পবিপ্রবির যুগপূর্তি by মুহাম্মদ ইমাদুল হক প্রিন্স
হাঁটি হাঁটি পা পা করে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এক যুগ পেরিয়ে আজ গৌরবের ১৩ বছরে পদার্পণ করছে। ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত পটুয়াখালী কৃষি কলেজকে (প্রাক্তন 'জনতা কলেজ') নব্বইয়ের দশকে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর প্রাণের দাবি হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় করার।
এ লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন পরিষদ। এ পরিষদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৮ সালের ১৫ মার্চ তৎকালীন সরকার পটুয়াখালী কৃষি কলেজকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীতকরণের ঘোষণা প্রদান করে এবং ২০০০ সালের ৮ জুলাই দক্ষিণাঞ্চলের কোটি মানুষের স্বপ্নের পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ২০০১ সালের ১২ জুলাই জাতীয় সংসদে পবিপ্রবি আইন পাস হয় এবং ২০০২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এক সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বাস্তব রূপ লাভ করে। উদ্বোধনের বছরেই অর্থাৎ ১৯৯৯-২০০০ সেশনে প্রথমবারের মতো কৃষি অনুষদের ১২৫ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে এ স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক ও আইনি জটিলতা এবং দেশের সরকার পরির্বতন হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দুটি বছরে থমকে যায় এর উন্নয়নের গতি। তবে ২০০২ সালের শেষ দিকে আবারও পুরোদমে বিশ্ববিদ্যালয়টির উন্নয়নের কার্যক্রম শুরু হয়। পরিতাপের বিষয়, প্রতিষ্ঠার প্রথম ৮ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়টি যে পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার কথা ছিল, ততটা হয়নি। কোনো ভাইস চ্যান্সেলরই ঠিকমতো কাজ করতে পারেননি বা কাজ করতে দেওয়া হয়নি। গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলেই ৩-৪ বার ভাইস চ্যান্সেলর বদল হয়। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পরিপূর্ণ কোনো আইন-কানুন ছিল না।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার ঐতিহ্য ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে আধুনিক কৃষিবিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে দক্ষ জনশক্তি গড়ার লক্ষ্যে সাফল্যের সঙ্গে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর এ পর্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে এ বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বর্তমানে ৭টি অনুষদে ২২১২ জন ছাত্রছাত্রী, ১৭৬ জন শিক্ষক, ৯৪ জন কর্মকর্তা ও ৩৮৭ জন কর্মচারী রয়েছেন। এখানে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি চালু করায় উচ্চতর শিক্ষার নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের প্রত্যাশা, হয়তো অচিরেই অহঙ্কার করার মতো অবস্থানে পেঁৗছবে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও প্রাণবন্ত ও মুখরিত করতে যুগোপযোগী অনুষদ ছাড়াও বিভাগভিত্তিক ডিগ্রি চালু করে ছাত্রছাত্রী বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রশান্তির জন্য পর্যটন নগরী কুয়াকাটাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষিণবঙ্গের মানসম্মত সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে এখনই বৃহৎ পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে।
prince.pstu11@gmail.com
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার ঐতিহ্য ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে আধুনিক কৃষিবিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে দক্ষ জনশক্তি গড়ার লক্ষ্যে সাফল্যের সঙ্গে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর এ পর্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে এ বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বর্তমানে ৭টি অনুষদে ২২১২ জন ছাত্রছাত্রী, ১৭৬ জন শিক্ষক, ৯৪ জন কর্মকর্তা ও ৩৮৭ জন কর্মচারী রয়েছেন। এখানে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি চালু করায় উচ্চতর শিক্ষার নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের প্রত্যাশা, হয়তো অচিরেই অহঙ্কার করার মতো অবস্থানে পেঁৗছবে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও প্রাণবন্ত ও মুখরিত করতে যুগোপযোগী অনুষদ ছাড়াও বিভাগভিত্তিক ডিগ্রি চালু করে ছাত্রছাত্রী বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রশান্তির জন্য পর্যটন নগরী কুয়াকাটাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষিণবঙ্গের মানসম্মত সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে এখনই বৃহৎ পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে।
prince.pstu11@gmail.com
No comments