ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ চাই-ঈদের সময় দুর্ঘটনা
অন্যবারের মতো এবারও ঈদুল আজহার ছুটির সময় সড়ক দুর্ঘটনায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হলেন, আহত মানুষের সংখ্যা আরও বেশি। প্রতিবারই এই সময়ে দুর্ঘটনার কারণে বহু পরিবারের ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়।
কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কোনো দায় আছে বলে মনে হয় না।
এসব দুর্ঘটনার প্রধান কারণ মূলত ঈদের আগে-পরে ট্রাফিক-ব্যবস্থার শিথিলতা এবং সড়কপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যেসব বিধিবিধান মেনে চলার কথা, তার প্রতি সীমাহীন উদাসীনতা, অবহেলা। যানবাহনের মালিকেরা ঈদকে উপলক্ষ করে বেশি লাভের আশায় মরিয়া হয়ে ওঠেন। চলাচলের অযোগ্য অনেক বাস-মিনিবাস তখন পথে নামানো হয়। অভিজ্ঞ চালকের অভাব আছে দেশে। আবার তাঁদের ছুটিছাটা ও সুযোগ-সুবিধাও কম। ফলে অবসরহীনভাবে একটানা চালকেরা গাড়ি চালাতে বাধ্য হন। কখনো কখনো হেলপারকে চালকের আসনে বসিয়ে দেওয়া হয়। তা ছাড়া বেপরোয়া গাড়ি চালনা, ওভারটেক করার প্রবণতা এবং অধিক মুনাফা লাভের আশায় অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বোঝাই করার প্রবণতাও রয়েছে।
নিজ এলাকায় ঈদের উৎসব উদ্যাপন করতে যাওয়ার উদ্দেশে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দ যাত্রা নিয়ে যেমন আশঙ্কা থাকে, ফেরার সময়ও তা-ই। এখনো যারা গন্তব্যে পৌঁছাননি, তাঁরা দুর্ঘটনার ব্যাপারে সজাগ থাকবেন আশা করি। অনেক সময় আসনের বেশি যাত্রী বাসে ওঠে থাকে। সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য যে বেশি, সে কথাটি মনে রাখে না। ঈদের সময় যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত এবং দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন যাতে সড়কে চলাচল করতে না পারে, সে জন্য ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। যাত্রীদের জীবন রক্ষায় আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের ভূমিকও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেকোনো মূল্যে সড়কপথের অব্যবস্থা ও বিশৃঙ্খলা দূর করার পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
এসব দুর্ঘটনার প্রধান কারণ মূলত ঈদের আগে-পরে ট্রাফিক-ব্যবস্থার শিথিলতা এবং সড়কপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যেসব বিধিবিধান মেনে চলার কথা, তার প্রতি সীমাহীন উদাসীনতা, অবহেলা। যানবাহনের মালিকেরা ঈদকে উপলক্ষ করে বেশি লাভের আশায় মরিয়া হয়ে ওঠেন। চলাচলের অযোগ্য অনেক বাস-মিনিবাস তখন পথে নামানো হয়। অভিজ্ঞ চালকের অভাব আছে দেশে। আবার তাঁদের ছুটিছাটা ও সুযোগ-সুবিধাও কম। ফলে অবসরহীনভাবে একটানা চালকেরা গাড়ি চালাতে বাধ্য হন। কখনো কখনো হেলপারকে চালকের আসনে বসিয়ে দেওয়া হয়। তা ছাড়া বেপরোয়া গাড়ি চালনা, ওভারটেক করার প্রবণতা এবং অধিক মুনাফা লাভের আশায় অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বোঝাই করার প্রবণতাও রয়েছে।
নিজ এলাকায় ঈদের উৎসব উদ্যাপন করতে যাওয়ার উদ্দেশে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দ যাত্রা নিয়ে যেমন আশঙ্কা থাকে, ফেরার সময়ও তা-ই। এখনো যারা গন্তব্যে পৌঁছাননি, তাঁরা দুর্ঘটনার ব্যাপারে সজাগ থাকবেন আশা করি। অনেক সময় আসনের বেশি যাত্রী বাসে ওঠে থাকে। সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য যে বেশি, সে কথাটি মনে রাখে না। ঈদের সময় যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত এবং দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন যাতে সড়কে চলাচল করতে না পারে, সে জন্য ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। যাত্রীদের জীবন রক্ষায় আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের ভূমিকও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেকোনো মূল্যে সড়কপথের অব্যবস্থা ও বিশৃঙ্খলা দূর করার পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
No comments