সিনাই উপত্যকায় হামলা সব হিসাব পাল্টে দিতে পারে
মিসর ও ইসরায়েল সীমান্তবর্তী সিনাই উপত্যকার সন্ত্রাসী হামলা কায়রো, জেরুজালেম ও গাজা ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠন হামাসের মধ্যকার ভঙ্গুর সম্পর্ককে আরো নাজুক করে তুলেছে। গত রবিবারের ওই হামলায় মিসরের ১৬ সেনা এবং অন্তত সাত অস্ত্রধারী নিহত হয়। হামলায় ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের আছে ছিল বলে প্রবল
জনমত তৈরি হয়েছে মিসরে। ইসরায়েল অবশ্য এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে ঘটনার সঙ্গে গাজার যোদ্ধাদের সংযোগ রয়েছে বলে মনে করছে অনেকেই। মিসরে বর্তমান ক্ষমতাসীন মুসলিম ব্রাদারহুড সরকারের সঙ্গে হামাসের সুসম্পর্ক থাকলেও বিষয়টি তাদের অস্বস্তির মধ্যে ফেলেছে।
সিনাইয়ে এক সেনা চৌকিতে গত রবিবার ইফতারের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ওই হামলা হয়। মনে করা হচ্ছে, গাজা ভূখণ্ডের পার্শ্ববর্তী সিনাইয়ে সক্রিয় গ্লোবাল জিহাদের ৩৫ সদস্য এ হামলা চালায়। রকেটচালিত গ্রেনেডসহ ভারি অস্ত্রের হামলায় কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১৬ সেনা নিহত এবং সাতজন আহত হয়। সেনা চৌকিতে হামলার পর সন্ত্রাসীরা একটি সাঁজোয়া যান এবং বিস্ফোরকভর্তি ট্রাক নিয়ে ইসরায়েল সীমান্তের দিকে রওনা হয়। ট্রাকটি একটি গেটের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বিস্ফোরিত হয়।
সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সাঁজোয়া যানে অবস্থানকারী সন্ত্রাসীদের অন্তত ১৫ মিনিট সংঘর্ষ হয়। এতে আট সন্ত্রাসী নিহত হয়। নিহতদের শরীরে বিস্ফোরকভর্তি আত্মঘাতী বেল্ট পাওয়া গেছে।
ঘটনার পরপরই এর জন্য আল-কায়েদাকে দায়ী করেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত অবশ্য এর জন্য ইরানের দিকে আঙুল তুলেছেন। মিসরের সেনাবাহিনী গাজার কথা বললেও ক্ষমতাসীন মুসলিম ব্রাদারহুড এক বিবৃতিতে হামলার সঙ্গে মোসাদের সংযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, 'হামলায় মোসাদের হাত থাকতে পারে। ওই এলাকা থেকে ইহুদি নাগরিকদের কয়েক দিন আগেই সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি এই আশঙ্কাকেই প্রমাণ করে।' এতে বলা হয়, সদ্যনির্বাচিত মুসলিম ব্রাদারহুড প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা হিসেবেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।
হামলাকে অনেকেই দেখছেন ক্ষমতা গ্রহণের শুরুতেই মুরসির জন্য কূটনৈতিক পরীক্ষা হিসেবে। ইসরায়েলের সামরিক বিশ্লেষক রন বেন-ইয়েশাই মনে করেন, মিসর ও ইসরায়েলের মধ্যে সামরিক সংঘাত ঘটানোর লক্ষ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে। 'এই সন্ত্রাসী হামলাকে ব্যর্থ করে দেওয়া সম্ভব না হলে ইসরায়েল ও মিসরীয় সেনাদের মধ্যে সরাসরি সংঘাত বাধিয়ে দিত।' এমনিতেই সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের পতনের পর মিসর ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।
