ইতিকাফ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত by মিরাজ রহমান
পবিত্র রমজান মাসে বিভিন্ন ইবাদত-বন্দেগির মধ্যে ইতিকাফ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। রমজান মাসের শেষ ১০ দিন কিংবা গোটা রমজান মাসই মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার মানসিকতা নিয়ে পুরুষের জন্য মসজিদে এবং নারীর জন্য নিজ নিজ ঘরে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে ইবাদত করাই হলো ইতিকাফ। এই ইবাদত কেবল পবিত্র রমজান
মাসের সঙ্গেই বিশেষভাবে সম্পর্কিত। ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে পবিত্র রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ পালন করা সুন্নত।
ইতিকাফ কী?
ইতিকাফ একটি বিশেষ আমল বা ইবাদত। রমজান মাস ছাড়া অন্য যেকোনো সময়ই আমলটি করা যায়। তবে রমজান মাসের সঙ্গে এর বিশেষ একটি সম্পর্ক রয়েছে। ইসলামী পরিভাষা মোতাবেক, আল্লাহ মহানের সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পুরুষের জন্য মসজিদে এবং নারীর জন্য নিজ নিজ ঘরে পূর্ণাঙ্গভাবে অবস্থান করাই ইতিকাফ।
ইতিকাফের উদ্দেশ্য
আত্মশুদ্ধির চর্চা ও আত্মার পবিত্রতা অর্জন করাসহ ইতিকাফ পালন করার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। এ ছাড়া রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করার আরো বিশেষ একটি উদ্দেশ্য রয়েছে, তা হলো- শবে কদরের তালাশ করা। এ সময় ইতিকাফ করার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে মহিমান্বিত এ রাতে আমলের সুযোগ লাভ করা যায়।
ইতিকাফের প্রকারভেদ
ইতিকাফ মূলত তিন প্রকার। এক. ওয়াজিব ইতিকাফ। দুই. সুন্নত ইতিকাফ। তিন. মুস্তাহাব ইতিকাফ।
ওয়াজিব ইতিকাফ : কেউ যদি ইতিকাফ করার মানত করে, তবে সে ইতিকাফ আদায় করা ওয়াজিব। চাই তা কোনো শর্তে হোক কিংবা শর্ত ছাড়া। শর্তে হওয়ার অর্থ হলো- কারো এভাবে বলা যে 'আমার অমুক উদ্দেশ্য হাসিল হলে আমি ইতিকাফ করব।' এভাবে ইতিকাফ করার মানত বা ওয়াদা করলে সেটা আদায় করা ওয়াজিব। ওয়াজিব ইতিকাফ কমপক্ষে একদিন হওয়া উচিত। হজরত ওমর (রা.) একবার নবীজিকে (সা.) বললেন, 'হে রাসুল! জাহেলি যুগে আমি মসিজদে হারামে এক রাত ইতিকাফ করার মানত করেছিলাম।' নবীজি (সা.) তখন তাঁকে বললেন, 'যাও তোমার মানত পূর্ণ করো।' [বোখারি]
সুন্নত ইতিকাফ : রমজান মাসের শেষ ১০ দিনে ইতিকাফ করা সুন্নত। হানাফি মাজহাবের মত অনুযায়ী, প্রতি মহল্লা থেকে কিছুসংখ্যক লোক ইতিকাফ করলে বাকিদের জিম্মা থেকে এ সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 'হুজুর (সা.) সব সময় রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করেতন। ইন্তেকাল পর্যন্ত এটা ছিল তাঁর ধারাবাহিক নিয়ম। ইন্তেকালের পর তাঁর স্ত্রীরা এ ধারাবাহিকতা জারি রাখেন।' [বোখারি]
মুস্তাহাব ইতিকাফ : রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ছাড়া অন্য যেকোনো সময় ইতিকাফ করা মুস্তাহাব। শরিয়তের আইন অনুযায়ী মুস্তাহাব ইতিকাফের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। এ ইতিকাফ সামান্য সময় কিংবা দীর্ঘ সময়ের জন্য হতে পারে।
