ধুনটে ভিজিএফ কার্ডের তালিকা নিয়ে হাতাহাতি
বগুড়ার ধুনটে ঈদের আগে দুস্থ মানুষের নামে বরাদ্দ ভিজিএফ কার্ডের তালিকা বণ্টন নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত আটটার দিকে চিকাশি ইউনিয়নের জোড়শিমুল বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় রমজান মাস ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় অতিদরিদ্র পরিবারের জন্য ধুনট উপজেলায় ২২ হাজার ২৩টি কার্ডের জন্য ২২০ দশমিক ২৩০ টন ও একটি পৌরসভায় এক হাজার ৫৪০টি কার্ডের জন্য ১৫ দশমিক ৪ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। সে হিসাবে চিকাশি ইউনিয়নে দুই হাজার ৩৫৮টি কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৭৫৮টি কার্ডের তালিকা করবেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। বাকি ৮০০ কার্ডের তালিকা করবেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তালিকা করা নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেনের মধ্যে বণ্টনে পক্ষপাতিত্ব নিয়ে হাতাহাতি হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে সেখানকার আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
চিকাশি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ভিজিএফ কার্ডের তালিকার সময় সাধারণ সম্পাদক কাজল অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। এ নিয়ে কথা বলার সময় তাঁর লোকজন আমাকে মারপিট করার জন্য ধাওয়া দেয়।’ সাধারণ সম্পাদক কাজল বলেন, ‘আমি কোনো তালিকা করিনি। ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক কার্ডের তালিকা করছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক আমার ওপর মিথ্যা অভিযোগ করে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমি এর আইনগত ব্যবস্থা নেব।’ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলেপ বাদশা জানান, ভিজিএফ কার্ড বণ্টনের তালিকা নিয়ে নিজ দলের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। দলের সিনিয়র নেতাকর্মীরা বসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করবেন।
চিকাশি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ভিজিএফ কার্ডের তালিকার সময় সাধারণ সম্পাদক কাজল অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। এ নিয়ে কথা বলার সময় তাঁর লোকজন আমাকে মারপিট করার জন্য ধাওয়া দেয়।’ সাধারণ সম্পাদক কাজল বলেন, ‘আমি কোনো তালিকা করিনি। ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক কার্ডের তালিকা করছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক আমার ওপর মিথ্যা অভিযোগ করে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমি এর আইনগত ব্যবস্থা নেব।’ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলেপ বাদশা জানান, ভিজিএফ কার্ড বণ্টনের তালিকা নিয়ে নিজ দলের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। দলের সিনিয়র নেতাকর্মীরা বসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করবেন।
No comments