তবে এই হামলার কারণে হামাসের সঙ্গে মুসলিম ব্রাদারহুডের সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে। হামলার পরপরই মিসর গাজা সীমান্তের রাফা সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। এটিই একমাত্র ক্রসিং যা ইসরায়েল নিয়ন্ত্রণ করে না। জানা গেছে, ভূগর্ভস্ত বহু টানেলও তারা বন্ধ করে দিয়েছে। হামলার ঘটনা হামাসের সঙ্গে পশ্চিমতীর নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের (পিএ) সম্পর্ককেও প্রভাবিত করতে পারে। পিএ মুবারকের ঘনিষ্ঠ ছিল। মুসলিম ব্রাদারহুড ক্ষমতায় আসার পর সেই অবস্থানে আসে হামাস। এই ঘটনা আবারও হিসাব পাল্টে দিতে পারে। সূত্র : হারেৎজ, এশিয়া টাইম।
সিনাইয়ে এক সেনা চৌকিতে গত রবিবার ইফতারের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ওই হামলা হয়। মনে করা হচ্ছে, গাজা ভূখণ্ডের পার্শ্ববর্তী সিনাইয়ে সক্রিয় গ্লোবাল জিহাদের ৩৫ সদস্য এ হামলা চালায়। রকেটচালিত গ্রেনেডসহ ভারি অস্ত্রের হামলায় কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১৬ সেনা নিহত এবং সাতজন আহত হয়। সেনা চৌকিতে হামলার পর সন্ত্রাসীরা একটি সাঁজোয়া যান এবং বিস্ফোরকভর্তি ট্রাক নিয়ে ইসরায়েল সীমান্তের দিকে রওনা হয়। ট্রাকটি একটি গেটের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বিস্ফোরিত হয়।
সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সাঁজোয়া যানে অবস্থানকারী সন্ত্রাসীদের অন্তত ১৫ মিনিট সংঘর্ষ হয়। এতে আট সন্ত্রাসী নিহত হয়। নিহতদের শরীরে বিস্ফোরকভর্তি আত্মঘাতী বেল্ট পাওয়া গেছে।
ঘটনার পরপরই এর জন্য আল-কায়েদাকে দায়ী করেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত অবশ্য এর জন্য ইরানের দিকে আঙুল তুলেছেন। মিসরের সেনাবাহিনী গাজার কথা বললেও ক্ষমতাসীন মুসলিম ব্রাদারহুড এক বিবৃতিতে হামলার সঙ্গে মোসাদের সংযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, 'হামলায় মোসাদের হাত থাকতে পারে। ওই এলাকা থেকে ইহুদি নাগরিকদের কয়েক দিন আগেই সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি এই আশঙ্কাকেই প্রমাণ করে।' এতে বলা হয়, সদ্যনির্বাচিত মুসলিম ব্রাদারহুড প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা হিসেবেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।
হামলাকে অনেকেই দেখছেন ক্ষমতা গ্রহণের শুরুতেই মুরসির জন্য কূটনৈতিক পরীক্ষা হিসেবে। ইসরায়েলের সামরিক বিশ্লেষক রন বেন-ইয়েশাই মনে করেন, মিসর ও ইসরায়েলের মধ্যে সামরিক সংঘাত ঘটানোর লক্ষ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে। 'এই সন্ত্রাসী হামলাকে ব্যর্থ করে দেওয়া সম্ভব না হলে ইসরায়েল ও মিসরীয় সেনাদের মধ্যে সরাসরি সংঘাত বাধিয়ে দিত।' এমনিতেই সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের পতনের পর মিসর ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।
তবে এই হামলার কারণে হামাসের সঙ্গে মুসলিম ব্রাদারহুডের সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে। হামলার পরপরই মিসর গাজা সীমান্তের রাফা সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। এটিই একমাত্র ক্রসিং যা ইসরায়েল নিয়ন্ত্রণ করে না। জানা গেছে, ভূগর্ভস্ত বহু টানেলও তারা বন্ধ করে দিয়েছে। হামলার ঘটনা হামাসের সঙ্গে পশ্চিমতীর নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের (পিএ) সম্পর্ককেও প্রভাবিত করতে পারে। পিএ মুবারকের ঘনিষ্ঠ ছিল। মুসলিম ব্রাদারহুড ক্ষমতায় আসার পর সেই অবস্থানে আসে হামাস। এই ঘটনা আবারও হিসাব পাল্টে দিতে পারে। সূত্র : হারেৎজ, এশিয়া টাইম।
No comments