ইতিকাফের শর্তাবলি
একজন ইতিকাফকারীকে পাঁচটি গুণে গুণান্বিত হতে হবে। অর্থ্যাৎ পাঁচটি গুণ না থাকলে কোনো মানুষ ইতিকাফ করতে পারবে না। ১. মুসলমান হওয়া। ২. বালেগ বা প্রাপ্তবয়স্ক ও বিবেচনাবোধ সম্পন্ন হওয়া। ৩. পবিত্র হওয়া। ৪. ইতিকাফের নিয়ত করা। ৫. পূর্ণাঙ্গ সময় (একান্ত আবশ্যক কাজ ছাড়া) ইতিকাফের স্থানে (পুরুষের জন্য মসজিদে এবং নারীর জন্য নিজ ঘরে) অবস্থান করা।
নারীদের ইতিকাফ
পুরুষের মতো নারীরাও ইতিকাফ করতে পারবে। এ জন্য উল্লিখিত শর্তাবলির সঙ্গে স্বামীর অনুমতির বিষয়টি যোগ করতে হবে। আর নারীরা ঘরের কোণে আলাদা কোনো বিশেষ স্থানে ইতিকাফ করবেন।
ইতিকাফ অবস্থায় করণীয়
ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদে বা ইতিকাফের স্থানে বসে যেসব আমল অর্থাৎ জিকির, তাসবিহ পাঠ, কোরআন তিলাওয়াত, জ্ঞান চর্চাসহ বিভিন্ন আমল করা উচিত। এ ছাড়া একান্ত আবশ্যক কোনো কারণ ছাড়া ইতিকাফের স্থান থেকে বাইরে বা অন্য কোনো স্থানে না যাওয়া উচিত।
ইতিকাফ অবস্থায় বর্জনীয়
ইতিকাফকালীন অনর্থক কথা বলা বা আলাপ করা, ঝগড়া-বিবাদসহ যেকোনো প্রকার খারাপ কাজ ও অহেতুক কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
যেসব কারণে ইতিকাফ ভেঙে যায়
এমন কিছু কাজ রয়েছে যা করার দ্বারা ইতিকাফ ভেঙে যায়। যেমন : ১. মসজিদ বা ইতিকাফের স্থান থেকে কোনো প্রয়োজন ছাড়া বের হলে। ২. ইতিকাফ অবস্থায় ইসলাম ত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করলে। ৩. অজ্ঞান, পাগল বা মাতাল হয়ে পড়লে। ৪. নারীদের মাসিক শুরু হলে। ৫. গর্ভপাত হলে। ৬. সহবাস করলে। ৭. বীর্যপাত ঘটলে। ৮. ইতিকাফকারীকে জোরপূর্বক মসজিদ বা ইতিকাফের স্থান থেকে বের করে দিলেও ইতিকাফ ভেঙে যাবে।
যেসব কারণে ইতিকাফকারী বাইরে যেতে পারবেন
একান্ত প্রয়োজনসহ আরো কিছু কারণে ইতিকাফকারী মসজিদ বা ইতিকাফের স্থান থেকে বাইরে বের হতে পারবেন। আর তা হলো- ১. প্রস্রাব-পায়খানা। ২. ফরজ গোসল। তবে অনেকের মতে সাধারণ বা অভ্যাসগত গোসলের জন্যও বের হতে পারবেন। ৩. খাবার পৌঁছে দেওয়ার লোক না থাকলে খাবার খাওয়ার জন্য। ৪. যে মসজিদে ইতিকাফ করছেন সেটা যদি জামে মসজিদ না হয়, তাহলে জুমার নামাজ আদায় করার জন্য অন্য মসজিদে যেতে পারবেন।
এসব ব্যাপারে একটি কথা বিশেষভাবে উল্লেখ্য, এসব কাজ সারার সঙ্গে সঙ্গে অন্য কোনো কাজে না জড়িয়ে ইতিকাফের স্থানে যত দ্রুত সম্ভব ফিরে আসতে হবে।
ইতিকাফের গুরুত্ব
আত্মার পরিশুদ্ধি অর্জন এবং আল্লাহ মহানের সন্তুষ্টি লাভ করার উত্তম পন্থা হলো ইতিকাফ। মানবিক সব চিন্তা-ভাবনার ঊধর্ে্ব অবস্থান করে একজন মানুষ ইতিকাফে একান্তে আল্লাহ মহানের চিন্তায়, তাঁর ধ্যানে বসার সুযোগ লাভ করেন। এ একান্ত যাপন প্রক্রিয়ার প্রভাব সীমাহীন। ইতিকাফ একজন মানুষের ওপর এমনভাবে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক প্রভাব বিস্তার করে, যা তাঁকে দীর্ঘদিন আল্লাহর পথে পরহেজগারির সঙ্গে পরিচালিত হতে সহযোগিতা করে। মোট কথা, ইতিকাফ একজন মুমিন বান্দার পারলৌকিক জীবনের উত্তম পাথেয়।
লেখক : সাংবাদিক
ইতিকাফ কী?
