ঈদ বাজার- অন্ধকার ঘরে বাহারি নকশার কাজ by লাবনী খন্দকার
ছোট অন্ধকার ঘর। স্যাঁতসেঁতে মেঝেতে পাতা কাঠের ফ্রেম। পাশে মুঠোফোনে চলছে পছন্দের গান। কাঠের ফ্রেমের চার মাথায় আটকানো শাড়ি। এর চারপাশে চারজন বসে সুনিপুণ দক্ষতায় করে চলেছেন কারচুপির কাজ। একটা একটা করে পুঁতি, জরির সুতা আর চুমকি দিয়ে শাড়ি ও জামায় নকশা করেন মেয়েরা।
কখনো নিজেদের পছন্দে, আবার কখনো বা ক্রেতার পছন্দে।
কয়েক বছর ধরে কারচুপির কাজে বেশ নাম করেছেন মোহাম্মদপুর বিহারি ক্যাম্পের বাসিন্দারা। যদিও তাঁরা বিশিষ্ট কেউ নন, আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণও হয়তো নেই। তবু ঈদের সময় চাহিদার একটা বড় অংশ মেটান তাঁরা।
কেবল নারী নয়, পুরুষেরাও ঘরে বসে কারচুপির কাজ করেন। গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেল, একজন শুধু পুঁতি বসিয়ে দিচ্ছেন, অন্যজন শুধু জরির সুতার কাজ করছেন। এভাবে একটা শাড়িতে নকশা তৈরি করতে সময় লাগে ১০-১২ ঘণ্টা। জানালেন ক্যাম্পের বাসিন্দা ও নকশাকার মেহরাব হোসেন।
ক্যাম্পের প্রতিটি ঘরে দেখা গেল একটা করে ছোট কাঠের ফ্রেম। কোনো কোনো ফ্রেমে বাঁধানো কামিজ। একটা কামিজের গলায় ও হাতে কারচুপির কাজ করতে সময় লাগে দু-তিন ঘণ্টা। কিন্তু সময় ও কাজ অনুযায়ী মজুরি খুব কম। জানালেন মিনু আরা। তিনি বলেন, একটা জামায় তাঁরা ১০০ টাকা মজুরি পান। কখনো বেশি কাজ হলে ১৫০ টাকা। মিনু ও তাঁর স্বামী দুজনই কারচুপির কাজ করেন।
রেহানা বেগম ও তাঁর মেয়ে রুহি একসঙ্গে বসে জামার কাজ করছিলেন। রেহেনা বেগম বলেন, ‘আপা, ঈদে হামরা ক্যাম নেহি হে’ (আপা, ঈদে আমার হাতে কাজ নেই।) কেন জানতে চাইলে বলেন, ‘মুচকো নেহি পাতা’ (আমি জানি না)।
কলোনি বাজার ঘেঁষে মোকাররম হোসেনের ঘর। তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে খুব ভালো চাহিদা ছিল। কাজ করে ফুরসত পেতাম না। এমনকি পাঞ্জাবির কারচুপির কাজে ব্যাপক চাহিদা ছিল। কিন্তু এ বছর তেমন চাহিদা নেই।’
বিহারি কলোনির ব্যবসায়ী ফিরোজ শাহ জানান, প্রতিটি শাড়িতে তাঁরা দুই হাজার টাকা মজুরি দেন। এই টাকা দিয়ে ভালো কাজ করা যায় না। কম দামি জিনিস দিয়ে কাজ শেষ করে দিতে হয়। তাতে কাজের ফিনিশিং ভালো হয় না।
ফিরোজ শাহের সঙ্গে একমত পোষণ করেন সাদ্দাম হোসেন। তিনি আরও জানান, ‘হামরা যে কাম করতা হে হামারে লাইট কা বিল নেহি উঠতা আপা। ক্যাসে আচ্চা মাল দেতা হাম।’ (যে কাজ করি, তাতে ঘরের বিদ্যুৎ বিল পর্যন্ত ওঠে না। ভালো জিনিস কীভাবে দেব?)
কয়েক বছর ধরে কারচুপির কাজে বেশ নাম করেছেন মোহাম্মদপুর বিহারি ক্যাম্পের বাসিন্দারা। যদিও তাঁরা বিশিষ্ট কেউ নন, আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণও হয়তো নেই। তবু ঈদের সময় চাহিদার একটা বড় অংশ মেটান তাঁরা।
কেবল নারী নয়, পুরুষেরাও ঘরে বসে কারচুপির কাজ করেন। গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেল, একজন শুধু পুঁতি বসিয়ে দিচ্ছেন, অন্যজন শুধু জরির সুতার কাজ করছেন। এভাবে একটা শাড়িতে নকশা তৈরি করতে সময় লাগে ১০-১২ ঘণ্টা। জানালেন ক্যাম্পের বাসিন্দা ও নকশাকার মেহরাব হোসেন।
ক্যাম্পের প্রতিটি ঘরে দেখা গেল একটা করে ছোট কাঠের ফ্রেম। কোনো কোনো ফ্রেমে বাঁধানো কামিজ। একটা কামিজের গলায় ও হাতে কারচুপির কাজ করতে সময় লাগে দু-তিন ঘণ্টা। কিন্তু সময় ও কাজ অনুযায়ী মজুরি খুব কম। জানালেন মিনু আরা। তিনি বলেন, একটা জামায় তাঁরা ১০০ টাকা মজুরি পান। কখনো বেশি কাজ হলে ১৫০ টাকা। মিনু ও তাঁর স্বামী দুজনই কারচুপির কাজ করেন।
রেহানা বেগম ও তাঁর মেয়ে রুহি একসঙ্গে বসে জামার কাজ করছিলেন। রেহেনা বেগম বলেন, ‘আপা, ঈদে হামরা ক্যাম নেহি হে’ (আপা, ঈদে আমার হাতে কাজ নেই।) কেন জানতে চাইলে বলেন, ‘মুচকো নেহি পাতা’ (আমি জানি না)।
কলোনি বাজার ঘেঁষে মোকাররম হোসেনের ঘর। তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে খুব ভালো চাহিদা ছিল। কাজ করে ফুরসত পেতাম না। এমনকি পাঞ্জাবির কারচুপির কাজে ব্যাপক চাহিদা ছিল। কিন্তু এ বছর তেমন চাহিদা নেই।’
বিহারি কলোনির ব্যবসায়ী ফিরোজ শাহ জানান, প্রতিটি শাড়িতে তাঁরা দুই হাজার টাকা মজুরি দেন। এই টাকা দিয়ে ভালো কাজ করা যায় না। কম দামি জিনিস দিয়ে কাজ শেষ করে দিতে হয়। তাতে কাজের ফিনিশিং ভালো হয় না।
ফিরোজ শাহের সঙ্গে একমত পোষণ করেন সাদ্দাম হোসেন। তিনি আরও জানান, ‘হামরা যে কাম করতা হে হামারে লাইট কা বিল নেহি উঠতা আপা। ক্যাসে আচ্চা মাল দেতা হাম।’ (যে কাজ করি, তাতে ঘরের বিদ্যুৎ বিল পর্যন্ত ওঠে না। ভালো জিনিস কীভাবে দেব?)
No comments