অন্তর্বর্তী সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাব by গোলাম কুদ্দুছ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে এ নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলসমূহ দ্বিধাবিভক্ত। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা এবং সাধারণ মানুষও এ আলোচনায় নিত্য অংশগ্রহণ করছে এবং চায়ের টেবিলে, বৈকালিক আড্ডায়ও এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট বলছে, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা এবং জাতীয় সংসদে গৃহীত সিদ্ধান্তানুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হবে। অপরদিকে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট বলছে, তারা কোন অবস্থাতেই ‘অন্তর্বর্তী সরকার’ মেনে নেবে না এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। এ দাবিতে বিরোধী দল ইতোমধ্যেই দেশব্যাপী হরতালসহ নানা কর্মসূচী পালন করেছে।
৩০ জুলাই লন্ডনে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকারে বিরোধীদলকে অন্তর্ভুক্ত করা বা অংশগ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যকে বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামসহ সর্বস্তরের মানুষ স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলছেন, সরকার রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানে আন্তরিক বলেই এ প্রস্তাব দেয়া হয়েছেÑএখন বিরোধী দলের উচিত হবে সমভাবে এগিয়ে আসা। সঙ্কটের যৌক্তিক সমাধান এবং দেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে সকল পক্ষকে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সংলাপ, আলাপ-আলোচনার পথ পরিহার করে কখনও সঙ্কটের যৌক্তিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধান হয় না। আর সব কিছুতেই ‘না’ বলা, প্রত্যাখ্যান করা এবং পূর্বশর্ত জুড়ে দেয়াÑশান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ রুদ্ধ করে হানাহানি ও নৈরাজ্যকেই উস্কে দেয় এ সত্য কি আমরা জেনে-শুনেও না বোঝার ভান করছি? রাজনৈতিক সঙ্কটের সুযোগ নিয়ে অগণতান্ত্রিক শক্তি আবার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করুক তা কি আমরা চাই? অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দেশে যে গণতন্ত্রই নিরাপদ নয়Ñমাত্র সাড়ে তিন বছর পার হতেই আমরা কি সব ভুলে গেছি?
বিগত দিনে রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ দেশের বিভিন্ন পেশাজীবী এবং সংস্কৃতিকর্মীরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। বহু নেতাকর্মী এ সংগ্রামে নির্যাতিত-নিগৃহীত এবং কারারুদ্ধ হয়েছিল। সেই সংগ্রামের একজন সংগঠক হওয়া সত্ত্বেও নিজেও এখন আর অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই না। আমি জানি ভিন্নমতের মানুষরা এই নিয়ে আমাকে কটু বাক্য নিক্ষেপ করতে ছাড়বে না এবং বর্তমান সরকারের আমলে অনেক সুযোগ-সুবিধা, বিত্ত-বৈভব অর্জন করেছি অপবাদ দিতেও দ্বিধা করবে না। অপপ্রচারের ভয়ে সত্য প্রকাশে কখনও কুণ্ঠিত হইনিÑনিজের বিশ্বাসের প্রকাশকে জীবনের ব্রত বলে জ্ঞান করি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কেন চাই না মোটা দাগে তার কয়েকটি কারণ এখানে উল্লেখ করছি :
১.আগে জেনেছিলাম তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নেবে। বিগত দিনে সেনা প্রভাবিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দেশের নামকরা কতিপয় আইনজীবীর মুখে শুনলাম, ‘যতদিন পর্যন্ত নির্বাচিত সরকার গঠিত না হবে ততদিন পর্যন্ত অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশ শাসন করতে পারবে।’ দেশের বাজেট, উন্নয়ন পরিকল্পনা, রাষ্ট্রনীতি সবই তারা করতে পারবে তাদের ব্যক্তিগত চিন্তা-চেতনা ও মত অনুযায়ী। বাস্তবেও তাই ঘটেছিল, ৯০ দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রায় দু’বছর দেশ শাসন করেছে কোন ধরনের জবাবদিহিতা ছাড়াই।
২.তত্ত্বাবধায়ক সরকার জরুরী অবস্থা জারি করে রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছিল। মানুষের মৌলিক অধিকার বলে কিছুই ছিল না।
