প্রবীণ কল্যাণ-জ্যেষ্ঠদের সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে দিন by সিরাজুল ইসলাম তালুকদার
পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে জ্যেষ্ঠ নাগরিক (সিনিয়র সিটিজেন) বলে একটা কথা আছে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁদের গুরুত্ব বেশ স্বীকৃত। বিশেষ করে ৬৫ বছর বয়স হলে তাঁর জন্য পাবলিক কিংবা প্রাইভেট বাসে অথবা ট্রেনে আসনের অগ্রাধিকার রয়েছে। নামমাত্র ভাড়ায় কিংবা কোনো কোনো দেশে বিনা ভাড়ায় ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে।
অসুস্থ হলে ৯১১-এ টেলিফোন করলে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা হয়। প্রয়োজনে হাসপাতালে চিকিৎসার নিমিত্তে যাতায়াতের জন্য যানবাহনের নিয়মিত ব্যবস্থা করা হয়। আহার ও বাসস্থানের সমস্যা হলে গুরুত্বের সঙ্গে তা মেটানো হয়। বৃদ্ধ বয়সে সম্মানের সঙ্গে এমন সেবা এ দেশে এখনো অচিন্তনীয়।
অনুন্নত দেশে বয়স্ক মানুষের গুরুত্ব অতি সামান্য। সারা জীবন যে লোকটি নিজ পরিবার তথা দেশের জন্য এত শ্রম দিলেন, এত ইমারত তৈরি করলেন, মানুষকে এত সেবা দিলেন, বয়োবৃদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন তার সবই মুছে গেল! একজন বয়োবৃদ্ধ মানুষের পক্ষে এ দেশে পাবলিক বাসে ওঠা হয়রানির নামান্তর। বয়স্ক মানুষটি অর্থাৎ জ্যেষ্ঠ নাগরিক যদিও অতি কষ্টে বাসে উঠলেন, তাঁর জন্য কোনো সিট মিলল না। জোয়ান মানুষের ঠেলাঠেলিতে তিনি ঘর্মাক্ত হয়ে পিষ্ট হলেও তাঁকে দরদ দেখানোর মতো কোনো হূদয়বান মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না। শারীরিক অসুস্থতা ও উচ্চরক্তচাপের কারণে যদি তিনি অনুযোগে চিৎকার করেন কিংবা একটু রাগ প্রদর্শন করেন, এর জন্য তাঁকে যে অমর্যাদার সম্মুখীন হতে হবে, তার বর্ণনা দেওয়া কঠিন। এ দেশে জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য ভাতার বন্দোবস্ত নেই, কোনো যানবাহনে নির্ধারিত আসন নেই, কোনো চিকিৎসার সুব্যবস্থা নেই, ক্ষুধায় আহারের কোনো ব্যবস্থা নেই। অথচ বৃদ্ধ বয়সের এই দুঃসহ জীবন প্রায় সবাইকে পাড়ি দিতে হয়। কেন যে আমরা সামান্য কয়েক বছর পরের কথা ভেবে এ বিষয়ে কোনো নীতি গ্রহণ করতে পারি না! এটা কি আমাদের অদূরদর্শী জাতি হিসেবে চিহ্নিত করে না?
সেদিন একজন জ্যেষ্ঠ পেনশনভোগী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা। তিনি ২১ বছর আগে অবসরে গেছেন। সে সময় পে-স্কেল কম থাকার কারণে তিনি মাত্র দুই হাজার টাকা পেনশন পান। টাকার অঙ্কটি শুনে কিছুক্ষণ তাঁর ক্ষয়িষ্ণু দেহখানির দিকে তাকিয়ে রইলাম। জীবনসংগ্রামের ছাপ তাঁর মুখে দেখতে পেলাম আর ভাবলাম, যদি ২১ বছর আগে অবসর না হয়ে বর্তমান সময়ে অবসর হতো, তাহলে তাঁর পেনশনের পরিমাণ দুই হাজার টাকা না হয়ে একই পদে আট থেকে দশ হাজার টাকা হতো। তখনকার মূল্যস্ফীতির তুলনায় বর্তমানে মূল্যস্ফীতি অন্তত চার-পাঁচ গুণ বেশি তো হবেই! এমন যাতনা নিত্যদিন তাঁরা চোখ-মুখ বুজে সয়ে চলেছেন কিন্তু জ্যেষ্ঠ পেনশনভোগীদের সপক্ষে কেউ কোনো পদক্ষেপ নিলেন না। এতকাল আগে অবসরে যাওয়ার অপরাধে আমরা তাঁদের ভুলে গেছি। এসব কারণে পেনশন তহবিলে জমা অঙ্কও যেন অবহেলিতভাবে অবমূল্যায়িত হয়ে চলেছে।
আমি একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে চিনি, যিনি অতিশয় সৎ জীবন যাপন করেছেন। তিনি কম্পট্রোলার অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেল পদমর্যাদায় গিয়ে প্রায় ২০ বছর আগে অবসর নিয়েছেন; বর্তমানে ১০ হাজার টাকার মতো পেনশন তোলেন। অথচ তাঁর মর্যাদার একজন বর্তমান পে-স্কেলে হয়তো ২০ হাজার টাকা পেনশন পাবেন। অপরাধ ওই একটিই, জ্যেষ্ঠ পেনশনভোগী হয়ে দীর্ঘকাল বেঁচে থাকা!
