মিথ্যা হলফকারীদের বরাদ্দ বাতিল করতে হবে- সরকারি কর্মকর্তাদের প্লট-ফ্ল্যাট
জনগণের জন্য সরকার, সরকারের হস্ত হলেন আমলা। তাঁদের মাধ্যমেই জনগণের অধিকার বাস্তবায়নের কর্মসূচি বাস্তবায়িত হওয়ার কথা। সেই কর্মসূচি বাস্তবায়ন দূরঅস্ত হলেও নিজেদের সুবিধা বাস্তবায়নে আমলা থেকে রাজনীতিক—কেউই পিছিয়ে নেই।
এবারের সংবাদ সরকারি কর্মকর্তাদের প্লট-ফ্ল্যাটবিলাস। ২৯ জন সরকারি কর্মকর্তা আইনের ফাঁকফোকরে ঢাকায় একই সঙ্গে প্লট ও ফ্ল্যাট—দুটোই বাগিয়ে নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবসহ অনেক কর্মকর্তা। আমলাতন্ত্রের শীর্ষ পর্যায়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড অনৈতিক ও বেআইনি।
সরকারি আইন অনুসারে, রাজউকের মাস্টার প্ল্যানের আওতায় থাকা এলাকায় নিজের বা স্বামী-স্ত্রী-পুত্র-কন্যা-পোষ্যের নামে সরকার থেকে ইতিপূর্বে কোনো জমি বা ফ্ল্যাট নিয়ে থাকলে অথবা আগে থেকে আবাসিক জমি বা বাড়ি থাকলে তিনি এই সরকারি সুযোগ পাবেন না। এ জন্য প্লট বা ফ্ল্যাটের আবেদনকারীকে হলফনামা দিতে হয়। কিন্তু একাধিক প্লট বা ফ্ল্যাটের অধিকারী হওয়া ২৯ জন কর্মকর্তা এই হলফনামা ভঙ্গ করেছেন। পরিষ্কারভাবেই এটা দণ্ডবিধির ৪২০ ধারার অপরাধ। পাশাপাশি দুর্নীতির দায়েও তাঁরা অভিযুক্ত হওয়ার যোগ্য।
সংসদীয় কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বিহিতের জন্য বৈঠক করেছে। সেই বৈঠকে উপস্থিত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, ভবিষ্যতে যাতে এমনটা না করা যায়, তার জন্য আইন করতে হবে। ভবিষ্যতে আইন ও স্পষ্ট নীতিমালা তো করতেই হবে, তাই বলে কি বর্তমান ও অতীতের অন্যায়ের প্রতিকার হবে না? এ রকম ছাড় পাওয়ার কারণেই দুর্নীতি জমতে জমতে পাহাড়সমান হয়ে গেছে। আইনের স্বার্থে, এই অন্যায়ের আইনি বিচার হতে হবে। কেবল অতিরিক্ত প্লটই নয়, অনিয়মের মাধ্যমে পাওয়া একাধিক প্লট-ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল তো করতেই হবে, পাশাপাশি সরকারি কর্মচারী আইনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগও জরুরি।
ধরা পড়লে বা সংবাদ হওয়ার পর কর্তৃপক্ষের তৎপরতার ওপর ভরসা রাখা যায় না। অতীতেও এ ধরনের লোক দেখানো তোড়জোড় দেখা গেছে। প্রশ্ন হলো, কীভাবে সরকারি ব্যবস্থার নজর এড়িয়ে কাণ্ডটি ঘটতে পারল। এ থেকে প্রমাণিত হয়—এক. সরকারি সংস্থাগুলো সরকারি কর্মকর্তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় না, এবং দুই. আইন ও বিধি মানা হচ্ছে কি না, তা দেখাতে সরকারি সংস্থাগুলো ব্যর্থ। তাই অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি যাঁদের গাফিলতির জন্য এসব ঘটছে, তাঁদেরও জবাবদিহি করানো চাই। পত্রিকায় যে কজনের নাম এসেছে, তার বাইরেও অবৈধ উপায়ে প্লট-ফ্ল্যাট নেওয়া সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন। সবার ব্যাপারেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
