অন্যায্য সুবিধা বন্ধ না হলে সেবা বাধাগ্রস্ত হবে-সরকারি চিকিৎসকদের জন্য নীতিমালা
সরকারের চিকিৎসা ক্যাডারের অধীন চিকিৎসকদের গ্রাম-মফস্বলে কাজ করতে না চাওয়া, শহরের কর্মস্থলে পর্যাপ্ত সময় উপস্থিত না থেকে ব্যক্তিগত চেম্বারে বা অন্যান্য বেসরকারি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে রোগী দেখা ইত্যাদি অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে সরকার প্রেষণ নীতিমালা-২০১২ নামে একটি নীতিমালা করেছে।
চিকিৎসক সমাজের কিছু অংশের আপত্তি সত্ত্বেও নীতিমালাটি মোটামুটি গ্রহণযোগ্য। তাই অচিরেই এটি কার্যকর করা দরকার।
বর্তমানে সরকারি চিকিৎসকেরা দীর্ঘ মেয়াদে ছুটি নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের চেষ্টা করেন। অনেকেই একবারে তা পারেন না, অনেকেই বার বার ছুটি নিয়ে বহু বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। এ সময়টায় তাঁরা বিনা বেতনে চাকরি বহাল রাখেন। এভাবে বার বার ছুটি নেওয়ার বিধান রাখায় মাঠপর্যায়ে চিকিৎসকের সংকট দেখা যায়। সরকার সেবার ব্যবস্থা করলেও জনগণ এভাবে তা থেকে বঞ্চিত হয়। অনেক চিকিৎসককে দেখা যায়, এ রকম ছুটির সময় শহরে ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখেন।
এভাবে চিকিৎসাব্যবস্থায় যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়, তা দূর করার একটি নীতিমালা তাই জরুরি ছিল। নতুন নীতিমালায় একবারের বেশি ছুটি না দেওয়া, অসাধারণ ছুটি বা প্রেষণে থাকার সময় ব্যক্তিগত রোগী না দেখা এবং প্রেষণে গিয়ে ডিগ্রি অর্জন করার পর চিকিৎসককে ন্যূনতম পাঁচ বছর সরকারি চাকরিতে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ও বিসিএস হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে নীতিমালা বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে। কিন্তু এটা তো মানতে হবে, অসাধারণ ছুটির বরাতে বার বার দীর্ঘ সময়ের জন্য কর্মে যোগদানে বিরত থাকা বা সরকারি খরচে ডিগ্রি অর্জনের পর চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ চাওয়া অনৈতিক। সব সরকারি চাকরিরই একটা বাধ্যবাধকতা থাকে, সরকারি চিকিৎসকেরাও এর বাইরে নন। আর পেশাটি যেহেতু জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সেহেতু পেশার প্রয়োজন অনুসারে কিছু বিধি তো তাঁদের মানতেই হবে।
আমরা আশা করব, সরকারের এই শুভ উদ্যোগে চিকিৎসক সমাজ সহযোগিতা করবে। আর সরকারের কাছে প্রত্যাশা, চিকিৎসক সমাজের ন্যায্য ও যৌক্তিক অধিকার যাতে কোনোভাবেই লঙ্ঘিত না হয়।
বর্তমানে সরকারি চিকিৎসকেরা দীর্ঘ মেয়াদে ছুটি নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের চেষ্টা করেন। অনেকেই একবারে তা পারেন না, অনেকেই বার বার ছুটি নিয়ে বহু বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। এ সময়টায় তাঁরা বিনা বেতনে চাকরি বহাল রাখেন। এভাবে বার বার ছুটি নেওয়ার বিধান রাখায় মাঠপর্যায়ে চিকিৎসকের সংকট দেখা যায়। সরকার সেবার ব্যবস্থা করলেও জনগণ এভাবে তা থেকে বঞ্চিত হয়। অনেক চিকিৎসককে দেখা যায়, এ রকম ছুটির সময় শহরে ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখেন।
এভাবে চিকিৎসাব্যবস্থায় যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়, তা দূর করার একটি নীতিমালা তাই জরুরি ছিল। নতুন নীতিমালায় একবারের বেশি ছুটি না দেওয়া, অসাধারণ ছুটি বা প্রেষণে থাকার সময় ব্যক্তিগত রোগী না দেখা এবং প্রেষণে গিয়ে ডিগ্রি অর্জন করার পর চিকিৎসককে ন্যূনতম পাঁচ বছর সরকারি চাকরিতে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ও বিসিএস হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে নীতিমালা বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে। কিন্তু এটা তো মানতে হবে, অসাধারণ ছুটির বরাতে বার বার দীর্ঘ সময়ের জন্য কর্মে যোগদানে বিরত থাকা বা সরকারি খরচে ডিগ্রি অর্জনের পর চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ চাওয়া অনৈতিক। সব সরকারি চাকরিরই একটা বাধ্যবাধকতা থাকে, সরকারি চিকিৎসকেরাও এর বাইরে নন। আর পেশাটি যেহেতু জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সেহেতু পেশার প্রয়োজন অনুসারে কিছু বিধি তো তাঁদের মানতেই হবে।
আমরা আশা করব, সরকারের এই শুভ উদ্যোগে চিকিৎসক সমাজ সহযোগিতা করবে। আর সরকারের কাছে প্রত্যাশা, চিকিৎসক সমাজের ন্যায্য ও যৌক্তিক অধিকার যাতে কোনোভাবেই লঙ্ঘিত না হয়।
No comments