৩. দেশের দু’টি প্রধান দলের নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াসহ অধিকাংশ কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হয়েছিল। দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে অপসারণের লক্ষ্যে দল ভাঙার নানা প্রক্রিয়াও চালানো হয়েছিল। রাজনীতিবিদদের চরিত্র হননের লক্ষ্যে নানা অপপ্রচার প্রত্যক্ষ করা গেছে। সমাজের অন্যান্য অংশের মতো রাজনীতিবিদদের কেউ কেউ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন, কিন্তু সব রাজনীতিবিদই দুর্নীতিবাজ ননÑএ সত্যও মেনে নিতে হবে।
রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধ করা হলেও বিশেষ মহলের পৃষ্ঠপোষকতায় নতুন নতুন রাজনৈতিক দল (কিংস পার্টি) গঠন এবং জরুরী অবস্থার মধ্যেও বিশাল হোন্ডা মহড়া করবার দৃশ্যও ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার কল্যাণে জাতি প্রত্যক্ষ করেছে।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-শিক্ষকদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা শিক্ষকদের জরুরী আইনে কারাদণ্ড দেয়া হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে জাতি এর আগে কখনও তা প্রত্যক্ষ করেনি।
৫. সুদূরপ্রসারী কোন পরিকল্পনা ছাড়াই হকার উচ্ছেদ, সরকারী সম্পত্তি উদ্ধার ও বেআইনী দখলদার উচ্ছেদের নামে সড়ক, মহাসড়ক, পতিত জমি, খাসজমিতে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদ ও ধ্বংস করা হয়। এতে শত শত কোটি টাকার সম্পত্তি বিনষ্ট হয় ও লক্ষ লক্ষ লোক বেকার হয়ে যায়। অথচ সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সরকারী জায়গায় অস্থায়ী লিজ দেয়া হলে একদিকে সরকারের আয় বাড়ত, অপরদিকে সম্পত্তি ধ্বংস ও অসহায় পরিবারগুলোকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হতো না।
৬. বড় বড় ব্যবসায়ীদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া গ্রেফতার করায় সর্বত্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দ্রব্যমূল্য সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করে। মিনিকেট চাল যেটা আমরা বর্তমান কিনছি প্রতি কেজি আটত্রিশ টাকায়, তা পাঁচ বছর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কিনতে হয়েছে পঞ্চাশ থেকে চুয়ান্ন টাকা দরে।
৭. তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সংস্কৃতি চর্চার ওপর নেমে এসেছিল নানা ধরনের কালাকানুন। যে কোন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা করতে পুলিশের অনুমতি নেয়া ছিল বাধ্যতামূলক। লিখিত আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট থানা, ডিসি, কমিশনার অফিস ঘুরে হ্যাঁ বা না সিদ্ধান্ত পেতে কমপক্ষে পনের দিন অপেক্ষা করতে হতো। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে দেয়া হলেও কে কে অতিথি থাকবেন তা জানাতে হতো এবং অনেকগুলো শর্ত জুড়ে দেয়া হতো, যাতে লেখা থাকত অনুষ্ঠানে কি কি করা যাবে না বা বলা যাবে না।
প্রতিবছর ফেব্রুয়ারির ১ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের আয়োজনে পথনাট্যোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সকল প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নাটক এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি, পুলিশি অনুমতি না পাওয়ার কারণে। আমি, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ম. হামিদ ও সেক্রেটারি ঝুনা চৌধুরী ছুটে গেলাম মিন্টো রোডে, মহানগর পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে। সেখানে উপস্থিত পুলিশের আইজি নূর মোহাম্মদ সাহেবের বিশেষ সহযোগিতায় ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শহীদ মিনারে নাটক করার অনুমতি মিলল। আবার বিশ্বব্যাপী ‘মে দিবস’ পালিত হলেও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মে দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেয়া হয়নি। আমার মনে আছে, প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিলÑশ্রদ্ধেয় কামাল লোহানী, মামুনুর রশীদ এবং আমিসহ অন্যরা বক্তব্য রেখেছিলেন।
১৬ ডিসেম্বর ২০০৭ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত বিজয় শোভাযাত্রায়ও পুলিশ অনুমতি না দিয়ে বাধা প্রদান করে।
