সুনামগঞ্জের ‘সুরমা সেতু প্রকল্প’ এডিপি থেকে বাদ by খলিল রহমান
সুনামগঞ্জ জেলা সদরের সঙ্গে চারটি উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে সুরমা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতু প্রকল্প সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা (এডিপি) থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২৩ কোটি টাকার কাজ শেষ করার পর এখন প্রকল্পটি এডিপি থেকে বাদ দেওয়ায় অনেকেই বিসঞ্চয় প্রকাশ করেছে।
সেতুটি সুনামগঞ্জের জন্য খুব জরুরি উল্লেখ করে এটিকে আবার এডিপিতে যুক্ত করার জন্য গত মাসে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে চিঠি দিয়েছেন সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কিউ এম ইকরাম উল্লাহ। চিঠিতে তিনি বলেছেন, ‘অর্ধসমাপ্ত ও চলমান প্রকল্পটি বাদ দেওয়া হলে ইতিমধ্যে ব্যয় হওয়া ২৩ কোটি টাকা অপচয় হিসেবেই গণ্য হবে।’
সুনামগঞ্জ সওজ সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মল্লিকপুর এলাকায় ‘সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ’ ২০০৫-০৬ অর্থবছরে শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৩ কোটি টাকা।
পরে সেতুর নকশা পরিবর্তন করে নতুনভাবে ব্যয় ধরা হয় ৬৪ কোটি টাকা। শুরুতে এ কাজের মেয়াদ দুই বছর থাকলেও সময়মতো অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজে বিলম্ব হয় এবং বেশ কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল। গত ছয় মাস টানা কাজ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৩ কোটি টাকা। সেতুটির কাজ শেষ করতে আরও ৪১ কোটি টাকার প্রয়োজন। সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা আগামী বছরের জুন মাসে। অর্থ বরাদ্দ পেলে এই সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সূত্র জানায়, সুরমা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের মাধ্যমে জেলা শহরের সঙ্গে বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও ধরমপাশা উপজেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। কিন্তু সেতুটি এডিপি থেকে বাদ দেওয়ায় এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের এ দাবি আর পূরণ হচ্ছে না।
সওজ সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের এক প্রকৌশলী বলেন, ‘এটি একবার এডিপি থেকে বাদ পড়ে গেলে আর সহজে ঢুকবে না। এরপর নানা জটিলতা সৃষ্টি হবে। শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে সেতুই আর হচ্ছে না।’ সরেজমিন দেখা গছে, সুরমা নদীর দুই পারে সেতুর দুটি পাটাতনের আংশিক নির্মাণ করা হয়েছে। এ দুটি পাটাতনের ওপরের ঢালাই কাজ এখনো বাকি। গত ছয় মাসে নদীর মাঝখানের চারটি পিলারের কাজ নদীর নিচ থেকে পানির সমান পর্যন্ত করা হয়েছে। এখন ওপরের অংশে কাজ হবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন জানান, নদীর পানির নিচের কাজ শেষ। এখন বরাদ্দ পাওয়া গেলে বর্ষা মৌসুমেও কাজ করা সম্ভব। মল্লিকপুর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সুলেমান আহমদ বলেন, ‘এমনিতেই দুই বছরের কাজ ছয় বছরেও শেষ হয়নি।
এখন মাঝপথে এসে যদি প্রকল্পই বাদ দিতে হয়, তা হলে সুরমা নদীতে সরকারের এতগুলো টাকা ফেলা হলো কেন?’
সুনামগঞ্জ-৪ আসনের (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) সাংসদ মতিউর রহমান জানান, তিনি বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা কথা দিয়েছেন, সেতুটি আবার এডিপিভুক্ত হবে ও ১০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমানউল্লাহ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, যাতে প্রকল্পটি এডিপি থেকে বাদ না যায়।’
সুনামগঞ্জ সওজ সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মল্লিকপুর এলাকায় ‘সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ’ ২০০৫-০৬ অর্থবছরে শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৩ কোটি টাকা।
পরে সেতুর নকশা পরিবর্তন করে নতুনভাবে ব্যয় ধরা হয় ৬৪ কোটি টাকা। শুরুতে এ কাজের মেয়াদ দুই বছর থাকলেও সময়মতো অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজে বিলম্ব হয় এবং বেশ কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল। গত ছয় মাস টানা কাজ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৩ কোটি টাকা। সেতুটির কাজ শেষ করতে আরও ৪১ কোটি টাকার প্রয়োজন। সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা আগামী বছরের জুন মাসে। অর্থ বরাদ্দ পেলে এই সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সূত্র জানায়, সুরমা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের মাধ্যমে জেলা শহরের সঙ্গে বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও ধরমপাশা উপজেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। কিন্তু সেতুটি এডিপি থেকে বাদ দেওয়ায় এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের এ দাবি আর পূরণ হচ্ছে না।
সওজ সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের এক প্রকৌশলী বলেন, ‘এটি একবার এডিপি থেকে বাদ পড়ে গেলে আর সহজে ঢুকবে না। এরপর নানা জটিলতা সৃষ্টি হবে। শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে সেতুই আর হচ্ছে না।’ সরেজমিন দেখা গছে, সুরমা নদীর দুই পারে সেতুর দুটি পাটাতনের আংশিক নির্মাণ করা হয়েছে। এ দুটি পাটাতনের ওপরের ঢালাই কাজ এখনো বাকি। গত ছয় মাসে নদীর মাঝখানের চারটি পিলারের কাজ নদীর নিচ থেকে পানির সমান পর্যন্ত করা হয়েছে। এখন ওপরের অংশে কাজ হবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন জানান, নদীর পানির নিচের কাজ শেষ। এখন বরাদ্দ পাওয়া গেলে বর্ষা মৌসুমেও কাজ করা সম্ভব। মল্লিকপুর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সুলেমান আহমদ বলেন, ‘এমনিতেই দুই বছরের কাজ ছয় বছরেও শেষ হয়নি।
এখন মাঝপথে এসে যদি প্রকল্পই বাদ দিতে হয়, তা হলে সুরমা নদীতে সরকারের এতগুলো টাকা ফেলা হলো কেন?’
সুনামগঞ্জ-৪ আসনের (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) সাংসদ মতিউর রহমান জানান, তিনি বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা কথা দিয়েছেন, সেতুটি আবার এডিপিভুক্ত হবে ও ১০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমানউল্লাহ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, যাতে প্রকল্পটি এডিপি থেকে বাদ না যায়।’
No comments