দেশে ৩ সাহায্য সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চায় জাতিসংঘ
মিয়ানমারের আরাকান (রাখাইন) রাজ্য থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আসা অনিবন্ধিত শরণার্থীদের চিকিৎসাসহ ন্যূনতম মানবিক ত্রাণ সেবাদানকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভাস্থ কার্যালয়ে এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা। এ বিষয়ে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে একটি খবর দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামের কক্সবাজারে আশ্রিত এসব রোহিঙ্গা শরণার্থীর সাহায্যার্থে নিয়োজিত তিনটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার কাজে গত বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। সংস্থা তিনটি হচ্ছে ফ্রান্স ভিত্তিক ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (মেডিসিন সান ফ্রন্টিয়ার্স- এমএসএফ) ও অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গার এবং বৃটেন ভিত্তিক মুসলিম এইড- ইউকে। এনজিও ব্যুরোর নির্দেশে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন তাদের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এর আগে রোববার ফ্রান্সও এমন আহ্বান জানিয়েছিল বাংলাদেশ সরকারের প্রতি।
মঙ্গলবার জেনেভা কার্যালয়ে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র অ্যাড্রিয়ান অ্যাডওয়ার্ডস সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এই আদেশ যদি বাস্তবায়িত হয় তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে (কক্সবাজারের) লেদা ও কুতুপালংয়ের অস্থায়ী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেয়া এই চল্লিশহাজারের বেশি অনিবন্ধিত লোকের ওপর মারাত্বক প্রভাব ফেলবে।’’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ছাড়াও জেলার দুটি শিবিরে শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত ত্রিশ হাজার মুসলিম শরণার্থীকে সেবা দেয়ার কাজও বাধাগ্রস্ত হবে নিষেধাজ্ঞায়।
জাতিসংঘ মুখপাত্র ‘আদেশ বাস্তবায়িত হলে’ বললেও বার্তা২৪ ডটনেটের কক্সবাজার প্রতিনিধিকে তিনটি সংস্থার প্রতিনিধিরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞার পরদিনই তারা সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে নিজেদের সেবাদানকেন্দ্র ও কর্মসূচি ও গুটিয়ে নিয়েছেন। জরুরি চিকিসাৎসহ ন্যূনতম মানবিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শরণার্থীরা।
জাতিসংঘ মুখপাত্র তার বিবৃতিতে আরো জানান, তারা খবর পেয়েছেন যে গত সোমবার আরাকান রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের অঞ্চলটিতে আমরা এ পর্যন্ত চল্লিশহাজারের বেশি লোককে প্লাস্টিক শিট, কম্বল, ঘুমানোর বিছানা, মশারি ও রান্নার সরঞ্জাম বিতরণ করেছি। এছাড়া কক্সবাজারে আমরা এসবের মজুদ গড়ে তুলেছি যাতে অনুমতি পেলেই এগুলো নাফ নদীপথে আরাকান রাজ্যে সরবরাহ করা যায়।
এদিকে আরাকানের রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতায় রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে উল্লেখ করে সহিংসতা বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ। দেশটিতে সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দূত টমাস ওজিয়া কোয়ানতানা গত রোববার এ নির্যাতনের ঘটনার জরুরি ভিত্তিতে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
চট্টগ্রামের কক্সবাজারে আশ্রিত এসব রোহিঙ্গা শরণার্থীর সাহায্যার্থে নিয়োজিত তিনটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার কাজে গত বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। সংস্থা তিনটি হচ্ছে ফ্রান্স ভিত্তিক ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (মেডিসিন সান ফ্রন্টিয়ার্স- এমএসএফ) ও অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গার এবং বৃটেন ভিত্তিক মুসলিম এইড- ইউকে। এনজিও ব্যুরোর নির্দেশে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন তাদের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এর আগে রোববার ফ্রান্সও এমন আহ্বান জানিয়েছিল বাংলাদেশ সরকারের প্রতি।
মঙ্গলবার জেনেভা কার্যালয়ে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র অ্যাড্রিয়ান অ্যাডওয়ার্ডস সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এই আদেশ যদি বাস্তবায়িত হয় তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে (কক্সবাজারের) লেদা ও কুতুপালংয়ের অস্থায়ী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেয়া এই চল্লিশহাজারের বেশি অনিবন্ধিত লোকের ওপর মারাত্বক প্রভাব ফেলবে।’’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ছাড়াও জেলার দুটি শিবিরে শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত ত্রিশ হাজার মুসলিম শরণার্থীকে সেবা দেয়ার কাজও বাধাগ্রস্ত হবে নিষেধাজ্ঞায়।
জাতিসংঘ মুখপাত্র ‘আদেশ বাস্তবায়িত হলে’ বললেও বার্তা২৪ ডটনেটের কক্সবাজার প্রতিনিধিকে তিনটি সংস্থার প্রতিনিধিরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞার পরদিনই তারা সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে নিজেদের সেবাদানকেন্দ্র ও কর্মসূচি ও গুটিয়ে নিয়েছেন। জরুরি চিকিসাৎসহ ন্যূনতম মানবিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শরণার্থীরা।
জাতিসংঘ মুখপাত্র তার বিবৃতিতে আরো জানান, তারা খবর পেয়েছেন যে গত সোমবার আরাকান রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের অঞ্চলটিতে আমরা এ পর্যন্ত চল্লিশহাজারের বেশি লোককে প্লাস্টিক শিট, কম্বল, ঘুমানোর বিছানা, মশারি ও রান্নার সরঞ্জাম বিতরণ করেছি। এছাড়া কক্সবাজারে আমরা এসবের মজুদ গড়ে তুলেছি যাতে অনুমতি পেলেই এগুলো নাফ নদীপথে আরাকান রাজ্যে সরবরাহ করা যায়।
এদিকে আরাকানের রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতায় রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে উল্লেখ করে সহিংসতা বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ। দেশটিতে সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দূত টমাস ওজিয়া কোয়ানতানা গত রোববার এ নির্যাতনের ঘটনার জরুরি ভিত্তিতে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
No comments