ইউপি ভবনের রড বিক্রি করে দিলেন চেয়ারম্যান

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে পুরোনো ইউপি ভবন ভেঙে রড বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার পর দেউলী ইউপির ভবন নির্মাণ করা হয়।


একটি সভাকক্ষ ও দুটি ঘর নিয়ে আনুমানিক ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ২৮ ফুট প্রস্থ জায়গার ওপর ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়লে ২০০২ সালে পাশে আধুনিক একটি ভবন নির্মাণ করা হয়।
অভিযোগে জানা যায়, জাহিদুল ইসলাম পরিষদের কাউকে কিছু না জানিয়ে ভবন ভাঙার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তাঁর নির্দেশে শ্রমিকেরা গত ১৮ জুলাই থেকে পুরোনো ভবনটি ভাঙা শুরু করেন। অথচ পরিষদে সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ঢোলশোহরত করে প্রকাশ্যে নিলাম ডাকের মাধ্যমে পরিত্যক্ত এ ভবনটি অপসারণ করার কথা। এ ভবনের ছাদ থেকে আনুমানিক দেড় হাজার কেজি পুরোনো রড বের হয়, যা চেয়ারম্যান ৩৫ টাকা কেজি দরে এলাকার সমবারু পাল নামের একজনের কাছে বিক্রি করে দেন।
উপজেলার বোয়ালমারি গ্রামের খাজা মিয়া জানান, তিনি ওই ভবনের ছাদ ভাঙার পুরোনো রডগুলো কিনতে চেয়েছিলন। এ জন্য প্রতি কেজি ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম করেছিলেন। কিন্তু চেয়ারম্যান এ দামে তাঁকে রড দেননি।
শংকরপুর পালপাড়া গ্রামের ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী সমবারু পাল বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে এক হাজার ৪৯৪ কেজি পুরোনো রোড ৩৫ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়েছি।’ দেউলী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মশিউর রহমান জানান, পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পুরোনো ভবন ভাঙা হয়েছে। তবে পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে কোনো আলোচনাই চেয়ারম্যান করেননি। চেয়ারম্যান নিজ উদ্যোগে পুরোনো ভবন ভেঙেছেন। রডগুলো কোথায়, কী করা হচ্ছে, তা চেয়ারম্যান নিজে তদারক করছেন। আরেক সদস্য মোতাছিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না। চেয়ারম্যান সাহেব কোনোকিছু বলেননি।’
জাহিদুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ‘পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরোনো ভবন ভাঙা হয়। সেখানে নিলাম দেওয়ার মতো কিছু ছিল না। আর আমি কোনো রড বিক্রি করিনি।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম তারেক জানান, চেয়ারম্যান তাঁকে জানিয়েছেন, পরিত্যক্ত একটি ঘর অপসারণ করে সীমানা প্রাচীর করবে। রড বিক্রি করার খবর তাঁর জানা নেই। বিষয়টির তিনি খোঁজ নেবেন।

No comments

Powered by Blogger.