ইতিকাফ একটি বিশেষ আমল বা ইবাদত। রমজান মাস ছাড়া অন্য যেকোনো সময়ই আমলটি করা যায়। তবে রমজান মাসের সঙ্গে এর বিশেষ একটি সম্পর্ক রয়েছে। ইসলামী পরিভাষা মোতাবেক, আল্লাহ মহানের সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পুরুষের জন্য মসজিদে এবং নারীর জন্য নিজ নিজ ঘরে পূর্ণাঙ্গভাবে অবস্থান করাই ইতিকাফ।
ইতিকাফের উদ্দেশ্য
আত্মশুদ্ধির চর্চা ও আত্মার পবিত্রতা অর্জন করাসহ ইতিকাফ পালন করার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। এ ছাড়া রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করার আরো বিশেষ একটি উদ্দেশ্য রয়েছে, তা হলো- শবে কদরের তালাশ করা। এ সময় ইতিকাফ করার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে মহিমান্বিত এ রাতে আমলের সুযোগ লাভ করা যায়।
ইতিকাফের প্রকারভেদ
ইতিকাফ মূলত তিন প্রকার। এক. ওয়াজিব ইতিকাফ। দুই. সুন্নত ইতিকাফ। তিন. মুস্তাহাব ইতিকাফ।
ওয়াজিব ইতিকাফ : কেউ যদি ইতিকাফ করার মানত করে, তবে সে ইতিকাফ আদায় করা ওয়াজিব। চাই তা কোনো শর্তে হোক কিংবা শর্ত ছাড়া। শর্তে হওয়ার অর্থ হলো- কারো এভাবে বলা যে 'আমার অমুক উদ্দেশ্য হাসিল হলে আমি ইতিকাফ করব।' এভাবে ইতিকাফ করার মানত বা ওয়াদা করলে সেটা আদায় করা ওয়াজিব। ওয়াজিব ইতিকাফ কমপক্ষে একদিন হওয়া উচিত। হজরত ওমর (রা.) একবার নবীজিকে (সা.) বললেন, 'হে রাসুল! জাহেলি যুগে আমি মসিজদে হারামে এক রাত ইতিকাফ করার মানত করেছিলাম।' নবীজি (সা.) তখন তাঁকে বললেন, 'যাও তোমার মানত পূর্ণ করো।' [বোখারি]
সুন্নত ইতিকাফ : রমজান মাসের শেষ ১০ দিনে ইতিকাফ করা সুন্নত। হানাফি মাজহাবের মত অনুযায়ী, প্রতি মহল্লা থেকে কিছুসংখ্যক লোক ইতিকাফ করলে বাকিদের জিম্মা থেকে এ সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 'হুজুর (সা.) সব সময় রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করেতন। ইন্তেকাল পর্যন্ত এটা ছিল তাঁর ধারাবাহিক নিয়ম। ইন্তেকালের পর তাঁর স্ত্রীরা এ ধারাবাহিকতা জারি রাখেন।' [বোখারি]
মুস্তাহাব ইতিকাফ : রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ছাড়া অন্য যেকোনো সময় ইতিকাফ করা মুস্তাহাব। শরিয়তের আইন অনুযায়ী মুস্তাহাব ইতিকাফের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। এ ইতিকাফ সামান্য সময় কিংবা দীর্ঘ সময়ের জন্য হতে পারে।
ইতিকাফের শর্তাবলি
একজন ইতিকাফকারীকে পাঁচটি গুণে গুণান্বিত হতে হবে। অর্থ্যাৎ পাঁচটি গুণ না থাকলে কোনো মানুষ ইতিকাফ করতে পারবে না। ১. মুসলমান হওয়া। ২. বালেগ বা প্রাপ্তবয়স্ক ও বিবেচনাবোধ সম্পন্ন হওয়া। ৩. পবিত্র হওয়া। ৪. ইতিকাফের নিয়ত করা। ৫. পূর্ণাঙ্গ সময় (একান্ত আবশ্যক কাজ ছাড়া) ইতিকাফের স্থানে (পুরুষের জন্য মসজিদে এবং নারীর জন্য নিজ ঘরে) অবস্থান করা।
