মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ-কোনো তথ্যকেন্দ্র অচল হলে পাশের কেন্দ্রে নিবন্ধন করা যাবে
কর্মী হিসেবে মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুকদের নিবন্ধন নিয়ে উদ্বেগ দূর করতে প্রবাসী-কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সারা দেশের চার হাজার ৫০০ ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রের মধ্যে চার হাজার পুরোপুরি চালু আছে।
বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট এবং নানা কারিগরি ত্রুটির কারণে পাঁচ শর মতো দুর্বল সেন্টার রয়েছে। এগুলো দ্রুত সারানোর জন্য কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। যদি কোনো তথ্যকেন্দ্র চালু করা সম্ভব না হয় বা অকার্যকর হয়ে যায়, তাহলে পার্শ্ববর্তী যেকোনো ইউনিয়নে তাঁরা নিবন্ধিত হতে পারবেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সার্বিক সহযোগিতা করবেন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। কালের কণ্ঠে গতকাল 'তাঁরা নিবন্ধন করবেন কোথায়' শিরোনামে প্রকাশিত প্রধান প্রতিবেদনে দেশের বিভিন্ন স্থানে মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুকদের উদ্বেগের বিষয়টি উঠে আসায় মন্ত্রী তাঁদের এ আশ্বাস দেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ লাইকুজ্জামান মুক্তা কালের কণ্ঠের সংবাদটি ধরে তথ্যকেন্দ্রগুলোর পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দেন।
মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, 'কেন্দ্রীয়ভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তথ্যকেন্দ্রগুলোর দেখভাল করা হবে। প্রতিটি উপজেলায় চারটি করে মোবাইল ফোন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি থাকবে হটলাইন। কোনো তথ্যকেন্দ্রের উদ্যোক্তার কোনো কারণে রেজিস্ট্রেশন করতে সমস্যা হলে তিনি এই হটলাইনে যোগাযোগ করতে পারবেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে। যেসব কেন্দ্রে সমস্যা হবে সেগুলোতে সহায়তার জন্য আমাদের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ লাইকুজ্জামান মুক্তা বলেন, 'আজকের কালের কণ্ঠে যে সাতটি জেলার ১৪টি ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রের সমস্যা উল্লেখ করা হয়েছে, সে সাতটি জেলায় ইউনিয়নের সংখ্যা হচ্ছে ৫৪৮টি। ওই হিসাবে ওই জেলাগুলোতে সমস্যা হতে পারে গড়ে মাত্র ২.৫ শতাংশ কেন্দ্রে। আমরা ধরে নিচ্ছি এটা ১০ শতাংশ হতে পারে। এই ১০ শতাংশ হলো, আমরা যে ৫০০ ইউনিয়নকেন্দ্র শনাক্ত করেছি সেগুলোতে। সেই কেন্দ্রগুলোকে কতটুকু কার্যকর করা যায় এ নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।'
মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন জানান, ফেব্রুয়ারির শেষ অথবা মার্চের প্রথম সপ্তাহেই মালেশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর প্রথম ফ্লাইট শুরু হবে। এজন্য আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। সারা দেশের চার হাজার ৫০০ ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে এ রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলবে। তিন দিন ধরে চলবে এ কার্যক্রম।
মন্ত্রী জানান, প্রথমেই নিবন্ধন শুরু হবে ঢাকা ও বরিশাল বিভাগে, চলবে ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর রাজশাহী ও রংপুরে ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগ ১৯ থেকে ২১ জুনয়ারি। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। ৫টার মধ্যে যেসব লোক নিবন্ধনের জন্য লাইনে দাঁড়াবেন, ওই দিনই তাঁদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। শুক্রবার নিবন্ধন শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং জুমার নামাজের জন্য ১২টা থেকে দুই ঘণ্টা বিরতি থাকবে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। নিবন্ধনের সময় স্থানীয়ভাবে খরচের জন্য ৫০ টাকা ফি দিতে হবে। পরের দিন জেলা হেডকোয়ার্টারে সবার সামনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লটারির মাধ্যমে ফলাফল জানানো হবে।
