যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার মুখে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চাতুরীর আশ্রয় নিয়ে ইরানের সঙ্গে আড়াই শ বিলিয়ন ডলারের গোপন লেনদেন করায় নিউ ইয়র্ক ছাড়তে হতে পারে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংককে। ব্রিটেনভিত্তিক ব্যাংকটির বিরুদ্ধে এরই মধ্যে বিধি লঙ্ঘনের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এনেছে নিউ ইয়র্কের ব্যাংকিং খাত নিয়ন্ত্রক সংস্থা 'দ্য নিউ ইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব
ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিসেস' (এনওয়াইএসডিএফএস, সংক্ষেপে ডিএফএস)। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, ব্যাংকটি নিউ ইয়র্কে কঠোর নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে যাচ্ছে। গত সোমবার নিউ ইয়র্কে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের অনুমোদন বাতিলের হুমকিও দিয়েছে ডিএফএস। এই অনুমোদন বাতিলের অর্থ শহরটিতে ব্যবসা পরিচালনার লাইসেন্স হারানো।
ডিএফএস তাদের বিবৃতিতে বলেছে, 'নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বিধি লঙ্ঘন করেছে। তারা ইরানের সঙ্গে ২৫ হাজার কোটি ডলারের লেনদেন করে এবং এর তথ্য গোপন করে কয়েক শ কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছে।'
পাশাপাশি ব্যাংকটির কারণে আমেরিকার ব্যাংক খাত সন্ত্রাসী, মাদক পাচারকারী ও দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর কাছে উন্মুক্ত হয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেছে ডিএফএস।
ডিএফএসের তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা বেঞ্জামিন লস্কি জানান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরান সরকারের সঙ্গে ২০০১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০ হাজার লেনদেন সম্পন্ন করেছে এবং এর ফি হিসেবে শত শত কোটি ডলার ('হানড্রেডস অব মিলিয়নস' ডলার) অবৈধভাবে আয় করেছে। তিনি এ ঘটনাকে ব্যাংকটির 'সুনাম বিপর্যয়' হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি আরো জানান, গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের নিউ ইয়র্ক শাখাটিরই অর্জিত সম্পদ হচ্ছে ৪০ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অন্যদিকে এক বিবৃতিতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বলেছে, ডিএফএসের জারি করা আদেশে প্রকৃত ও যথাযথ চিত্র উঠে এসেছে বলে তারা মনে করে না। তাদের দাবি, তারা যথাযথভাবে নিয়ম অনুসরণের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পরও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের মাধ্যমে ইরানের সঙ্গে কিছু লেনদেন হয়েছে সত্যি। তবে তা কোনোভাবেই এক কোটি ৪০ লাখ ডলারের বেশি নয়। এ বিষয়ে ডিএফএসের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ব্যাংকটির নিউ ইয়র্ক শাখার এক কর্মকর্তা আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অতিরঞ্জিত এবং ডিএফএসের প্রক্রিয়াটিকে অস্বচ্ছ বলেও দাবি করেন।
এদিকে অর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিউ ইয়র্কে ব্যাংকিং লাইসেন্স হারানো যেকোনো বিদেশি ব্যাংকের জন্যই বড় ধরনের বিপর্যয়। কেননা এতে কার্যত আমেরিকার ব্যাংক বাজারে সরাসরি প্রবেশের পথই বন্ধ হয়ে যায়।
চলতি বছর নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের তোপের মুখে পড়া তৃতীয় ব্রিটিশ ব্যাংক হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। এর আগে ঋণমান নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ব্রিটিশ ব্যাংক বার্কলেকে যুক্তরাষ্ট্রে ৪৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হয়। এ ছাড়া গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের এক প্রতিবেদনে আরেক খ্যাতনামা ব্রিটিশ ব্যাংক এইচএসবিসিকে মেক্সিকোর মাদক পাচারকারী এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে লেনদেনে জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি।
ডিএফএস তাদের বিবৃতিতে বলেছে, 'নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বিধি লঙ্ঘন করেছে। তারা ইরানের সঙ্গে ২৫ হাজার কোটি ডলারের লেনদেন করে এবং এর তথ্য গোপন করে কয়েক শ কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছে।'
পাশাপাশি ব্যাংকটির কারণে আমেরিকার ব্যাংক খাত সন্ত্রাসী, মাদক পাচারকারী ও দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর কাছে উন্মুক্ত হয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেছে ডিএফএস।
ডিএফএসের তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা বেঞ্জামিন লস্কি জানান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরান সরকারের সঙ্গে ২০০১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০ হাজার লেনদেন সম্পন্ন করেছে এবং এর ফি হিসেবে শত শত কোটি ডলার ('হানড্রেডস অব মিলিয়নস' ডলার) অবৈধভাবে আয় করেছে। তিনি এ ঘটনাকে ব্যাংকটির 'সুনাম বিপর্যয়' হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি আরো জানান, গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের নিউ ইয়র্ক শাখাটিরই অর্জিত সম্পদ হচ্ছে ৪০ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অন্যদিকে এক বিবৃতিতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বলেছে, ডিএফএসের জারি করা আদেশে প্রকৃত ও যথাযথ চিত্র উঠে এসেছে বলে তারা মনে করে না। তাদের দাবি, তারা যথাযথভাবে নিয়ম অনুসরণের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পরও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের মাধ্যমে ইরানের সঙ্গে কিছু লেনদেন হয়েছে সত্যি। তবে তা কোনোভাবেই এক কোটি ৪০ লাখ ডলারের বেশি নয়। এ বিষয়ে ডিএফএসের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ব্যাংকটির নিউ ইয়র্ক শাখার এক কর্মকর্তা আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অতিরঞ্জিত এবং ডিএফএসের প্রক্রিয়াটিকে অস্বচ্ছ বলেও দাবি করেন।
এদিকে অর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিউ ইয়র্কে ব্যাংকিং লাইসেন্স হারানো যেকোনো বিদেশি ব্যাংকের জন্যই বড় ধরনের বিপর্যয়। কেননা এতে কার্যত আমেরিকার ব্যাংক বাজারে সরাসরি প্রবেশের পথই বন্ধ হয়ে যায়।
চলতি বছর নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের তোপের মুখে পড়া তৃতীয় ব্রিটিশ ব্যাংক হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। এর আগে ঋণমান নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ব্রিটিশ ব্যাংক বার্কলেকে যুক্তরাষ্ট্রে ৪৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হয়। এ ছাড়া গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের এক প্রতিবেদনে আরেক খ্যাতনামা ব্রিটিশ ব্যাংক এইচএসবিসিকে মেক্সিকোর মাদক পাচারকারী এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে লেনদেনে জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি।
No comments