সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভয়াবহতা রোধে সবাই সতর্ক থাকুন- ০১-এ ওরা গোটা সম্প্রদায়কেই নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল ॥ প্রধানমন্ত্রী
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যে ভয়াবহ নির্যাতন হয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি রোধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি আর যেন জাতির জীবনে না আসে সে জন্য সজাগ থাকতে হবে।
একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতে আর কেউ যেন অগণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় এসে জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে ব্যাপারেও সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন এবং গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার গণভবনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদ নেতারা তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ভয়াল নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর তারা চেয়েছিল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করবে। একই সঙ্গে সংখ্যালঘুদেরও নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল তারা। এ জন্য বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষের ওপর নির্মম অত্যাচার চালিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের সমানাধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার যখন যুদ্ধাপরাধী এবং দুর্নীতিবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের বিচার করছে, তখনই একটি মহল এ বিচার বন্ধ করতে নানা রকম প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে।
প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে সবার সহযোগিতা কামনা করে বলেন, আমরা এমন এক বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে কোন সাম্প্রদায়িক বিভেদ থাকবে না। মানুষের মাঝে বিরাজ করবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দেশের প্রত্যেকে নির্বিঘেœ তাদের মৌলিক ও ধর্মীয় অধিকার ভোগ করবে। এদেশে যেন সাম্প্রদায়িক সংঘাত স্থান না পায়।
শেখ হাসিনা বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, আর্থ-সামাজিক উন্নতি ও গণতান্ত্রিক ভাবধারা নিশ্চিত করেই আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। এ লক্ষ্যে সরকার কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। কৃষি, খাদ্য, নিরাপত্তা, শিক্ষা, অর্থনীতি ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে সরকারের ব্যাপক সাফল্যের কথা তুলে ধরেন তিনি।
হিন্দু সম্প্রদায়ের উন্নয়নে নেয়া সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন পাস করেছিল। এবার আমরা ক্ষমতায় এসে ওই আইন বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। এটা যেন যথাসময়ে বাস্তবায়ন হয় তার পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ ও পুজোসহ সব ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হচ্ছে। মানুষ এখন একসঙ্গে এসব উৎসব ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও জাঁকজমকের সঙ্গে উদযাপন করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকা-ের পর যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিল তারা কখনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ কিংবা লালন করেনি। বরং ক্ষমতা দখলকারীরা পরাজিত শক্তির পদাঙ্ক অনুসরণ এবং দেশকে উল্টোপথে চালিত করে দেশে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের সৃষ্টি করেছিল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত দলিত ও হরিজন সম্প্রদায়ের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সরকার হরিজন ও দলিতদের অধিকার নিশ্চিত করেছে। তাদের জীর্ণ বাড়ি-ঘর পুনর্নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছে। আমার বোনের মেয়ে লন্ডনের কাউন্সিলর রেজোওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপ বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগণের জন্য কাজ করছেন। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুষ্টের দমন আর সৃষ্টের পালনÑ এটাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের বাণী। তার সরকার এ নীতিবাক্যের অনুসরণে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার গণভবনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদ নেতারা তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ভয়াল নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর তারা চেয়েছিল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করবে। একই সঙ্গে সংখ্যালঘুদেরও নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল তারা। এ জন্য বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষের ওপর নির্মম অত্যাচার চালিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের সমানাধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার যখন যুদ্ধাপরাধী এবং দুর্নীতিবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের বিচার করছে, তখনই একটি মহল এ বিচার বন্ধ করতে নানা রকম প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে।
প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে সবার সহযোগিতা কামনা করে বলেন, আমরা এমন এক বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে কোন সাম্প্রদায়িক বিভেদ থাকবে না। মানুষের মাঝে বিরাজ করবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দেশের প্রত্যেকে নির্বিঘেœ তাদের মৌলিক ও ধর্মীয় অধিকার ভোগ করবে। এদেশে যেন সাম্প্রদায়িক সংঘাত স্থান না পায়।
শেখ হাসিনা বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, আর্থ-সামাজিক উন্নতি ও গণতান্ত্রিক ভাবধারা নিশ্চিত করেই আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। এ লক্ষ্যে সরকার কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। কৃষি, খাদ্য, নিরাপত্তা, শিক্ষা, অর্থনীতি ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে সরকারের ব্যাপক সাফল্যের কথা তুলে ধরেন তিনি।
হিন্দু সম্প্রদায়ের উন্নয়নে নেয়া সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন পাস করেছিল। এবার আমরা ক্ষমতায় এসে ওই আইন বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। এটা যেন যথাসময়ে বাস্তবায়ন হয় তার পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ ও পুজোসহ সব ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হচ্ছে। মানুষ এখন একসঙ্গে এসব উৎসব ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও জাঁকজমকের সঙ্গে উদযাপন করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকা-ের পর যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিল তারা কখনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ কিংবা লালন করেনি। বরং ক্ষমতা দখলকারীরা পরাজিত শক্তির পদাঙ্ক অনুসরণ এবং দেশকে উল্টোপথে চালিত করে দেশে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের সৃষ্টি করেছিল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত দলিত ও হরিজন সম্প্রদায়ের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সরকার হরিজন ও দলিতদের অধিকার নিশ্চিত করেছে। তাদের জীর্ণ বাড়ি-ঘর পুনর্নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছে। আমার বোনের মেয়ে লন্ডনের কাউন্সিলর রেজোওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপ বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগণের জন্য কাজ করছেন। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুষ্টের দমন আর সৃষ্টের পালনÑ এটাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের বাণী। তার সরকার এ নীতিবাক্যের অনুসরণে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।
No comments