পরিস্থিতি আরও নাজুক হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নিন-আইনশৃঙ্খলার অবনতি
ঈদুল আজহার ছুটির আগে ও পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত উপর্যুপরি সহিংস ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। বিশেষ করে গত ঈদের সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে, এবার অপরাধের ঘটনা অনেক বেশি।
এসব ঘটনায় কেবল সাধারণ মানুষ নয়, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের স্থানীয় পর্যায়ের কয়েকজন নেতাও খুন হয়েছেন। তবে সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, বখাটেদের অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ঢাকায় এক সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা এবং কুড়িগ্রামে দিনমজুর বৃদ্ধের মর্মান্তিক মৃত্যু।
যশোরের ঝিকরগাছায়, কক্সবাজারের টেকনাফে এবং রাঙামাটির কাউখালীতে খুন হয়েছেন স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা। এর মধ্যে বিএনপি ও যুবদলের নেতার মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা জড়িত বলে অভিযোগ আছে। এ ছাড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে চাঁদপুরে, ময়মনসিংহের নান্দাইলে, গাজীপুরের শ্রীপুরে, সিলেটের গোয়াইনঘাটে, ফেনীর পরশুরামে এবং চট্টগ্রামের পটিয়ায়। কেরানীগঞ্জ ও টঙ্গীতে গণপিটুনিতে মারা গেছে তিনজন। এ অবস্থায় কোনোভাবেই বলা যায় না, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিষ্ঠার পর ধারণা করা হয়েছিল, নারী উত্ত্যক্তকারীরা নিবৃত্ত হবে। কিন্তু নাতনিকে বাঁচাতে গিয়ে কুড়িগ্রামে বখাটেদের হাতে বৃদ্ধ নানার মৃত্যুর ঘটনা প্রমাণ করে, দুর্বৃত্তদের দমনে ভ্রাম্যমাণ আদালতই যথেষ্ট নয়। মাদক সেবন করে বাসার সামনে হল্লা করার প্রতিবাদ করায় রাজধানীর বাসাবোতে বখাটেরা পিটিয়ে হত্যা করে সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তাকে। তারা এতটাই শক্তিমান যে আক্রান্তকে সময়মতো হাসপাতালেও নিয়ে যেতে পারেননি স্বজনেরা। পাড়ায় পাড়ায় বখাটেদের উৎপাত বেড়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বিকার। যে সমাজে অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিবাদকারীকে লাঞ্ছিত বা খুন হতে হয়, সেই সমাজে অপরাধ কীভাবে কমবে?
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। শিষ্টের পালন করতে না পারলেও দুষ্টের সঙ্গে যে তাদের দহরমমহরম রয়েছে, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। বিভিন্ন স্থানে বখাটে ও মাস্তানদের হাতে একাধিক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পরও অপরাধীদের ধরার ব্যাপারে তাদের নিষ্ক্রিয়তা দুঃখজনক। কখনোসখনো আসামি ধরা পড়লেও তদন্ত ও চার্জশিটের দুর্বলতার কারণে সহজেই তারা ছাড়া পেয়ে যায়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রায়ই একটি কথা বলেন, ‘অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ দেশবাসী এ রকম আশ্বাসবাণী বহুবার শুনেছে। এখন তারা বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখতে চায়। দেখতে চায়, দল-মতনির্বিশেষে সব অপরাধীকে পাকড়াও করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়েছে। উপযুক্ত শাস্তিই পারে অপরাধের মাত্রা কমাতে। অপরাধ করে একজন ছাড়া পেলে অন্যরাও অপরাধ সংঘটনে আরও বেপরোয়া হয়ে পড়ে।
আশা করি, পরিস্থিতি আরও নাজুক হওয়ার আগেই সরকার কঠোর হাতে অপরাধীদের দমন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
যশোরের ঝিকরগাছায়, কক্সবাজারের টেকনাফে এবং রাঙামাটির কাউখালীতে খুন হয়েছেন স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা। এর মধ্যে বিএনপি ও যুবদলের নেতার মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা জড়িত বলে অভিযোগ আছে। এ ছাড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে চাঁদপুরে, ময়মনসিংহের নান্দাইলে, গাজীপুরের শ্রীপুরে, সিলেটের গোয়াইনঘাটে, ফেনীর পরশুরামে এবং চট্টগ্রামের পটিয়ায়। কেরানীগঞ্জ ও টঙ্গীতে গণপিটুনিতে মারা গেছে তিনজন। এ অবস্থায় কোনোভাবেই বলা যায় না, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিষ্ঠার পর ধারণা করা হয়েছিল, নারী উত্ত্যক্তকারীরা নিবৃত্ত হবে। কিন্তু নাতনিকে বাঁচাতে গিয়ে কুড়িগ্রামে বখাটেদের হাতে বৃদ্ধ নানার মৃত্যুর ঘটনা প্রমাণ করে, দুর্বৃত্তদের দমনে ভ্রাম্যমাণ আদালতই যথেষ্ট নয়। মাদক সেবন করে বাসার সামনে হল্লা করার প্রতিবাদ করায় রাজধানীর বাসাবোতে বখাটেরা পিটিয়ে হত্যা করে সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তাকে। তারা এতটাই শক্তিমান যে আক্রান্তকে সময়মতো হাসপাতালেও নিয়ে যেতে পারেননি স্বজনেরা। পাড়ায় পাড়ায় বখাটেদের উৎপাত বেড়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বিকার। যে সমাজে অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিবাদকারীকে লাঞ্ছিত বা খুন হতে হয়, সেই সমাজে অপরাধ কীভাবে কমবে?
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। শিষ্টের পালন করতে না পারলেও দুষ্টের সঙ্গে যে তাদের দহরমমহরম রয়েছে, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। বিভিন্ন স্থানে বখাটে ও মাস্তানদের হাতে একাধিক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পরও অপরাধীদের ধরার ব্যাপারে তাদের নিষ্ক্রিয়তা দুঃখজনক। কখনোসখনো আসামি ধরা পড়লেও তদন্ত ও চার্জশিটের দুর্বলতার কারণে সহজেই তারা ছাড়া পেয়ে যায়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রায়ই একটি কথা বলেন, ‘অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ দেশবাসী এ রকম আশ্বাসবাণী বহুবার শুনেছে। এখন তারা বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখতে চায়। দেখতে চায়, দল-মতনির্বিশেষে সব অপরাধীকে পাকড়াও করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়েছে। উপযুক্ত শাস্তিই পারে অপরাধের মাত্রা কমাতে। অপরাধ করে একজন ছাড়া পেলে অন্যরাও অপরাধ সংঘটনে আরও বেপরোয়া হয়ে পড়ে।
আশা করি, পরিস্থিতি আরও নাজুক হওয়ার আগেই সরকার কঠোর হাতে অপরাধীদের দমন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
No comments