নারীদের ইতিকাফ
পুরুষের মতো নারীরাও ইতিকাফ করতে পারবে। এ জন্য উল্লিখিত শর্তাবলির সঙ্গে স্বামীর অনুমতির বিষয়টি যোগ করতে হবে। আর নারীরা ঘরের কোণে আলাদা কোনো বিশেষ স্থানে ইতিকাফ করবেন।
ইতিকাফ অবস্থায় করণীয়
ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদে বা ইতিকাফের স্থানে বসে যেসব আমল অর্থাৎ জিকির, তাসবিহ পাঠ, কোরআন তিলাওয়াত, জ্ঞান চর্চাসহ বিভিন্ন আমল করা উচিত। এ ছাড়া একান্ত আবশ্যক কোনো কারণ ছাড়া ইতিকাফের স্থান থেকে বাইরে বা অন্য কোনো স্থানে না যাওয়া উচিত।
ইতিকাফ অবস্থায় বর্জনীয়
ইতিকাফকালীন অনর্থক কথা বলা বা আলাপ করা, ঝগড়া-বিবাদসহ যেকোনো প্রকার খারাপ কাজ ও অহেতুক কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
যেসব কারণে ইতিকাফ ভেঙে যায়
এমন কিছু কাজ রয়েছে যা করার দ্বারা ইতিকাফ ভেঙে যায়। যেমন : ১. মসজিদ বা ইতিকাফের স্থান থেকে কোনো প্রয়োজন ছাড়া বের হলে। ২. ইতিকাফ অবস্থায় ইসলাম ত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করলে। ৩. অজ্ঞান, পাগল বা মাতাল হয়ে পড়লে। ৪. নারীদের মাসিক শুরু হলে। ৫. গর্ভপাত হলে। ৬. সহবাস করলে। ৭. বীর্যপাত ঘটলে। ৮. ইতিকাফকারীকে জোরপূর্বক মসজিদ বা ইতিকাফের স্থান থেকে বের করে দিলেও ইতিকাফ ভেঙে যাবে।
যেসব কারণে ইতিকাফকারী বাইরে যেতে পারবেন
একান্ত প্রয়োজনসহ আরো কিছু কারণে ইতিকাফকারী মসজিদ বা ইতিকাফের স্থান থেকে বাইরে বের হতে পারবেন। আর তা হলো- ১. প্রস্রাব-পায়খানা। ২. ফরজ গোসল। তবে অনেকের মতে সাধারণ বা অভ্যাসগত গোসলের জন্যও বের হতে পারবেন। ৩. খাবার পৌঁছে দেওয়ার লোক না থাকলে খাবার খাওয়ার জন্য। ৪. যে মসজিদে ইতিকাফ করছেন সেটা যদি জামে মসজিদ না হয়, তাহলে জুমার নামাজ আদায় করার জন্য অন্য মসজিদে যেতে পারবেন।
এসব ব্যাপারে একটি কথা বিশেষভাবে উল্লেখ্য, এসব কাজ সারার সঙ্গে সঙ্গে অন্য কোনো কাজে না জড়িয়ে ইতিকাফের স্থানে যত দ্রুত সম্ভব ফিরে আসতে হবে।
ইতিকাফের গুরুত্ব
আত্মার পরিশুদ্ধি অর্জন এবং আল্লাহ মহানের সন্তুষ্টি লাভ করার উত্তম পন্থা হলো ইতিকাফ। মানবিক সব চিন্তা-ভাবনার ঊধর্ে্ব অবস্থান করে একজন মানুষ ইতিকাফে একান্তে আল্লাহ মহানের চিন্তায়, তাঁর ধ্যানে বসার সুযোগ লাভ করেন। এ একান্ত যাপন প্রক্রিয়ার প্রভাব সীমাহীন। ইতিকাফ একজন মানুষের ওপর এমনভাবে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক প্রভাব বিস্তার করে, যা তাঁকে দীর্ঘদিন আল্লাহর পথে পরহেজগারির সঙ্গে পরিচালিত হতে সহযোগিতা করে। মোট কথা, ইতিকাফ একজন মুমিন বান্দার পারলৌকিক জীবনের উত্তম পাথেয়।
লেখক : সাংবাদিক
আচ্ছা, নিচের ব্লগে মিরাজ রহমানকে নিয়ে যে পোস্টটি দেওয়া হয়েছে সেই মিরাজ রহমান কি আপনি?
ReplyDeletehttp://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=24773