লোকসানে বিপর্যস্ত বিমান by টিপু সুলতান
কোম্পানি হওয়ার পাঁচ বছরেও ‘অদক্ষ ও অপেশাদার ব্যবস্থাপনার’ পুরোনো সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। উপরন্তু বর্তমান সরকারের আমলে টানা লোকসানে আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন এ প্রতিষ্ঠানটি।
বিমানের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, এখন অর্থসংকট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে চলতি মূলধনের অভাবে দৈনন্দিন কার্যক্রম চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে।
বিমানের অর্থ শাখার এক হিসাবে দেখা যায়, সর্বশেষ গত মাসে বিমানের তহবিলে ছিল মোট ৫৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে দেশে বিভিন্ন ব্যাংকে ছিল ৩১ কোটি ১৬ লাখ আর বিদেশে বিভিন্ন স্টেশনে ছিল ২৭ কোটি ২১ লাখ টাকা।
এই তহবিলের বিপরীতে দেশে-বিদেশে বিমানের দেনা রয়েছে এক হাজার ৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে পদ্মা অয়েলের ৫৬৯ কোটি, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে ২০৫ কোটিসহ দেশে ৮৯১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং বিদেশে (রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানি ক্রয়, হোটেল ভাড়া, ওভারফ্লাইট চার্জসহ) ১৭০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এ অবস্থায় তহবিল ঘাটতি রয়েছে এক হাজার তিন কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, পর পর তিন বছর টানা লোকসান, বিপুল দেনা ও চলতি মূলধনের অভাবে বিমানের কার্যক্রম চালু রাখা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিমান হিসাব শাখার একটি সূত্র জানায়, ১৯৯০ সালের পর বিমানের লোকসানের প্রবণতা বেড়েছে। ১৯৯৫-৯৬ সাল থেকে গত ১৭ বছরে বিমান লাভের মুখ দেখেছে মাত্র চার বছর। এর মধ্যে সর্বশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুই বছর লাভ করেছিল বিমান। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত তিন বছরে যথাক্রমে ১৫ কোটি, ৬৫ কোটি ও ১৯০ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিমানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে সদ্য দায়িত্ব পেয়েছেন ক্যাপ্টেন শেখ নাসের উদ্দিন। জ্যেষ্ঠ এই বৈমানিক এর আগে ফ্লাইট পরিচালন শাখার পরিচালক ছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিমানের বিরাট আর্থিক সংকটের মধ্যেই তিনি দায়িত্ব পেয়েছেন। বিমানকে লাভজনক করতে তাঁরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছেন। কিন্তু এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে মূলধন দরকার অন্তত এক হাজার কোটি টাকা।
শেখ নাসের বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিমানকে কঠিন অবস্থা মোকাবিলা করতে হয়েছে। এশিয়া ও ইউরোপের অনেক এয়ারলাইনস একই সংকটে পড়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের জাতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়াকে বাঁচাতে ভারত সরকার ৩০ হাজার কোটি রুপি সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ বিমানের জন্য সরকারের আর্থিক সহায়তা দরকার।
বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, এ মুহূর্তে বিমানকে দাঁড় করাতে প্রচুর আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। নইলে বাণিজ্যিক পরিকল্পনা করা সম্ভব হবে না।
বিমানের অর্থ শাখার এক হিসাবে দেখা যায়, সর্বশেষ গত মাসে বিমানের তহবিলে ছিল মোট ৫৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে দেশে বিভিন্ন ব্যাংকে ছিল ৩১ কোটি ১৬ লাখ আর বিদেশে বিভিন্ন স্টেশনে ছিল ২৭ কোটি ২১ লাখ টাকা।
এই তহবিলের বিপরীতে দেশে-বিদেশে বিমানের দেনা রয়েছে এক হাজার ৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে পদ্মা অয়েলের ৫৬৯ কোটি, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে ২০৫ কোটিসহ দেশে ৮৯১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং বিদেশে (রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানি ক্রয়, হোটেল ভাড়া, ওভারফ্লাইট চার্জসহ) ১৭০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এ অবস্থায় তহবিল ঘাটতি রয়েছে এক হাজার তিন কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, পর পর তিন বছর টানা লোকসান, বিপুল দেনা ও চলতি মূলধনের অভাবে বিমানের কার্যক্রম চালু রাখা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিমান হিসাব শাখার একটি সূত্র জানায়, ১৯৯০ সালের পর বিমানের লোকসানের প্রবণতা বেড়েছে। ১৯৯৫-৯৬ সাল থেকে গত ১৭ বছরে বিমান লাভের মুখ দেখেছে মাত্র চার বছর। এর মধ্যে সর্বশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুই বছর লাভ করেছিল বিমান। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত তিন বছরে যথাক্রমে ১৫ কোটি, ৬৫ কোটি ও ১৯০ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিমানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে সদ্য দায়িত্ব পেয়েছেন ক্যাপ্টেন শেখ নাসের উদ্দিন। জ্যেষ্ঠ এই বৈমানিক এর আগে ফ্লাইট পরিচালন শাখার পরিচালক ছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিমানের বিরাট আর্থিক সংকটের মধ্যেই তিনি দায়িত্ব পেয়েছেন। বিমানকে লাভজনক করতে তাঁরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছেন। কিন্তু এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে মূলধন দরকার অন্তত এক হাজার কোটি টাকা।
শেখ নাসের বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিমানকে কঠিন অবস্থা মোকাবিলা করতে হয়েছে। এশিয়া ও ইউরোপের অনেক এয়ারলাইনস একই সংকটে পড়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের জাতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়াকে বাঁচাতে ভারত সরকার ৩০ হাজার কোটি রুপি সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ বিমানের জন্য সরকারের আর্থিক সহায়তা দরকার।
বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, এ মুহূর্তে বিমানকে দাঁড় করাতে প্রচুর আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। নইলে বাণিজ্যিক পরিকল্পনা করা সম্ভব হবে না।
No comments