মূল্যস্ফীতি ফি-বছর বাড়লেও এ দেশে অন্তত পাঁচ বছরের আগে নতুন পে-স্কেল আসে না। নতুন পে-স্কেলের সুবাদে বৃদ্ধদের ভাগ্যেও কিছু ইনক্রিমেন্ট জোটে বটে, তবে তেমনটি নয়, যেমনটি প্রতিবছর চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ইনক্রিমেন্ট হয়। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি পাঁচ বছরে পাঁচ ধাপ বাড়লেও, পেনশনভোগীদের নতুন পে-স্কেল কেবল একবার বাড়ে। তফাত হয়ে যায় বাৎসরিক ইনক্রিমেন্টটুকু। অথচ এ অসহায় পেনশনভোগীরা কিন্তু বিনা বিনিয়োগের বিপরীতে পেনশন পান না। হিসাব করে চাকরিজীবনে প্রাপ্য বেতনের অংশ কেটে নিয়ে সেই টাকা খাটিয়ে সরকার পেনশন দিয়ে থাকে। কোন সরকার কী কাজে এ অর্থ কোথায় খাটায়, তার উৎপাদনশীলতাই বা কী—এসব প্রশ্নের উত্তর কেবল সরকারই দিতে পারবে। তবে যাঁরা কিছু বেশি দিন বাঁচেন, তাঁদের পেনশন ভুল সূত্র (মেথড) ও ভুল নীতি অনুসরণের কারণে ক্রমাগত নগণ্য হতে থাকে। অবশ্য যাঁরা অল্প সময়ের মধ্যেই জগৎ থেকে চলে যান, তাঁদের জন্য সরকারের পেনশন খাতে ব্যয় কমে যায় বটে। কেননা, জমা নেওয়া টাকাগুলো তো কোনোকালেই ফেরত দিতে হয় না। চাকরিজীবীদের এমন টাকা সরকারের পেনশন ফান্ডে অনন্তকাল জমা হবে এবং অবসরপ্রাপ্তির পর তাঁরা মারা গেলেও অনন্তকাল সরকারের কাছে থাকবে।
পেনশনভোগীদের বঞ্চনা দূর করতে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নীতিনির্ধারকদের কাছে অনুরোধ রাখছি। যাঁরা অচিরেই অবসরে যাবেন, সেই সব কর্মকর্তার উচিত বিষয়টি ভেবে দেখা। এ ছাড়া দেশের সব বৃদ্ধ মানুষ, যাঁরা সারা জীবন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এবং অতি অসহায় জীবন যাপন করছেন, তাঁদের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও স্বাস্থ্যনিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য বার্ষিক বিশাল বাজেট থেকে অধিক হারে বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। বর্তমানে সমাজকাঠামো দ্রুত ভাঙছে, বড় পরিবার ছোট হচ্ছে। বৃদ্ধদের দেখার প্রায়ই কেউই থাকে না। কাজেই অক্ষম, বয়োজ্যেষ্ঠ, পঙ্গু ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী, বিধবাদের জন্য আরও বেশি বরাদ্দ রাখার জন্য আবেদন রাখছি। সরকারি পর্যায়ে অধিক হারে সারা দেশে পঙ্গু, প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধাশ্রম ও অনাথ শিশু আশ্রম নির্মাণ করা প্রয়োজন। বেসরকারি পর্যায়ে যাতে করে এসব আশ্রম অধিক হারে তৈরি হয়, সে জন্য করের সুবিধা প্রদান এবং আর্থিক অনুদান বৃদ্ধির মাধ্যমে উৎসাহিত করা যেতে পারে। এ উদ্দেশ্যে বর্তমান বাজেট থেকে ২-৩ শতাংশ পরিমাণ টাকা স্থানান্তর করলে কোনোরূপ অকল্যাণ বা অবিচার হবে না বলে মনে করি। এ দেশে শ্রমের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হোক, বৃদ্ধ বয়সের ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ হোক, মানুষের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত হোক এবং সর্বোপরি বাজেট জনকল্যাণমুখী হোক।
