralism)
মুখ গহ্ববর দ্বারা বিপরীত লিঙ্গ বা সমলিঙ্গের যৌনাঙ্গ চোষন (Sucking) বা লেহন করে যে যৌন ক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় তাকে ওরাল সেক্স বলা হয়। এটা দু ধরনের, যখন পুরুষ সঙ্গীটি স্ত্রী সঙ্গীর যৌনাঙ্গ চোষন করে পুর্ন যৌন পরিতৃপ্তি গ্রহন করে তাকে কনিলিঙ্গাস (Connillingus) বলা হয়। আবার স্ত্রী সঙ্গীটি পুরুষ সঙ্গীর যৌনাঙ্গ চোষন করে পুর্ন যৌন পরিতৃপ্তি গ্রহন করলে তাকে ফেলাসিও (Fellatio) বলা হয়।
ইনসেস্ট (Incest)
আপন আত্মীয় স্বজন যাদের সাথে সামাজিক বা ধর্মীয় ভাবে বিবাহ নিষিদ্ধ তাদের সাথে যৌনাচার করাকে ইনসেষ্ট বলা হয়। আপন মা, বাবা, ভাই, বোন, মামা, চাচা, খালা, ফুফু, নানা, দাদা, নানী, দাদী, ভাগ্না, ভাগ্নি, ভাতিজা, ভাতিজি , সৎ ভাই বোন, সৎ মা-বাবা এদের সাথে বিবাহ ধর্মীয় ভাবে নিষিদ্ধ, এদের সাথে কোনো অবস্থায় যৌন সম্পর্ক স্থাপনই ইনসেষ্ট হিসেবে গন্য হয়।
সোডোমি (Sodomy)
গুহ্যদার বা পায়ুপথ দিয়ে যৌনাচার করাকে সোডোমি বলা হয়।
লেসবিয়ানিজম (Lesbianism or Tribadism)
দুটি মেয়ের মধ্যে কৃত যৌনাচার কে লেসবিয়ানিজম বলা হয়, এটা একধরনের সমকামীতা।
অপরদিকে দুজন পুরুষের মধ্যে কৃত যৌনাচার কে Gay বলা হয়।
বিসটিয়ালিটি (Bestiality)
পশু-পাখির সাথে মানুষের যৌনাচারকে বিসটিয়ালিটি বলে।
এক্সিবিশনিজম (Exhibitionism)
এ ধরনের বিকৃত যৌনাচারি জনসম্মুখে (Public place) তার যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করে যৌনতৃপ্তি লাভ করে। সাধারনত বিকৃত রুচির পুরুষটি চলন্ত ট্রেনের কামড়া, বাস, বাস স্টপেজ, স্নানাগারের সম্মুখ, সমুদ্রের পার ইত্যাদি স্থানে মহিলাদের সামনে ইচ্ছাকৃত ভাবে তার যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করে এবং কখনো কখনো হস্তমৈথুন করে তার পরিতৃপ্তি লাভ করে। ইদানিং অনেক মহিলাদের মধ্যেও এমন বিকৃতি দেখা যায়।
ভইউরিজম (Voyeurism)
এটা এমন ধরনের বিকৃত যৌনাচার যার কারনে মানুষ অন্য কোনো দম্পতি বা যুগলের যৌনক্রিয়া দেখে চুড়ান্ত যৌনতৃপ্তি লাভ করে। অনেক সময় লুকিয়ে থেকে স্ত্রীলোকের যৌনাঙ্গ বা গোপন অঙ্গগুলো দেখেও সে চরম তৃপ্তি লাভ করতে পারে। এরা অনেক সময় রাত জেগে সারারাত অন্যের বাড়িতে চুপি চুপি উকি দিয়ে এই ধরনের যৌনক্ষুধা মেটায়। এটা এক্সিবিশনিজম এর ঠিক বিপরীত। আমাদের দেশে সাধারণত গ্রাম অঞ্চলে এটা বেশী দেখা যায়। এ ধরনের মানসিক বৈকল্যের জন্য অবশ্যই মনোরোগ চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হওয়া উচিত।
ম্যাসোকিজম (Masochism)
এই ধরনের বিকৃত যৌনাচারে পুরুষ সঙ্গীটি স্ত্রী সঙ্গীটি দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তার পুর্নাঙ্গ যৌনতৃপ্তি লাভ করে। এজন্য পুরুষটি মহিলা সঙ্গীকে উলঙ্গ অবস্থায় তাকে আঘাত করার জন্য অনেক সময় বাধ্য করে।
অপরদিকে স্যাডিজম হলো ম্যাসোকিজমের ঠিক বিপরীত।
এই ধরনের বিকৃত যৌনাচারে স্ত্রী সঙ্গীটি পুরুষ সঙ্গীটি দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তার পুর্নাঙ্গ যৌনতৃপ্তি লাভ করে। এজন্য মহিলা পুরুষটিকে উলঙ্গ অবস্থায় সজোরে আঘাত করতে থাকে। কোনো কোনো পুরুষ কিংবা মহিলাও এমন বিকৃত রুচির যৌনাচারে অভ্যস্ত হতে পারে। এ ধরনের মানসিক বৈকল্যের জন্য অবশ্যই মনোরোগ চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হওয়া উচিত।
উপরিউক্ত সকল যৌনাচারই বিকৃত এবং ইসলামে নিশিদ্ধ / হারাম। এ সকল যৌন মিলনের কারনে দেখা দেয় মারাত্মক সব যৌন রোগ এবং মানসিক রোগ। যেমনঃ বিসটিয়ালিটির কারনেই আজ পৃথিবীতে এইডস নামক মারাত্মক রোগটি ছড়িয়ে আছে। আবার স্বমৈথুন কিংবা লেসবিয়ানিজমের কারনে দেখা দেয় মানসিক রোগ। যে মানসিক রোগের কারনে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ আস্তে আস্তে হারিয়ে যায়। তাই সময় থাকতে দরকার নিজের পরিবর্তন এবং সব সময় মনে রাখবেন - ইসলাম একটি পরিপূর্ণ ধর্ম। এই ধর্মে যা যা নিশিদ্ধ আছে সেগুলু নিতান্তই ইহকাল এবং পরকালের জন্যে ক্ষতিকর। এবার মিডিয়া কিংবা গবেষকরা যাই বলুক।
No comments