মন্ত্রী জানান, প্রাথমিকভাবে সারা দেশ থেকে ৩০ হাজার শ্রমিকের তালিকা করা হবে। এরই মধ্যে মালয়েশিয়া সরকার থেকে ১০ হাজার শ্রমিক পাঠানোর চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে। বাকি ২০ হাজার পর্যায়ক্রমে পাঠানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদসহ অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। কালের কণ্ঠে গতকাল 'তাঁরা নিবন্ধন করবেন কোথায়' শিরোনামে প্রকাশিত প্রধান প্রতিবেদনে দেশের বিভিন্ন স্থানে মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুকদের উদ্বেগের বিষয়টি উঠে আসায় মন্ত্রী তাঁদের এ আশ্বাস দেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ লাইকুজ্জামান মুক্তা কালের কণ্ঠের সংবাদটি ধরে তথ্যকেন্দ্রগুলোর পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দেন।
মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, 'কেন্দ্রীয়ভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তথ্যকেন্দ্রগুলোর দেখভাল করা হবে। প্রতিটি উপজেলায় চারটি করে মোবাইল ফোন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি থাকবে হটলাইন। কোনো তথ্যকেন্দ্রের উদ্যোক্তার কোনো কারণে রেজিস্ট্রেশন করতে সমস্যা হলে তিনি এই হটলাইনে যোগাযোগ করতে পারবেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে। যেসব কেন্দ্রে সমস্যা হবে সেগুলোতে সহায়তার জন্য আমাদের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ লাইকুজ্জামান মুক্তা বলেন, 'আজকের কালের কণ্ঠে যে সাতটি জেলার ১৪টি ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রের সমস্যা উল্লেখ করা হয়েছে, সে সাতটি জেলায় ইউনিয়নের সংখ্যা হচ্ছে ৫৪৮টি। ওই হিসাবে ওই জেলাগুলোতে সমস্যা হতে পারে গড়ে মাত্র ২.৫ শতাংশ কেন্দ্রে। আমরা ধরে নিচ্ছি এটা ১০ শতাংশ হতে পারে। এই ১০ শতাংশ হলো, আমরা যে ৫০০ ইউনিয়নকেন্দ্র শনাক্ত করেছি সেগুলোতে। সেই কেন্দ্রগুলোকে কতটুকু কার্যকর করা যায় এ নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।'
মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন জানান, ফেব্রুয়ারির শেষ অথবা মার্চের প্রথম সপ্তাহেই মালেশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর প্রথম ফ্লাইট শুরু হবে। এজন্য আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। সারা দেশের চার হাজার ৫০০ ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে এ রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলবে। তিন দিন ধরে চলবে এ কার্যক্রম।
মন্ত্রী জানান, প্রথমেই নিবন্ধন শুরু হবে ঢাকা ও বরিশাল বিভাগে, চলবে ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর রাজশাহী ও রংপুরে ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগ ১৯ থেকে ২১ জুনয়ারি। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। ৫টার মধ্যে যেসব লোক নিবন্ধনের জন্য লাইনে দাঁড়াবেন, ওই দিনই তাঁদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। শুক্রবার নিবন্ধন শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং জুমার নামাজের জন্য ১২টা থেকে দুই ঘণ্টা বিরতি থাকবে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। নিবন্ধনের সময় স্থানীয়ভাবে খরচের জন্য ৫০ টাকা ফি দিতে হবে। পরের দিন জেলা হেডকোয়ার্টারে সবার সামনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লটারির মাধ্যমে ফলাফল জানানো হবে।
মন্ত্রী জানান, প্রাথমিকভাবে সারা দেশ থেকে ৩০ হাজার শ্রমিকের তালিকা করা হবে। এরই মধ্যে মালয়েশিয়া সরকার থেকে ১০ হাজার শ্রমিক পাঠানোর চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে। বাকি ২০ হাজার পর্যায়ক্রমে পাঠানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদসহ অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
No comments