সিরাজুল ইসলাম তালুকদার: অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা।
অনুন্নত দেশে বয়স্ক মানুষের গুরুত্ব অতি সামান্য। সারা জীবন যে লোকটি নিজ পরিবার তথা দেশের জন্য এত শ্রম দিলেন, এত ইমারত তৈরি করলেন, মানুষকে এত সেবা দিলেন, বয়োবৃদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন তার সবই মুছে গেল! একজন বয়োবৃদ্ধ মানুষের পক্ষে এ দেশে পাবলিক বাসে ওঠা হয়রানির নামান্তর। বয়স্ক মানুষটি অর্থাৎ জ্যেষ্ঠ নাগরিক যদিও অতি কষ্টে বাসে উঠলেন, তাঁর জন্য কোনো সিট মিলল না। জোয়ান মানুষের ঠেলাঠেলিতে তিনি ঘর্মাক্ত হয়ে পিষ্ট হলেও তাঁকে দরদ দেখানোর মতো কোনো হূদয়বান মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না। শারীরিক অসুস্থতা ও উচ্চরক্তচাপের কারণে যদি তিনি অনুযোগে চিৎকার করেন কিংবা একটু রাগ প্রদর্শন করেন, এর জন্য তাঁকে যে অমর্যাদার সম্মুখীন হতে হবে, তার বর্ণনা দেওয়া কঠিন। এ দেশে জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য ভাতার বন্দোবস্ত নেই, কোনো যানবাহনে নির্ধারিত আসন নেই, কোনো চিকিৎসার সুব্যবস্থা নেই, ক্ষুধায় আহারের কোনো ব্যবস্থা নেই। অথচ বৃদ্ধ বয়সের এই দুঃসহ জীবন প্রায় সবাইকে পাড়ি দিতে হয়। কেন যে আমরা সামান্য কয়েক বছর পরের কথা ভেবে এ বিষয়ে কোনো নীতি গ্রহণ করতে পারি না! এটা কি আমাদের অদূরদর্শী জাতি হিসেবে চিহ্নিত করে না?
সেদিন একজন জ্যেষ্ঠ পেনশনভোগী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা। তিনি ২১ বছর আগে অবসরে গেছেন। সে সময় পে-স্কেল কম থাকার কারণে তিনি মাত্র দুই হাজার টাকা পেনশন পান। টাকার অঙ্কটি শুনে কিছুক্ষণ তাঁর ক্ষয়িষ্ণু দেহখানির দিকে তাকিয়ে রইলাম। জীবনসংগ্রামের ছাপ তাঁর মুখে দেখতে পেলাম আর ভাবলাম, যদি ২১ বছর আগে অবসর না হয়ে বর্তমান সময়ে অবসর হতো, তাহলে তাঁর পেনশনের পরিমাণ দুই হাজার টাকা না হয়ে একই পদে আট থেকে দশ হাজার টাকা হতো। তখনকার মূল্যস্ফীতির তুলনায় বর্তমানে মূল্যস্ফীতি অন্তত চার-পাঁচ গুণ বেশি তো হবেই! এমন যাতনা নিত্যদিন তাঁরা চোখ-মুখ বুজে সয়ে চলেছেন কিন্তু জ্যেষ্ঠ পেনশনভোগীদের সপক্ষে কেউ কোনো পদক্ষেপ নিলেন না। এতকাল আগে অবসরে যাওয়ার অপরাধে আমরা তাঁদের ভুলে গেছি। এসব কারণে পেনশন তহবিলে জমা অঙ্কও যেন অবহেলিতভাবে অবমূল্যায়িত হয়ে চলেছে।
আমি একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে চিনি, যিনি অতিশয় সৎ জীবন যাপন করেছেন। তিনি কম্পট্রোলার অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেল পদমর্যাদায় গিয়ে প্রায় ২০ বছর আগে অবসর নিয়েছেন; বর্তমানে ১০ হাজার টাকার মতো পেনশন তোলেন। অথচ তাঁর মর্যাদার একজন বর্তমান পে-স্কেলে হয়তো ২০ হাজার টাকা পেনশন পাবেন। অপরাধ ওই একটিই, জ্যেষ্ঠ পেনশনভোগী হয়ে দীর্ঘকাল বেঁচে থাকা!
