খুতবায় জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য নিশ্চিত করার উদ্যোগ-ইসলামিক ফাউন্ডেশনে সেল গঠন by আবুল কাশেম
ইমামদের জুমার নামাজের খুতবা এবং এর আগের বক্তব্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। খুতবার আগে ইমামরা যাতে জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য দেন সে জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইমামদের খুতবা পর্যবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কমপক্ষে ১০ জন করে কর্মকর্তা পর্যায়ক্রমে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন মসজিদে
জুমার নামাজ আদায় করছেন। এ জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয়ভাবে একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সারা দেশের মসজিদে এ ধরনের নজরদারি করছে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এসব পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ও প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামিম মো. আফজাল কালের কণ্ঠকে বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা প্রতি সপ্তাহে ঢাকা মহানগরীর কমপক্ষে ১০টি মসজিদে নামাজ আদায় করে ইমামদের খুতবার আগে দেওয়া বক্তব্য পর্যবেক্ষণ করছেন। এ জন্য গঠিত মনিটরিং সেলও সক্রিয় রয়েছে। এই সেল থেকে নিয়মিতভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সারা দেশের মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, পুলিশ সদর দপ্তরসহ মহানগর ও জেলা পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো জঙ্গি তৎপরতা আছে কি না তা চিহ্নিত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আর জঙ্গি ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণের জন্য পরামর্শ চেয়ে সংসদ সদস্যদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত ১২ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকার কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ-সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিটি মসজিদে জুমার নামাজের খুতবার আগে জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে কি না তা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মনিটরিং সেল কর্তৃক নিবিড়ভাবে মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে এবং নিয়মিত প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। প্রতি সপ্তাহে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অন্তত ১০ জন প্রতিনিধি পর্যায়ক্রমে ঢাকা মহানগরীর ১০টি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করবেন এবং ইমাম সাহেবরা জুমার খুতবায় এ বিষয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন কি না তা মনিটর করবেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার বিভাগকে এ কাজে সম্পৃক্ত করে সারা দেশে ইমামদের খুতবা মনিটর করতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আর জঙ্গিবাদবিরোধী কার্যক্রমে কমিউনিটি পুলিশকে সম্পৃক্ত করাসহ মহানগর ও জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ করে জঙ্গিবাদের ভয়াবহতা ও নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে জনসচেতনতা বাড়িয়ে সর্বজনীন মানবিক মূল্যবোধ বাড়াতে হবে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো জঙ্গি তৎপরতা আছে কি না সে বিষয়ে নজরদারি রাখতে হবে। এ জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে দায়িত্ব দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মুসলমানদের পাশাপাশি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্যও জঙ্গিবাদবিরোধী মডেল বক্তৃতা তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে। এরই মধ্যে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য বক্তৃতা প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য একই ধরনের প্রচার সামগ্রী প্রস্তুত করা হচ্ছে।
সামিম মো. আফজাল আরো বলেন, ইমামরা বুঝতে পারছেন হাক্কানি আলেম-ওলামাদের সঙ্গে জঙ্গিবাদের কোনো সম্পর্ক নেই। জঙ্গিবাদ, ধর্মের নামে সন্ত্রাস ও বোমাবাজির সঙ্গে মওদুদীবাদী ও জামায়াতিদের সম্পর্ক। তবে সহজ-সরল ইমামদের প্রলোভিত করে জঙ্গিরা যাতে কোনো সুবিধা নিতে না পারে সে জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের মহাসচিব ড. খলিলুর রহমান বলেন, ঢাকায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং সারা দেশে এসবির মাধ্যমে ইমামদের খুতবার আগে জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ও প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামিম মো. আফজাল কালের কণ্ঠকে বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা প্রতি সপ্তাহে ঢাকা মহানগরীর কমপক্ষে ১০টি মসজিদে নামাজ আদায় করে ইমামদের খুতবার আগে দেওয়া বক্তব্য পর্যবেক্ষণ করছেন। এ জন্য গঠিত মনিটরিং সেলও সক্রিয় রয়েছে। এই সেল থেকে নিয়মিতভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সারা দেশের মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, পুলিশ সদর দপ্তরসহ মহানগর ও জেলা পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো জঙ্গি তৎপরতা আছে কি না তা চিহ্নিত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আর জঙ্গি ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণের জন্য পরামর্শ চেয়ে সংসদ সদস্যদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত ১২ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকার কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ-সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিটি মসজিদে জুমার নামাজের খুতবার আগে জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে কি না তা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মনিটরিং সেল কর্তৃক নিবিড়ভাবে মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে এবং নিয়মিত প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। প্রতি সপ্তাহে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অন্তত ১০ জন প্রতিনিধি পর্যায়ক্রমে ঢাকা মহানগরীর ১০টি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করবেন এবং ইমাম সাহেবরা জুমার খুতবায় এ বিষয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন কি না তা মনিটর করবেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার বিভাগকে এ কাজে সম্পৃক্ত করে সারা দেশে ইমামদের খুতবা মনিটর করতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আর জঙ্গিবাদবিরোধী কার্যক্রমে কমিউনিটি পুলিশকে সম্পৃক্ত করাসহ মহানগর ও জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ করে জঙ্গিবাদের ভয়াবহতা ও নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে জনসচেতনতা বাড়িয়ে সর্বজনীন মানবিক মূল্যবোধ বাড়াতে হবে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো জঙ্গি তৎপরতা আছে কি না সে বিষয়ে নজরদারি রাখতে হবে। এ জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে দায়িত্ব দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মুসলমানদের পাশাপাশি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্যও জঙ্গিবাদবিরোধী মডেল বক্তৃতা তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে। এরই মধ্যে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য বক্তৃতা প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য একই ধরনের প্রচার সামগ্রী প্রস্তুত করা হচ্ছে।
সামিম মো. আফজাল আরো বলেন, ইমামরা বুঝতে পারছেন হাক্কানি আলেম-ওলামাদের সঙ্গে জঙ্গিবাদের কোনো সম্পর্ক নেই। জঙ্গিবাদ, ধর্মের নামে সন্ত্রাস ও বোমাবাজির সঙ্গে মওদুদীবাদী ও জামায়াতিদের সম্পর্ক। তবে সহজ-সরল ইমামদের প্রলোভিত করে জঙ্গিরা যাতে কোনো সুবিধা নিতে না পারে সে জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের মহাসচিব ড. খলিলুর রহমান বলেন, ঢাকায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং সারা দেশে এসবির মাধ্যমে ইমামদের খুতবার আগে জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
No comments