২০০৭ সালে পৌষ মেলা উদ্যাপন পরিষদ কর্তৃক সকাল বেলার অনুষ্ঠান আয়োজিত হলেও জরুরী অবস্থার দোহাই দিয়ে বিকেল থেকে রমনার বটমূলে অনুষ্ঠিত পৌষমেলার নানা কর্মসূচী বন্ধ করে দেয়া হয়। পুলি, পিঠা, পায়েসকেও অগণতান্ত্রিক শক্তির এত ভয় আগে জানা ছিল না।
৮. জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন এবং শাহাদাতবার্ষিকী পালনে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ এবং অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে আহ্বায়ক এবং আমাকে সদস্য সচিব করে তিনটি নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল ধানম-িতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভা ও নিবেদিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যথেষ্ট সময় দিয়ে আবেদন করবার পরও তিনটি অনুষ্ঠানেরই অনুমতি দেয়া হয় অনুষ্ঠান শুরুর ২-৩ ঘণ্টা আগে, তাও ১৩টি শর্ত জুড়ে দিয়ে।
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার হরণ, শিল্প-সংস্কৃতি চর্চায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, দুইনেত্রীকে উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে কারাগারে প্রেরণ, রাজনীতিবিদদের সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, সরকারের অদৃশ্য পৃষ্ঠপোষকতায় সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন এবং অনির্দিষ্টকাল ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার ষড়যন্ত্র যদি এ দেশের মানুষ রুখে না দিত তাহলে হয়তো কাক্সিক্ষত গণতন্ত্রের জন্য আরও বহু রক্ত ঝরাতে হতো। এত সব ঘটনা প্রত্যক্ষ করার পর অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে আর সমর্থন করা যায় না। যে সরকারের হাতে গণতন্ত্র এমনকি সংস্কৃতিও নিরাপদ নয়, তারা কোন অবস্থাতেই নিরপেক্ষ নির্বাচনের গ্যারান্টি দিতে পারে না। সম্ভবত এসব কিছু বিবেচনা করেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে এসেছে। ইতোমধ্যে সর্বোচ্চ আদালতের রায় এবং সংবিধান সংশোধন করে ‘অন্তর্বর্তী সরকার’ এবং সেই সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেবে না। তাদের এ সমস্ত বক্তব্যের জবাবেই সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিরোধী দলকে অন্তর্বর্তী সরকারের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য যুক্তিযুক্ত সময়োপযোগী এবং সঙ্কট সমাধানে সহায়ক। বিএনপি যদি সত্যিকার অর্থেই সঙ্কটের সমাধান চায়, তবে তাদের উচিত হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে অনতিবিলম্বে সরকারকে আলোচনায় বসার দাবি জানানো। অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা কি হবে, সরকারে কার কি ভূমিকা থাকবে, নির্বাচন কমিশন কতটুকু নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবেÑ এসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে হলে দু’পক্ষকে এক টেবিলে বসতেই হবে। আলোচনা বা সংলাপ ছাড়া সমস্যা সমাধানের আর কোন শান্তিপূর্ণ বিকল্প নেই। আর যারা আলোচনায় না বসার জন্য বিরোধী দলকে প্রভাবিত করছে, তাদের মূল উদ্দেশ্য অগণতান্ত্রিক শক্তিকে প্রশ্রয় দেয়া। জনবিচ্ছিন্ন এইসব ব্যক্তি ও সংগঠন ব্যক্তি আকাক্সক্ষা চরিতার্থ করার সম্ভাবনা থেকেই রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানে আন্তরিক কোন উদ্যোগ না নিয়ে সর্বদাই সঙ্কট ঘনীভূত করতে তৎপর থাকে। আমরা আশা করব শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন রাজনৈতিক দলসমূহ ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থের চাইতেও দেশ এবং জনগণের কল্যাণে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে সুপ্রতিষ্ঠিত করবার লক্ষ্যে একগুঁয়েমি পরিহার করে আলোচনা ও সমঝোতার পথে অগ্রসর হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক অন্তর্বর্তী সরকারে বিরোধী দলের অংশগ্রহণের প্রস্তাবনার ওপর ভিত্তি করে সঙ্কট সমাধানে আমাদের এগিয়ে যেতেই হবে।

লেখক : সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও কলামিস্ট

No comments

Powered by Blogger.