মূল্যস্ফীতি ফি-বছর বাড়লেও এ দেশে অন্তত পাঁচ বছরের আগে নতুন পে-স্কেল আসে না। নতুন পে-স্কেলের সুবাদে বৃদ্ধদের ভাগ্যেও কিছু ইনক্রিমেন্ট জোটে বটে, তবে তেমনটি নয়, যেমনটি প্রতিবছর চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ইনক্রিমেন্ট হয়। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি পাঁচ বছরে পাঁচ ধাপ বাড়লেও, পেনশনভোগীদের নতুন পে-স্কেল কেবল একবার বাড়ে। তফাত হয়ে যায় বাৎসরিক ইনক্রিমেন্টটুকু। অথচ এ অসহায় পেনশনভোগীরা কিন্তু বিনা বিনিয়োগের বিপরীতে পেনশন পান না। হিসাব করে চাকরিজীবনে প্রাপ্য বেতনের অংশ কেটে নিয়ে সেই টাকা খাটিয়ে সরকার পেনশন দিয়ে থাকে। কোন সরকার কী কাজে এ অর্থ কোথায় খাটায়, তার উৎপাদনশীলতাই বা কী—এসব প্রশ্নের উত্তর কেবল সরকারই দিতে পারবে। তবে যাঁরা কিছু বেশি দিন বাঁচেন, তাঁদের পেনশন ভুল সূত্র (মেথড) ও ভুল নীতি অনুসরণের কারণে ক্রমাগত নগণ্য হতে থাকে। অবশ্য যাঁরা অল্প সময়ের মধ্যেই জগৎ থেকে চলে যান, তাঁদের জন্য সরকারের পেনশন খাতে ব্যয় কমে যায় বটে। কেননা, জমা নেওয়া টাকাগুলো তো কোনোকালেই ফেরত দিতে হয় না। চাকরিজীবীদের এমন টাকা সরকারের পেনশন ফান্ডে অনন্তকাল জমা হবে এবং অবসরপ্রাপ্তির পর তাঁরা মারা গেলেও অনন্তকাল সরকারের কাছে থাকবে।
পেনশনভোগীদের বঞ্চনা দূর করতে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নীতিনির্ধারকদের কাছে অনুরোধ রাখছি। যাঁরা অচিরেই অবসরে যাবেন, সেই সব কর্মকর্তার উচিত বিষয়টি ভেবে দেখা। এ ছাড়া দেশের সব বৃদ্ধ মানুষ, যাঁরা সারা জীবন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এবং অতি অসহায় জীবন যাপন করছেন, তাঁদের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও স্বাস্থ্যনিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য বার্ষিক বিশাল বাজেট থেকে অধিক হারে বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। বর্তমানে সমাজকাঠামো দ্রুত ভাঙছে, বড় পরিবার ছোট হচ্ছে। বৃদ্ধদের দেখার প্রায়ই কেউই থাকে না। কাজেই অক্ষম, বয়োজ্যেষ্ঠ, পঙ্গু ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী, বিধবাদের জন্য আরও বেশি বরাদ্দ রাখার জন্য আবেদন রাখছি। সরকারি পর্যায়ে অধিক হারে সারা দেশে পঙ্গু, প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধাশ্রম ও অনাথ শিশু আশ্রম নির্মাণ করা প্রয়োজন। বেসরকারি পর্যায়ে যাতে করে এসব আশ্রম অধিক হারে তৈরি হয়, সে জন্য করের সুবিধা প্রদান এবং আর্থিক অনুদান বৃদ্ধির মাধ্যমে উৎসাহিত করা যেতে পারে। এ উদ্দেশ্যে বর্তমান বাজেট থেকে ২-৩ শতাংশ পরিমাণ টাকা স্থানান্তর করলে কোনোরূপ অকল্যাণ বা অবিচার হবে না বলে মনে করি। এ দেশে শ্রমের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হোক, বৃদ্ধ বয়সের ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ হোক, মানুষের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত হোক এবং সর্বোপরি বাজেট জনকল্যাণমুখী হোক।
সিরাজুল ইসলাম তালুকদার: অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা।
No comments