বিকল্প কর্মসূচির কথাই ভাবতে হবে-হরতালে জনদুর্ভোগ
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক প্রতিবাদের ভাষা তথা রাজনৈতিক কর্মসূচিও হতে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক। ঈদের ছুটির এক দিন আগে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে বিএনপি জনজীবনকে আরও সংকটে ঠেলে দিয়েছে। হরতালের কারণে ৩০টি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, ২৮৬ জন আটক ও ১৮০ জন আহত হয়েছে।
আগের দিন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা রাজধানীতে বেশ কিছু গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। এই যে সম্পদের বিপুল ক্ষতি হলো, এর দায় কে নেবে? রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে এ ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাশত করা যায় না। ঈদের আগে হরতালের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে ঘরমুখো সাধারণ মানুষ। অনেকে টিকিট কেটেও গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। অন্যদিকে হরতালের দোহাই দিয়ে নিত্যপণ্যের দামও বাড়িয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা। সব মিলিয়ে হরতাল জনজীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলে, অর্থনীতি চাকা হয়ে পড়ে স্থবির।
এ কারণেই আমরা সব সময় এ ধরনের সহিংস ও জবরদস্তিমূলক কর্মসূচির বিরোধিতা করে আসছি। যে কর্মসূচি জনগণের দুর্ভোগ বাড়ায়, দেশের অর্থনীতিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেয়, সে ধরনের কর্মসূচি কেন রাজনৈতিক দলগুলো নেবে? বিএনপির চেয়ারপারসন ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে যেভাবে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে ‘উচ্ছেদ’ করা হয়েছে, তা সমর্থনযোগ্য নয়। সরকারের দাবি, হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। উচ্চ আদালতের অনেক নির্দেশ পালনে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতার ভূরি ভূরি নজির রয়েছে। হাইকোর্ট ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দূষণ ও দখলমুক্ত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন একাধিকবার। সেসব তামিল করতে সরকারের অনীহা থাকলেও খালেদা জিয়ার বাড়ির ক্ষেত্রে বাড়তি উৎসাহই লক্ষ করা গেছে। তা ছাড়া ‘উচ্ছেদ’-এর সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যে আচরণ করেছেন, অনেকের কাছেই তা অসৌজন্যমূলক মনে হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তাঁর বাড়ি নিয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের প্রচারণায়ও শালীনতাবোধের অভাব লক্ষ করা গেছে।
এসব ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিক্ষুব্ধ হওয়া স্বাভাবিক। দল হিসেবে বিএনপি প্রতিবাদ জানাবে, সেটাও অস্বাভাবিক নয়। তবে সেই প্রতিবাদের ভাষা হতে হবে অহিংস ও নিয়মতান্ত্রিক। রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করলে সরকারের পতন ঘটে না, মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে, যোগাযোগব্যবস্থা হয় বিপর্যস্ত। অতএব, ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলো হরতাল-অবরোধের মতো সহিংস কর্মসূচি পরিহার করে প্রতিবাদের বিকল্প ভাষা খুঁজে নেবে আশা করি। জনগণকে নিয়ে যাঁরা রাজনীতি করেন, জনগণের সমস্যা-দুর্ভোগ সম্পর্কে তাঁদের আরও সংবেদনশীল হওয়ার প্রয়োজন আছে বৈকি।
এ কারণেই আমরা সব সময় এ ধরনের সহিংস ও জবরদস্তিমূলক কর্মসূচির বিরোধিতা করে আসছি। যে কর্মসূচি জনগণের দুর্ভোগ বাড়ায়, দেশের অর্থনীতিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেয়, সে ধরনের কর্মসূচি কেন রাজনৈতিক দলগুলো নেবে? বিএনপির চেয়ারপারসন ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে যেভাবে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে ‘উচ্ছেদ’ করা হয়েছে, তা সমর্থনযোগ্য নয়। সরকারের দাবি, হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। উচ্চ আদালতের অনেক নির্দেশ পালনে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতার ভূরি ভূরি নজির রয়েছে। হাইকোর্ট ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দূষণ ও দখলমুক্ত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন একাধিকবার। সেসব তামিল করতে সরকারের অনীহা থাকলেও খালেদা জিয়ার বাড়ির ক্ষেত্রে বাড়তি উৎসাহই লক্ষ করা গেছে। তা ছাড়া ‘উচ্ছেদ’-এর সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যে আচরণ করেছেন, অনেকের কাছেই তা অসৌজন্যমূলক মনে হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তাঁর বাড়ি নিয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের প্রচারণায়ও শালীনতাবোধের অভাব লক্ষ করা গেছে।
এসব ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিক্ষুব্ধ হওয়া স্বাভাবিক। দল হিসেবে বিএনপি প্রতিবাদ জানাবে, সেটাও অস্বাভাবিক নয়। তবে সেই প্রতিবাদের ভাষা হতে হবে অহিংস ও নিয়মতান্ত্রিক। রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করলে সরকারের পতন ঘটে না, মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে, যোগাযোগব্যবস্থা হয় বিপর্যস্ত। অতএব, ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলো হরতাল-অবরোধের মতো সহিংস কর্মসূচি পরিহার করে প্রতিবাদের বিকল্প ভাষা খুঁজে নেবে আশা করি। জনগণকে নিয়ে যাঁরা রাজনীতি করেন, জনগণের সমস্যা-দুর্ভোগ সম্পর্কে তাঁদের আরও সংবেদনশীল হওয়ার প্রয়োজন আছে বৈকি।
No comments