আবাসন, শিল্প ও কৃষির জন্য যেখানে জমির অভাব বাংলাদেশে, সেখানে সরকারিভাবে জমি বা ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়ার যৌক্তিকতা আছে কি না, তাও ভেবে দেখা প্রয়োজন। কেননা এ ধরনের ভাগবাঁটোয়ারায় দুর্নীতি, দলপ্রীতি ও স্বজনপ্রীতিই প্রশ্রয় পায়।
সরকারি আইন অনুসারে, রাজউকের মাস্টার প্ল্যানের আওতায় থাকা এলাকায় নিজের বা স্বামী-স্ত্রী-পুত্র-কন্যা-পোষ্যের নামে সরকার থেকে ইতিপূর্বে কোনো জমি বা ফ্ল্যাট নিয়ে থাকলে অথবা আগে থেকে আবাসিক জমি বা বাড়ি থাকলে তিনি এই সরকারি সুযোগ পাবেন না। এ জন্য প্লট বা ফ্ল্যাটের আবেদনকারীকে হলফনামা দিতে হয়। কিন্তু একাধিক প্লট বা ফ্ল্যাটের অধিকারী হওয়া ২৯ জন কর্মকর্তা এই হলফনামা ভঙ্গ করেছেন। পরিষ্কারভাবেই এটা দণ্ডবিধির ৪২০ ধারার অপরাধ। পাশাপাশি দুর্নীতির দায়েও তাঁরা অভিযুক্ত হওয়ার যোগ্য।
সংসদীয় কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বিহিতের জন্য বৈঠক করেছে। সেই বৈঠকে উপস্থিত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, ভবিষ্যতে যাতে এমনটা না করা যায়, তার জন্য আইন করতে হবে। ভবিষ্যতে আইন ও স্পষ্ট নীতিমালা তো করতেই হবে, তাই বলে কি বর্তমান ও অতীতের অন্যায়ের প্রতিকার হবে না? এ রকম ছাড় পাওয়ার কারণেই দুর্নীতি জমতে জমতে পাহাড়সমান হয়ে গেছে। আইনের স্বার্থে, এই অন্যায়ের আইনি বিচার হতে হবে। কেবল অতিরিক্ত প্লটই নয়, অনিয়মের মাধ্যমে পাওয়া একাধিক প্লট-ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল তো করতেই হবে, পাশাপাশি সরকারি কর্মচারী আইনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগও জরুরি।
ধরা পড়লে বা সংবাদ হওয়ার পর কর্তৃপক্ষের তৎপরতার ওপর ভরসা রাখা যায় না। অতীতেও এ ধরনের লোক দেখানো তোড়জোড় দেখা গেছে। প্রশ্ন হলো, কীভাবে সরকারি ব্যবস্থার নজর এড়িয়ে কাণ্ডটি ঘটতে পারল। এ থেকে প্রমাণিত হয়—এক. সরকারি সংস্থাগুলো সরকারি কর্মকর্তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় না, এবং দুই. আইন ও বিধি মানা হচ্ছে কি না, তা দেখাতে সরকারি সংস্থাগুলো ব্যর্থ। তাই অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি যাঁদের গাফিলতির জন্য এসব ঘটছে, তাঁদেরও জবাবদিহি করানো চাই। পত্রিকায় যে কজনের নাম এসেছে, তার বাইরেও অবৈধ উপায়ে প্লট-ফ্ল্যাট নেওয়া সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন। সবার ব্যাপারেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
আবাসন, শিল্প ও কৃষির জন্য যেখানে জমির অভাব বাংলাদেশে, সেখানে সরকারিভাবে জমি বা ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়ার যৌক্তিকতা আছে কি না, তাও ভেবে দেখা প্রয়োজন। কেননা এ ধরনের ভাগবাঁটোয়ারায় দুর্নীতি, দলপ্রীতি ও স্বজনপ্রীতিই প্রশ্রয় পায়।
No comments