অবিলম্বে দুর্বৃত্তদের পাকড়াও করুন-প্রধান বিচারপতির বাসায় ককটেল নিক্ষেপ
ঈদের পরদিন প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনাটি যেমন নিন্দনীয়, তেমন উদ্বেগজনকও। এতে কেউ আহত না হলেও বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারত। নিক্ষিপ্ত ককটেল দুটি বাড়ির সীমানাদেয়ালের ভেতরেই বিস্ফোরিত হয়েছে।
দেশের প্রধান বিচারপতির বাসায় এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার দ্বিতীয় নজির নেই। এটি কেবল ব্যক্তির ওপর হামলা নয়, বিচার বিভাগের ওপরও আঘাত বলে আমরা মনে করি। ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, পুলিশ ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘একটি বাড়ি রক্ষার জন্য কেউ প্রধান বিচারপতির বাসায় ককটেল মারবে, এটা আমরা ভাবতে পারি না। তবে যদি বাড়ির জন্য এ ঘটনা ঘটে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জবাবদিহি করতে হবে।’ তাঁর এ বক্তব্য ইঙ্গিতবহ। তদন্তের আগে কোনো ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করা কতটা ঠিক, তাও ভেবে দেখা উচিত। এ ধরনের আগাম মন্তব্য অনেক সময় তদন্তকে ভণ্ডুল করে দিতে পারে, যার ভূরি ভূরি উদাহরণ রয়েছে।
রাষ্ট্রের তিনটি প্রধান স্তম্ভের একটি বিচার বিভাগ। সেই বিভাগের যিনি অভিভাবক, তাঁর বাড়িতে হামলার বিষয়টিকে নিছক আইনশৃঙ্খলাজনিত ব্যাপার হিসেবে চিহ্নিত করা ঠিক হবে না। বর্তমান প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব নিয়েছেন ৩০ সেপ্টেম্বর। আগামী বছর ২৮ মে তাঁর অবসরে যাওয়ার কথা। এরপর যিনি প্রধান বিচারপতি হবেন, তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় স্বপদে বহাল থাকবেন। সেই হিসেবে বর্তমান প্রধান বিচারপতিরই পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার কথা। এ অবস্থায় তাঁর বাসভবনে হামলার বিষয়টি নিছক আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। আবার ঘটনাটি যাতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা না হয়, সে ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে কোনো বিরোধ দেখা দিলে আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধানই শ্রেয়। সে ক্ষেত্রে জাতীয় সংসদই উপযুক্ত স্থান। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, জাতীয় সংসদে এসব নিয়ে কথা হয় না। বিরোধী দলও সংসদে যাওয়ার চেয়ে গরহাজির থাকতে পছন্দ করে। আমরা আশা করব, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল উভয় পক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় ঘটবে এবং তারা এমন কিছু করবে না যে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটে। প্রত্যাশা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস কেবল কথার ফুলঝুরি হবে না এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারে সোপর্দ করা হবে। দেশের প্রধান বিচারপতির বাসা যদি সন্ত্রাসীদের থাবামুক্ত না হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কী করে নিরাপদ থাকবে? আমরা এই দুর্বৃত্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
হামলাকারীরা কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য কিংবা আদৌ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কি না, সেটি এখানে বিবেচ্য নয়। বিবেচ্য হবে অপরাধ। দল-মতনির্বিশেষে অপরাধের হোতাদের পাকড়াও এবং শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে তারা ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘৃণ্য হামলা চালাতে সাহস পাবে না। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও সততা, দক্ষতা ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এক দলের সন্ত্রাসীকে ধরে অন্য দলের সন্ত্রাসীকে বাঁচানো কিংবা কারও ওপর দায় চাপানোর ফল কখনো ভালো হয় না। আমাদের শঙ্কার কারণ হলো, আগের সরকারগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দলীয় স্বার্থে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে। বর্তমান সরকারের আমলে তার পুনরাবৃত্তি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
রাষ্ট্রের তিনটি প্রধান স্তম্ভের একটি বিচার বিভাগ। সেই বিভাগের যিনি অভিভাবক, তাঁর বাড়িতে হামলার বিষয়টিকে নিছক আইনশৃঙ্খলাজনিত ব্যাপার হিসেবে চিহ্নিত করা ঠিক হবে না। বর্তমান প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব নিয়েছেন ৩০ সেপ্টেম্বর। আগামী বছর ২৮ মে তাঁর অবসরে যাওয়ার কথা। এরপর যিনি প্রধান বিচারপতি হবেন, তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় স্বপদে বহাল থাকবেন। সেই হিসেবে বর্তমান প্রধান বিচারপতিরই পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার কথা। এ অবস্থায় তাঁর বাসভবনে হামলার বিষয়টি নিছক আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। আবার ঘটনাটি যাতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা না হয়, সে ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে কোনো বিরোধ দেখা দিলে আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধানই শ্রেয়। সে ক্ষেত্রে জাতীয় সংসদই উপযুক্ত স্থান। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, জাতীয় সংসদে এসব নিয়ে কথা হয় না। বিরোধী দলও সংসদে যাওয়ার চেয়ে গরহাজির থাকতে পছন্দ করে। আমরা আশা করব, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল উভয় পক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় ঘটবে এবং তারা এমন কিছু করবে না যে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটে। প্রত্যাশা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস কেবল কথার ফুলঝুরি হবে না এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারে সোপর্দ করা হবে। দেশের প্রধান বিচারপতির বাসা যদি সন্ত্রাসীদের থাবামুক্ত না হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কী করে নিরাপদ থাকবে? আমরা এই দুর্বৃত্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
হামলাকারীরা কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য কিংবা আদৌ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কি না, সেটি এখানে বিবেচ্য নয়। বিবেচ্য হবে অপরাধ। দল-মতনির্বিশেষে অপরাধের হোতাদের পাকড়াও এবং শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে তারা ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘৃণ্য হামলা চালাতে সাহস পাবে না। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও সততা, দক্ষতা ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এক দলের সন্ত্রাসীকে ধরে অন্য দলের সন্ত্রাসীকে বাঁচানো কিংবা কারও ওপর দায় চাপানোর ফল কখনো ভালো হয় না। আমাদের শঙ্কার কারণ হলো, আগের সরকারগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দলীয় স্বার্থে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে। বর্তমান সরকারের আমলে তার পুনরাবৃত্তি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
No comments